জার্মানির ছোট শহর হালেতে ঈদ উৎসব
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ মঙ্গলবার জার্মানিতে পালিত হলো পবিত্র ঈদুল ফিতর। মধ্য জার্মানির স্যাক্সনি আনহাল্ট অঙ্গরাজ্যের হালে শহরেও লেগেছে বরাবরের মতো পবিত্র ঈদের ছোঁয়া।
ইসলামিক কালচার সেন্টার হালের উদ্যোগে হালে জামে মসজিদের পাশে খোলা চত্বরে স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র ঈদের জামাত। রৌদ্রোজ্জ্বল দিনটিতে হাজারখানেক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন এই পবিত্র জামাতে। কর্মদিবসে ঈদের দিন পড়ায় এবার মুসল্লির সংখ্যা গতবারের তুলনায় কম হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশি মুসল্লিও ছিল চোখে পড়ার মতো। পরিবার পরিজনহীন মোটামুটি ত্রিশ-চল্লিশজন বাঙালির বসবাস এই শহরে। এদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী। কিছু আছেন চাকরিজীবী।
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের শরণার্থী নীতির ফলে শহরটিতে এখন আরব তথা সিরিয়ান মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যার বৃদ্ধিটা চোখে পড়ার মতো। এ ছাড়া তুর্কি ও আরব বংশোদ্ভূত মুসলিম জনগোষ্ঠী তো রয়েছেই। দিন দিন ইসলাম ধর্ম চর্চা, ব্যবসা-বাণিজ্য, ইসলামিক সংস্কৃতি সবকিছুরই প্রসার ঘটছে এখানে। এ কারণেই ইসলাম ধর্মীয় সংস্কৃতির অভাবনীয় প্রভাব পড়েছে শহরটিতে।
আজকে ঈদের জামাতে ঠিক বাংলাদেশের মতোই সিরিয়া, তুরস্কসহ আরব বংশোদ্ভূত মানুষকে ছুটতে দেখা গিয়েছে ময়দানের দিকে। পথেঘাটে আনন্দমুখর মানুষ ও নতুন কাপড় পরা বাচ্চাদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। কয়েক বছর আগেও শহরটিতে পবিত্র ঈদের দিনে এমন একটা জনসমাগম বা ঈদ আনন্দ লক্ষ করা যেত না। ইসলাম ধর্ম প্রসারে এখানে ইসলামিক কালচারাল সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিনা মূল্যে আরবি শিক্ষা, কোমলমতি বাচ্চাদের জার্মান শিক্ষা, রমজান মাসে বিনা মূল্যে ইফতার বিতরণসহ নানামুখী ভূমিকা পালন করছে এই সংগঠনটি।
অন্য দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মতোই বাঙালি কমিউনিটি হালের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় ঈদ আনন্দের। একসঙ্গে নামাজ আদায়সহ ঈদ আড্ডার ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের ঈদের দিনকে মিল রেখে তথা আগামীকাল আয়োজন করা হয়েছে ঈদের গেট-টুগেদার। মোটামুটি ত্রিশজন বাঙালিসহ দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষ অংশ নেবেন এই অনুষ্ঠানে।