দক্ষিণ কোরিয়ায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী

বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর দক্ষিণ কোরিয়ায় শুরু হয়েছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী। কোরিয়ান কালচার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জে-মিন জং যৌথভাবে প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঁচ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। ৯ জুলাই কোরিয়ান কালচার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জে-মিন জং ও রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম যৌথভাবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোরিয়ান কালচার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জে-মিন জং বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর দেশ ও জনগণের গণতন্ত্র, শান্তি ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য নিপীড়কদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। তাঁর অসামান্য অবদান ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হতো না। নিজ দেশের ওপর জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি জাতির জনক হিসেবে অভিহিত হয়েছেন। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য তুলে ধরে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আরও ভালোভাবে জানার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ওপর পাঁচ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোরিয়া কালচার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জে-মিন জং, দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামসহ উপস্থিতির একাংশ।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গণতন্ত্র, শান্তি ও ধর্মনিরপেক্ষতার এক মূর্ত প্রতীক ছিলেন। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন মানবতা, জনগণের ক্ষমতা ও আর্থসামাজিক মুক্তির অগ্রদূত, যা প্রদর্শনীর আলোকচিত্রগুলোতেও প্রতিফলিত হয়েছে।

প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘বঙ্গবন্ধু দ্য পিপলস হিরো’-এর কোরিয়ান সংস্করণসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর অন্যান্য প্রকাশনা প্রদর্শন এবং সেই সঙ্গে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণও সম্প্রচার করা হয়। এ ছাড়া, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক, সুশীল সমাজের সদস্য, সংবাদ ও গণমাধ্যমকর্মী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনীটি আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।