দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনায় মৃত্যু ৯০ হাজার ছাড়াল
দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে। এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৯০ হাজার জন। গত মঙ্গলবার এক দিনেই মারা গেছেন ২৭ জন। দেশটির ৯টি প্রদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৭৩৭ জন মারা গেছেন জোহানেসবার্গকে ঘিরে থাকা ঘাটিংয়ে। প্রদেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম মৃত্যু হয়েছে পুমালাঙ্গায়, ২ হাজার ১৮ জন।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য বিভাগের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী করোনায় মঙ্গলবার ১৩ হাজার ১৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২৭ জন।
দেশটিতে এ নিয়ে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩০ লাখ ৫১ হাজার ২২। মৃত্যু হয়েছে ৯০ হাজার ২ জনের। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ২৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬৪৮ জন। দেশটিতে করোনায় সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক ৯।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার চতুর্থ ঢেউ আঘাত হেনেছে। অমিক্রনের প্রভাবে নতুন করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অতীত দিনকে ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড হচ্ছে। সাত দিনের ব্যবধানে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিনে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
দেশটির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছেন, যাঁরা টিকা নেননি, তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এ ছাড়া, গত কয়েক দিনের আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বাড়ছে।
অমিক্রনের কার্যকারিতা নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অগ্রিম সতর্কবার্তার মধ্যে করোনার নিয়ন্ত্রণ থাকায় ভাইরাসটি নিয়ে গণ–আতঙ্ক কিছুটা কমেছে।
সপ্তাহের শুরুতে অমিক্রন নিয়ে দেশটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ রিচার্ড লেসেন বলেন, আক্রান্ত রোগীদের শরীরে তেমন কোনো ভয়ংকর অবনতি দেখা যায়নি। তিনি আরও বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। বর্তমানে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শারীরিকভাবে তেমন কোনো বড় সমস্যা হচ্ছে না। কেউ কেউ বাড়িতে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চলে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। এর বাইরে যাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাঁদের আইসিইউ ব্যবহার করতে হচ্ছে না। এর আগেই তাঁরা সেরে উঠেছেন।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের চেয়ারপারসন অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি বলেন, এখন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে তাঁরা অমিক্রনের তেমন কোনো ভয়ংকর চরিত্র না পেলেও দেশটিতে করোনার চতুর্থ ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষকে অগ্রিম সতর্ক করা হয়।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা সাধারণ জনগণকে টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করে চলছেন। করোনার চতুর্থ ঢেউয়ে জনগণের মধ্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার নিয়ে বেশ সচেতনতা দেখা যাচ্ছে।