উজবেকিস্তানের তাসখন্দে আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হয়।
গতকাল ২৬ মার্চ সকালে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান দূতাবাসে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিবসের অনুষ্ঠানমালার সূচনা করেন। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। দূতাবাসের অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়া শহীদ স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিয়োজিত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিক, তাসখন্দে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ও নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারের সব সদস্য, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ৩০ লাখ শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, দুই লাখ বীরাঙ্গনা নারী ও বাংলাদেশের অগণিত মুক্তিকামী মানুষের সহযোগিতা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে উজবেকিস্তানের জনগণের আন্তরিক সমর্থন ও সহযোগিতা গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যেতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি উদযাপন করব। তিনি উজবেকিস্তানের প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের একসঙ্গে কাজ করে একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান উজবেকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের শত বছরের পুরোনো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করে আশা করেন, এ সম্পর্ক আরও দৃঢ়তর হবে।
প্রবাসী বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর অবদানের ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য দেন।