শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে কৃষি ও কৃষিভিত্তিক পণ্য, আঞ্চলিক পর্যটন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, তথ্য যোগাযোগ, উচ্চ প্রযুক্তির শিল্প এবং শিক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার তারেক মো. আরিফুল ইসলাম শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে এ অভিমত দেন। কলম্বো থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পরিচয়পত্র পেশের পর কলম্বোতে বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হন। তাঁরা দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে মতবিনিময় করেন। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার। তিনি গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
তারেক মো. আরিফুল ইসলাম শ্রীলঙ্কার আর্থসামাজিক উন্নয়নের নেতৃত্ব প্রদানের পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারিকে কার্যকরভাবে মোকাবিলার জন্য সাধুবাদ জানান গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যকার বন্ধনকে আরও জোরদার করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি এ বিষয়ে শ্রীলঙ্কা সরকারের সমর্থন চান। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে অভূতপূর্ব আর্থসামাজিক উন্নয়ন অর্জন করেছে, তা শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন এবং কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানো, দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ), নৌপরিবহন সংযোগ বাড়ানো, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি সই, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ওষুধ খাতে সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা করেন।
গোতাবায়া রাজাপক্ষে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর শুভেচ্ছা জানান এবং বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণের জন্য তাঁদের ধন্যবাদ দেন।