জেনেভায় জাতীয় শোক দিবস পালন
গভীর শোক, শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্য দিয়ে জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। জেনেভাস্থ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল রোববার দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে কর্মসূচির সূচনা করেন।
দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আলোচনা সভার শুরুতেই বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর অনুসৃত ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’, আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ’, বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমিক প্রেরণের মাধ্যমে অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ ইত্যাদি বিষয়ের উল্লেখ করে তাঁর দেশ পরিচালনায় দূরদর্শিতা ও কূটনৈতিক প্রজ্ঞার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘যে নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ঘাতকেরা সেই নীতি ও আদর্শকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু ঘাতকের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবহমান থাকবে।’
এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু আলোকচিত্র নিয়ে একটি বিশেষ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূত এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। প্রদর্শনীটি এবারের জাতীয় শোক দিবসের আয়োজনে এক ব্যতিক্রমী মাত্রা যোগ করে।
পরিশেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা এসব অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সুইজারল্যান্ডে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, স্বাগতিক দেশের বিধিবিধান প্রতিপালন করে ওই অনুষ্ঠানে সীমিতসংখ্যক আমন্ত্রিত অতিথিরা সশরীর দূতাবাসে এসে অংশগ্রহণ করেন এবং কিছু অতিথি অনলাইনের (Zoom) মাধ্যমেও অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি