ডাকাত পরিবারে বিয়ে–২য় পর্ব

বিয়ে
ফাইল ছবি

না, এভাবে চুপচাপ বসে থেকে স্ত্রীর হাতে খুন হওয়ার কোনো মানে হয় না। যেভাবে হোক এ বাসা থেকে আমাকে পালাতে হবে। কিন্তু কীভাবে পালাব, বুঝতে পারছি না। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলাম, এখন সময় রাত ১২টা ১৭। মফস্বল শহরে এটা অনেক রাত। বিয়েবাড়ির সবাই সারা দিন অনেক পরিশ্রম করেছেন। আমার ধারণা, তাঁরা সবাই হয়তো এতক্ষণে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন। ঠিক করলাম, কণা বাথরুম থেকে আসার আগেই আমাকে এখান থেকে পালাতে হবে। ওই মেয়ের সামনে দিয়ে কোনোভাবেই যাওয়া যাবে না। কারণ, ওই মেয়ে কুংফু-কারাতে জানে। হয়তো দেখা যাবে ফ্লাইং কিক মেরে দিয়েছে। তাই যা করার এখনই করতে হবে।

ঠিক করলাম আস্তে আস্তে দরজা খুলে বের হব। তারপর দ্রুত কণার ভাইয়ের নাকে একটা, আর ভাবির নাকে একটা ঘুষি মারব। না, ওই নারী বড়ই বজ্জাত। ওনাকে দুটি ঘুষি মারতে হবে, একটায় কাজ হবে না। ঘুষি মেরে আর কোনো দিকে তাকাব না। জাস্ট চোখ বন্ধ করে একটা দৌড় দেব।

প্রথমে শরীর থেকে শেরওয়ানি খুলে ফেললাম। কারণ, এভাবে পালালে রাস্তার সব লোক তাকিয়ে থাকবে। পা টিপে টিপে হেঁটে দরজার কাছে এলাম। আস্তে আস্তে দরজাটা একটু খুলে বাইরে তাকালাম। না, কেউ নেই। হতে পারে ভাই-ভাবি বাথরুম বা অন্য কোথাও গিয়েছে। অবশ্য কোথায় গিয়েছে, সেটা আমার চিন্তার বিষয় না। আমি আস্তে আস্তে রুমের বাইরে এলাম। তারপর ড্রয়িংরুমের ভেতর দিয়ে বাসার মূল দরজার দিকে অগ্রসর হলাম। কিন্তু ড্রয়িংরুমের মাঝামাঝি গিয়ে আমার পা ভয়ে জমে গেল। কারণ, দেখলাম সোফার ওপর কণার দৈত্য মামা শুয়ে আছেন। তবে ভাগ্য ভালো তিনি জেগে নেই। রীতিমতো নাক ডাকছেন। একবার মনে হলো বেটার ভুঁড়িতে একটা ঘুষি মারি। কারণ, এই দৈত্যের জন্যই আজ আমাকে এই বাড়িতে রাত কাটাতে হচ্ছে। অনেক কষ্টে ঘুষি মারার ইচ্ছাটাকে দমন করলাম। কারণ, ভুঁড়ির যে সাইজ, আমার মতো মানুষ হাজারটা মারলেও এই দৈত্যের কিছুই হবে না। সময় নষ্ট না করে খুবই সতর্কতার সঙ্গে দরজার ছিটকিনি খুলে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম।

বাইরে বের হয়ে একটা রিকশা নিয়ে সোজা বাসস্টেশনে চলে এলাম। বাসস্টেশনে এসে খোঁজ নিয়ে জানলাম রাতে আর কোনো বাস নেই। সকাল ছয়টা থেকে আবার বাস চালু হবে। বুঝলাম, বাকি রাতটা এখানেই কাটাতে হবে। বাসস্টেশনের একটা দোকানে বসে এক কাপ চা আর একটি সিগারেট নিলাম। আমি সাধারণত ধূমপান করি না। কিন্তু এখন কেন জানি মনে হলো সিগারেট ধরালে মনে সাহস বাড়বে। আমার ধারণা, এতক্ষণে আমার খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে গেছে। আমি শিওর, একটু পর খুঁজতে খুঁজতে ওরা এখানেও চলে আসবে। তবে যেই আসুক আমি আর ওই বাড়িতে যাচ্ছি না। আমাকে খুন করতে হলে এখানে সবার সামনেই করতে হবে।

বাসররাতে বাসস্টেশনে বসে চা খেতে হবে, তা কখনো ভাবিনি। রাগে ইচ্ছা হচ্ছে ঘটক বেটারে ধরে একটা আছাড় মারি। হঠাৎ মনে হলো, ঘটককে ফোন করে একটু গালাগাল করি। তাহলে হয়তো মনের রাগটা একটু কমবে। ফোন বের করে ঘটককে একটা ফোন দিলাম। কিন্তু ঘটক ফোন ধরল না। বেশ কয়েকবার ফোন দেওয়ার পর উনি ফোন ধরলেন। ঘুম জড়ানো কণ্ঠে বললেন,
- কে ভাই, এত রাতে ফোন করতেছেন?
- আমি তোর যম। আমার নাম রনি, আজ যারে তুই বিয়া দিছিস, আমি সেই লোক।
- হে হে হে...। ভাইজান, কেমন আছেন? আমি তো ঘুমাচ্ছিলাম।
- বেটা বদমাশ, আমার জীবনের বারোটা বাজায়ে তুমি এখন বউয়ের পাশে শান্তিতে ঘুমাচ্ছ!
- হে হে হে...। কী যে কন ভাইজান, আমি তো অহনো বিয়াই করি নাই।
- ওই তুই বিয়া করস নাই! সমস্যা নাই। শোন, তোর বিয়া আমি করামু। আমারে তুই কুংফু জানা মেয়ের সঙ্গে বিয়া দিছোস না? আমি তোরে সুমু কুস্তিগির মাইয়ার সঙ্গে বিয়া দিমু।

- হে হে হে...। তা দিয়েন। হেতি যদি বাংলা বোঝে, তাইলে আমার কোনো সমস্যা নাই। কারণ ভাইজান, আমি আবার জাপানি ভাষা জানি না। আর জাপানি ভাষা এখন শিখতেও পারুম না। ছোটবেলা থেকেই আমার মেধা একটু কম আছে, হে হে হে...।
- খবরদার, হে হে করবি না। আমি তোর সঙ্গে মজা করছি না।
- হে হে হে...। ভাইজান, সমস্যা কী? আমনে মনে হয় খুউব রাইগা আছেন। যার কারণে আমনে আমারে তুই তুই করতেছেন।

- সমস্যা শুনতে চাস? আজ আমার বাসররাত, কোথায় বউয়ের সঙ্গে গল্প করব, তা না। আমি এখন বাসস্ট্যান্ডে বসে চা খাচ্ছি।
- কেন, ভাইজান! নতুন বউ কি আপনারে ঘর থাইক্যা বাইর কইরা দিছে?
- তোর কী মনে হয়?
ঘটক গলার আওয়াজ নিচু করে প্রায় ফিসফিস করে বললেন,
- ভাইজান, আমনের কি শারীরিক কোনো সমস্যা আছে? তা সেটা আমারে আগে কইতেন, এক ডোজ হোমিওপ্যাথি ঔষধ বা হারবাল ঔষধ খাওয়ায় দিতাম। তারপর দেখতেন, হে হে হে...।
- তোরে হাতের কাছে পাইলে হোমিওপ্যাথি আর হারবাল আমি তোর...(অপ্রকাশ যোগ্য) দিতাম।

- ভাইজান, আমনের মুখ তো খুবই খারাপ। হে হে হে...।
- খবরদার, হে হে করবি না। বেটা ফাজিল ফোন রাখ।
- ভাইজান রাগ করেন কেন? রাগ করলে তো আর সমস্যার সমাধান হইবে না। আমনের যে সমস্যা, সেটার জন্য ঔষধ লাগবে। না হইলে তো বউয়ের মন পাইবেন না। হে হে হে...।

- ওই বদমাশ, তোরে আমি ফোন রাখতে কইছি। তুই ফোন রাখ। তু-ই-ই ফোওওন রাখ।
বলেই ফোনের লাইন কেটে দিলাম। ভেবেছিলাম গালাগাল করলে রাগ কমবে। কিন্তু ওই বেটা ওষুধের কথা বলে মেজাজটা আরও খারাপ করে দিল। কত বড় ফাজিল, বেটা আমারে রোগী বানিয়ে দিল!

আরও পড়ুন

ভাগ্য ভালো কেউই আমার খোঁজে রাতে আর বাসস্ট্যান্ডে এল না। ভোরবেলা প্রথম বাসেই ঢাকা যাওয়ার টিকিট কেটে উঠে পড়লাম। বসলাম জানালার পাশে। আমিই বাসের প্রথম যাত্রী। অতি অল্প সময়ে পুরোটা বাসই ভরে গেল। কেন জানি বাসে উঠলেই আমার ঘুম পায়। এখনো পাচ্ছে। কিন্তু ঘুমাতে পারছি না। কারণ, আমি ঘুমালে আমার কোনো হুঁশ থাকে না। হয়তো দেখা যাবে ঘুমের মধ্যে পাশের যাত্রীর ওপর ঢলে পড়েছি। পাশের যাত্রী পুরুষ হলে হয়তো সমস্যা হতো না। কিন্তু আমার পাশের সিটে বোরকা পরিহিত একজন ভদ্র মহিলা বসেছেন।

ঘণ্টাখানেক অনেক কষ্টে চোখ খুলে রেখেছিলাম। এরপর কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বলতে পারব না। ঘুম ভাঙার পর বুঝলাম আমি এতক্ষণ পাশে বসা মহিলার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিলাম। পুরোটা বাস ফাঁকা। সবাই নেমে গেছে। সম্ভবত মহিলা আমার জন্য নামতে পারেনি। আমি ভীষণ লজ্জিত হয়ে বললাম,
- চাচি, আমি সত্যিই লজ্জিত। আপনাকে অনেক কষ্ট দিলাম।
ভদ্র মহিলা কোনো কিছু না বলেই বাস থেকে নেমে গেলেন।
প্রচণ্ড খিদে পেয়েছে। বাস থেকে নেমে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। তারপর গরুর মাংস দিয়ে পরোটা খেলাম। এরপর আয়েশ করে চায়ে চুমুক দিলাম। এখন নিজেকে খুবই হালকা মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে আমি এক মুক্ত বিহঙ্গ।

বাসায় গিয়ে কলবেল বাজাতেই মা দরজা খুলে দিলেন। ভেবেছিলাম এভাবে আমাকে দেখে মা হয়তো অবাক হবেন। কিন্তু তার চেহারায় অবাক হওয়ার কোনো লক্ষণ খুঁজে পেলাম না। আমি ঘরে ঢুকেই বললাম,
- মা শোনো, আমি শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি। আচ্ছা মা, তোমরা শেষ পর্যন্ত আমাকে একটা ডাকাত পরিবারে বিয়ে দিলে?
- কী যা–তা বলছিস?
- না মা, আমা যা-তা বলছি না। ইহা শতভাগ সত্য।
- কিন্তু ঘটক তো বলল ওরা খুবই বড় বংশ।
- অবশ্যই বড় বংশ, তবে ডাকাত বংশ। তুমি জানো, মেয়ে বালিশের নিচে হাতুড়ি রাখে।
- তাই নাকি!
- তাহলে আর কী বলছি। আমি না পালালে ওই মেয়ে গত রাতে হাতুড়ি দিয়ে আমার মাথা ফাটিয়ে ফেলত। তুমি আমার জানের সদকায় ১০ জন ফকির খাইয়ে দিয়ো। শোনো, বিয়ের বাকি আয়োজন ক্যানসেল। আগামীকালের বউভাতে আমি নাই। আর একটি কথা, আমি একটু পরেই ব্যাগট্যাগ গুছিয়ে বাসা থেকে পালাচ্ছি।

- মানে কী! তুই কই পালাবি?
- ভাবছি কক্সবাজার চলে যাব। ওখানে তো পরশুদিন হানিমুনে যাওয়ার কথা ছিল।

টেল যেহেতু বুক করা আছে, সমস্যা হবে না। তবে একটা কথা, আমি যে কক্সবাজার যাচ্ছি, তুমি সেটা কাউকে বলবে না। আমার শ্বশুরবাড়ির কেউ আমার কথা জিজ্ঞেস করলে বলবে, পাশের বাসার এক মেয়েকে নিয়ে আমি পালিয়েছি। দেখবে এ কথা শুনলে আমার বউ এমনিতেই আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে।

ফাইল ছবি

মা কিছুই বললেন না। শুধু রহস্যময় একটা হাসি দিলেন। মায়ের রহস্যভরা হাসি নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় আমার নেই। রুমে গিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে এখনই পালাতে হবে। আমি আমার রুমে ঢুকলাম। রুমে ঢুকেই আমি ভয়ে পাথর হয়ে গেলাম। দেখলাম আমার বিছানার ওপর একটা বোরকা পড়ে আছে। আমি ভয়ার্ত কণ্ঠে মা মা বলে ডাকলাম।

কিন্তু মা কোনো সাড়া দিলেন না বা আমার রুমেও এলেন না। আমি আবার মাকে ডাকতে মুখ খুলব, ঠিক তখনই কণা বাথরুম থেকে বের হয়ে এল। বুঝলাম, এ কারণেই মা আমাকে দেখে অবাক হননি। কণা বের হয়েই বলল,
- মা, মা করছ কেন?
কণাকে দেখেই মনে হলো ভূত দেখলাম। আমি ভয়ে তোতলাতে তোতলাতে বললাম,
- আ-আপনি!
- জি, আমি। তোমার চাচি। বাসে যার কাঁধে মাথা রেখে সারা রাস্তা ঘুমিয়ে ছিলে। শোনো, বোরকা শুধু চাচি-খালারা পরে না। বোরকা যেকেউ পরতে পারে। খবরদার জীবনে আর কখনো বোরকা পরা কাউকে না জেনে চাচি ডাকবে না।
- মাই গড, ওটা আপনি ছিলেন! আপনি তো ভয়ংকর মেয়ে। আপনি আমার পেছন পেছন চলে এসেছেন?
- তুমি কী ভেবেছ, তোমাকে আমি এত সহজে ছেড়ে দেব? শোনো, তোমার জন্য আমার বাসররাত মিস হয়েছে। এ কথা আমি জীবনেও ভুলব না। এর খেসারত তোমাকে সারা জীবন দিতে হবে।
নতুন বউয়ের হুমকিতে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। একটা মেয়ে তার নতুন স্বামীকে এভাবে থ্রেট করতে পারে, তা আমার জানা ছিল না।
- বোকার মতো দাঁড়িয়ে থেকো না। জার্নি করে এসেছ, যাও গোসল করে এসো। আর আসার সময় অজু করে আসবে। একসঙ্গে নামাজ পড়ব। কাল রাতে বিয়ের শোকরানা নফল নামাজ না পড়েই তুমি পালিয়েছ।
আমার মুখ দিয়ে কোনো কথাই বের হলো না। শুধু মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানালাম। বাথরুমে ঢুকতে যাব, এ সময় হঠাৎ করেই কণা এসে আমার মুখোমুখি দাঁড়াল। আমি ভাবলাম, হয়তো ভালোবেসে একটু জড়িয়ে ধরবে। কিন্তু তা না করে সরাসরি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল,
- তোমার মাস্ক কই? তোমাকে না বলেছি সব সময় মাস্ক পরে থাকতে? ইতালিয়ান ভাষা বোঝো, বাংলা ভাষা বোঝো না?
এবারও মুখে কিছু বললাম না। তবে মনে মনে বললাম, ‘সন্ত্রাসী মহিলা, তুই তো আমারে করোনায় মরার আগেই হাতুড়ি দিয়া খুন করবি। তাহলে আমার মাস্ক পরার দরকারটা কী?’
- চুপ করে আছো কেন? কথা বলছ না কেন?
- শোনেন, কুংফু জানা বউয়ের সামনে স্বামীদের চুপ করে থাকাই সমীচীন। না হলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।
আমার কথা শুনে কণা খিলখিল করে হেসে উঠল। মনে মনে বললাম, ডাকাত মেয়ে, তুমি যতই হাসো, আমি তোমার মিষ্টি হাসিতে ভুলছি না।
আমি বাথরুমে ঢুকতে যাব, সে সময় পেছন থেকে আবার বলে উঠল,
- শোনো, আবার পালানোর চিন্তা মাথায় এনো না। আর আনলেও কোনো লাভ হবে না। কারণ, আমি মাকে বলে দিয়েছি তুমি ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই মেইন দরজায় তালা দিয়ে দিতে। সম্ভবত সেটা এতক্ষণে দেওয়া হয়ে গেছে।

আমি তার কথার কোনো উত্তর না দিয়ে হতাশ, ক্লান্ত পদক্ষেপে বাথরুমে ঢুকে গেলাম।
না, এ মেয়ের সঙ্গে কোনোভাবেই সারা জীবন থাকা সম্ভব না। নতুন অবস্থায় সে যেভাবে খবরদারি করছে, তাতে তো আমার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আমাকে আবার পালাতে হবে। মূল দরজায় তালা লাগিয়ে আমাকে আটকানো যাবে না। সপ্তম শ্রেণি থেকে এ পর্যন্ত জীবনে বহুবার আমি আমার বাথরুমের জানালা খুলে বাসা থেকে পালিয়েছি। এটা আমার কাছে কোনো ব্যাপারই না।

বাথরুমে ঢুকে প্রথমেই বাথরুমের সব কটি পানির নল ছেড়ে দিলাম। তারপর বাথরুমে লুকিয়ে রাখা স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে একে একে বাথরুমের জানালার সব স্ক্রু খুলে ফেললাম। চলবে...

*ইমদাদ বাবু, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র