‘গোরা’ নিয়ে রবীন্দ্র–প্রয়াণদিবসে পাঠশালার আসর

টরন্টোভিত্তিক সাহিত্যচর্চার প্ল্যাটফর্ম পাঠশালার ২৯তম ভার্চ্যুয়াল আসরটি গত ২১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০তম প্রয়াণদিবস উপলক্ষে নিবেদিত এ আসরে আলোচিত হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস ‘গোরা’। ‘গোরা’ নিয়ে আলোচনা করেন সংগীতশিল্পী-লেখক-সংস্কৃতিকর্মী শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার।

‘গোরা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দীর্ঘতম উপন্যাস। রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘গোরা’। আবার কারও মতে, বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ উপন্যাসও ‘গোরা’। তবে এসব ছাপিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের নজরে আসে গত বছরে দিল্লির উপকণ্ঠে সংগ্রামরত কৃষকদের বিক্ষোভ–সমাবেশে এক বৃদ্ধ পাঞ্জাবি কৃষকের হাতে হিন্দি অনুবাদে রবীন্দ্রনাথের ‘গোরা’। তখনকার বিরামহীন বিক্ষোভের মধ্যে সেই কৃষকের কাছে ‘গোরা’ কী অবকাশযাপনের অনুসঙ্গ ছিল, নাকি সেই উপন্যাসটি ছিল তাঁর চলমান সংগ্রামেরই এক সম্প্রসারণ?
‘গোরা’ উপন্যাসে আমরা দেখি কেন্দ্রীয় চরিত্র আগের গোরা রূপান্তরিত হয় শেষে অন্য এক গোরাতে, যে কিনা হিন্দু পুনরুজ্জীবনবাদের বা হিন্দু রিভাইভ্যালিজমের নেতিবাচক স্বরূপ বুঝতে পারে শেষমেশ। ওদিকে এবারে দিল্লির কৃষক আন্দোলন কৃষকের দাবিদাওয়া ছাপিয়ে সামগ্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনে দাঁড়িয়েছিল। অর্থাৎ ভারতের সাম্প্রতিক কৃষক আন্দোলনের যে অবস্থানগত রূপান্তর, সেটিই যেন এসে মিশে যায় গোরার রূপান্তরের সঙ্গে। আর সেখানটায় দাঁড়িয়েই আমাদের আজকের অনুসন্ধান। ২০২১ সালে দাঁড়িয়ে ১৯০৯ সালের রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি ‘গোরা’কে আমরা কীভাবে দেখব? এর প্রাসঙ্গিকতা কতটুকু?

যে আবর্তের মধ্য দিয়ে এগিয়েছিল ঊনবিংশ শতাব্দীর অবিভক্ত বাংলা, সেই আবর্ত থেকে উঠে এসেছিল কতগুলো প্রশ্ন-ধর্ম কী, জাতি কী, রাষ্ট্র কী, দেশ এবং বিশ্বের আন্তসম্পর্ককে কীভাবে দেখা হবে, জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ও প্রকাশ কীভাবে ঘটবে ইত্যাদি। আধুনিক সময়ের তার্কিকতার একটি উল্লেখযোগ্য সময়পর্বের দলিল হিসেবে কী আমরা দেখতে পারি ‘গোরা’কে? ‘গোরা’র ভেতরে কী আমরা খুঁজে পাই একটি সময়কে? নাকি কতগুলো মানুষকে? নাকি চিরন্তন ভাঙাগড়ার যে মানুষ রবীন্দ্রনাথ, তারই এক গুরুত্বপূর্ণ ভাঙাগড়ার ইতিবৃত্ত লুকিয়ে আছে ‘গোরা’ উপন্যাসের পরতে পরতে? ‘গোরা’ কী কাল্পনিক? ‘গোরা’ কী ঐতিহাসিক? ‘গোরা’ কী রাজনৈতিক? ‘গোরা’র নারীবাদ এখনো কতটা গুরুত্ব বহন করে? ‘গোরা’র কী কোনো সম্প্রসারণ আছে? রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টির কতটা জুড়ে ‘গোরা’র তাৎপর্য রয়েছে? আজকের বিভক্ত পৃথিবীর বিভক্ত বাঙালি ‘গোরা’র মাধ্যমে কী করে সূত্রবদ্ধ হতে পারে?

এসব দার্শনিক তার্কিকতার পরিমণ্ডল আমরা পাই রবীন্দ্রনাথের তিনটি উপন্যাস—‘গোরা’, ‘ঘরে–বাইরে’ ও ‘চার অধ্যায়’–এ। ‘গোরা’তে পাই ঊনবিংশ শতাব্দীর ধর্ম আন্দোলনের ভেতরের নানা ন্যারেটিভের দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও হিন্দু পুনরুজ্জীবনবাদের উত্থান। ‘ঘরে–বাইরে’তে পাই জাতীয়তাবাদের নানা ন্যারেটিভের বিতর্কের আবহ ও সংকীর্ণ স্বাদেশিকতার সমালোচনা। ‘চার অধ্যায়’–এ পাই তথাকথিত বিপ্লববাদ নিয়ে ন্যারেটিভ ও সংগ্রামের নানা পন্থা। তিনটি উপন্যাসই আত্মজৈবনিক, আবার একই সঙ্গে এ উপন্যাসত্রয়ী সময়ের দলিল ও ঐতিহাসিক অ্যাকাউন্টও। প্রতিটিতেই আমরা ‘আর্গুমেন্টেটিভ বেঙ্গলি মাইন্ড’ খুঁজে পাই, খুঁজে পাই নারীবাদও।

অতিমারিকালে বিশ্বজুড়ে উগ্র জাতীয়তাবাদের উত্থানপর্বে ‘ঘরে–বাইরে’ নিয়ে পাঠশালার আসর হয়েছে ইতিমধ্যে। এবারের আসর ছিল রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস ‘গোরা’ নিয়ে।

আলোচক শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার ‘গোরা’র ভূমিকায় এর সময়কাল, এর বৈশিষ্ট্য ও সামগ্রিকভাবে এর গুরুত্ব তুলে ধরেন। গোরার জন্ম সিপাহি বিদ্রোহের সময়। এর ১৯-২০ বছর পর গোরা পরিণত, প্রাপ্তবয়ষ্ক বা কলেজপড়ুয়া ছেলে হয়েছে। তবে ধরা যায় যে মোটামুটি ১৮৬৮-৬৯ থেকে ১৮৮০-৮৫ এ রকম একটা সময়পর্বকে ‘গোরা’য় তুলে আনা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ১৯০৪-৫ এই সময়ে ‘গোরা’ উপন্যাসটির কথা ভাবছেন। মানে এটি জায়মান হচ্ছে তাঁর ভেতরে। তিনি ১৯০৭-০৯ এই সময়ে ‘প্রবাসী’ পত্রিকাতে ‘গোরা’ ধারাবাহিকভাবে লেখেন এবং ১৯১০ সালে সেটি বই আকারে প্রকাশিত হয়। ওই সময়টা, বিশেষ করে ১৮৯০ থেকে ১৯১০ রবীন্দ্রনাথের জীবনের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। ওই সময়টা তাঁর নিজের প্রচুর ভাঙাগড়া হচ্ছে। তিনি নানা ধরনের ভাবধারা ও চিন্তাভাবনার সংস্পর্শে আসছেন, প্রভাবিত হচ্ছেন, প্রভাবমুক্ত হচ্ছেন আবার একটার সঙ্গে আরেকটার থিসিস-অ্যান্টিথিসিস হয়ে একধরনের সিন্থেসিস হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ মানুষটারও হয়ে ওঠার একটা বিরাট পর্ব হচ্ছে ১৮৯০ থেকে ১৯১০ সময়কাল। ফলে ‘গোরা’ উপন্যাস তাঁর হয়ে ওঠারও একটা দর্পণ। আবার বাংলার ইতিহাসে, ভারতের ইতিহাসে রাজা রামমোহন রায়ের আবির্ভাব থেকে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন—এই পুরো সময়পর্বটা যদি ধরি, তবে সেটা বাংলা ও ভারতবর্ষের ইতিহাসে রাজনীতির, জাতীয় চেতনার, ধর্মাদর্শের ক্ষেত্রে নানা ভাঙাগড়ার পর্ব এবং বাংলার আলোকায়ন পর্ব বা নবজাগরণ পর্ব (যথেষ্ট বিতর্কের অবকাশ থাকলেও)। এই সমস্ত কিছু মিলিয়ে ওই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফলে ওই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে উপন্যাসটা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, আজকের রাজনীতির দিকে তাকালে দেখব, আজকের রাজনীতির অনেক কিছুরই কোনো না কোনোভাবে যোগসূত্রে বাঁধা হয়ে আছে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ও বিংশ শতাব্দীর প্রথম পর্বের সঙ্গে। আমাদের এই উপমহাদেশের রাজনৈতিক ভাগ্য নানাভাবে এখনো নিয়ন্ত্রণ করছে সেই সময়পর্বের গতিরেখা। সেই সময়কাল বারবার ফিরে আসে নানা আলোচনায়, নানা বিতর্কে।

শুভপ্রসাদ বলেন, ‘গোরা’ রবীন্দ্রনাথের দীর্ঘতম উপন্যাস হওয়ার একটা কারণ হয়তো রবীন্দ্রনাথ যতটা বলছেন, যতটা লিখছেন, তাতে লিখেও মনে হচ্ছে যে ওই সময়টাকে বা যে বিষয়টাকে তিনি ধরতে চাইছেন, সেটি ধরা হয়ে উঠছে না। আরও বলতে হবে, আরও নানা দিক থেকে বলতে হবে, নানাভাবে বলতে হবে, নানা চরিত্রের সংশ্লেষ ঘটিয়ে বিষয়টাকে আনতে হবে। এই করতে করতে হয়তো ‘গোরা’র দৈর্ঘ্য এত বড় হয়েছে এবং বোধ হয় রবীন্দ্রনাথের এতটা বলার পরও বলা ফুরোয়নি, সে জন্য পরের দশকেই তা ‘ঘরে–বাইরে’ হয়ে আত্মপ্রকাশ করছে এবং তারপর আবার ‘চার অধ্যায়’ হয়ে আত্মপ্রকাশ করছে। যদি আরও নিবিড়ভাবে দেখি তবে দেখব, রবীন্দ্রনাথের সমাজকর্ম থেকে শুরু করে তাঁর চিঠিপত্র হয়ে, তাঁর নাটক–গান হয়ে এ গোটা জিনিসটা প্রলম্বিত হয়েছে। এক অর্থে এটা রবীন্দ্রনাথের গোটা জীবনের একটা কন্টিনিউয়াম। ফলে ফিরে ফিরে বিষয়টা এসেছে তাঁর নানা লেখায়।

আলোচক বলেন, ৭৬টা পরিচ্ছদে বিভক্ত গোটা উপন্যাসটি এবং পরিচ্ছদগুলো ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ‘গোরা’ উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে এখানে যতটা গল্প বলা, তার চেয়ে নানা মতাভিমতের দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ, স্রোত-প্রতিস্রোত চিত্রায়িত করা অনেক বেশি। মানুষগুলো, বিভিন্ন চরিত্রগুলোর বিভিন্ন ঘটনা দেখলে মনে হয়, মত-অভিমতের স্রোত-প্রতিস্রোত এবং তার যে ঘাত-প্রতিঘাত এবং তার থেকে যে নানা ধরনের উত্তরণ এবং তার যে কখনো কখনো থমকে যাওয়া, এগিয়ে যাওয়া, পিছিয়ে যাওয়া, এসবেরই এটা শেষ পর্যন্ত একটা চিত্রায়ণ। স্রোত-প্রতিস্রোত, ঘাত-প্রতিঘাত এই কথাগুলোই বুঝিয়ে দিচ্ছে যে ‘গোরা’র মধ্যে তার্কিকতা আছে এবং এই তার্কিকতার মধ্যেও অদ্ভুত কতগুলো বৈশিষ্ট্য আছে। খেয়াল করলে দেখা যায়, এখানে রবীন্দ্রনাথ কোনো চরিত্রের প্রতি সে অর্থে পক্ষপাত করেননি। যে যখন কথা বলছে, তার কথাগুলোকে একদম সত্য জ্ঞান করে বলা হচ্ছে। তাকে যখন কেউ খণ্ডন করছে, খণ্ডনকারীর কথা যখন উপস্থাপিত হচ্ছে, সেটিও সত্য হিসেবে গ্রহণ করে উপস্থাপিত হচ্ছে। হয় এখানে লেখক নানা চরিত্রের মধ্যে ছড়িয়ে আছেন, নয়তো লেখক নিজেকে একরকম অনুপস্থিত রেখে চরিত্রগুলোকে কথা বলতে দিয়েছেন, মন খুলে কথা বলতে দিয়েছেন, প্রাণ খুলে তর্ক করতে দিয়েছেন। তা করতে গিয়ে সাংস্কৃতিক অর্থে অবিভক্ত বাংলাদেশের তর্কমুখর একটা সময়পর্বের একটা অসাধারণ দর্পণ উঠে এসেছে ‘গোরা’ উপন্যাসে। বলা হয়ে থাকে, What Bengal thinks today, India will think tomorrow. সে সময়ে বাংলার যে তর্কমুখরতা ছিল, সেই তর্কমুখরতা ভারতকে বাদ দিয়ে ভাবেনি, ভারতকে অন্তর্ভুক্ত করে ভেবেছে। বাংলার সেই তর্কমুখরতা শেষ পর্যন্ত বিশ্বচেতনার দিকে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে ‘গোরা’ শুধু একটা প্রদেশের গল্প নয়, একটা শহরের গল্প নয়, একটা বিশেষ বর্গের মানুষদের গল্প নয়, এটা শেষ পর্যন্ত মানুষের দার্শনিকতার যে জায়গা আছে, তারও নানা প্রশ্ন সেখানে ধরেছে। ফলে ‘গোরা’ সর্বার্থেই গুরুত্বপূর্ণ। একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ যেমন বারবার তার ধর্মগ্রন্থের কাছে ফেরত যায়, তেমনি আবহমান অসাম্প্রদায়িক বাঙালিকে বারবার ‘গোরা’র কাছে ফিরতে হবে, ‘গোরা’কে নানাভাবে দেখতে হবে।

‘গোরা’য় নারীবাদ প্রসঙ্গে আলোচক বলেন, ‘গোরা’য় রবীন্দ্রনাথ দেখিয়ে দিচ্ছেন আমাদের জাতীয়তাবাদের নির্মাণে কোথাও একটা অসম্পূর্ণতা আছে। মেয়েরা প্রচ্ছন্ন থাকায় স্বদেশ অর্ধসত্য হয়ে আছে। নারীকে সর্বত্র অনুগামিনী করে রাখা হচ্ছে। অনুগামিনী না করে তাকে নিজের ভাষা দিতে হবে। ‘ঘরে–বাইরে’তে বিমলাও যখন নিজের ভাষা নিতে চায়, তখন সন্দীপ সেটা মেনে নিতে পারে না। সন্দীপও বিমলাকে তার অনুগামিনী করতে চায়। ‘গোরা’, ‘ঘরে–বাইরে’ ও ‘চার অধ্যায়’ উপন্যাসে আমরা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যে পূর্ণ সবল নারী চরিত্রের দেখা পাই এবং তিনটি উপন্যাসেই নারী-পুরুষের মাত্রিক সম্পর্কের সাহসী উচ্চারণ পাই। ‘গোরা’য় আনন্দময়ী, সুচরিতা, ললিতা, অর্থাৎ শুধু নারী চরিত্র নয়, পরেশ, বিনয়ও নারী বিষয়ে অগ্রসর ধারণা রাখেন এবং গোটা উপন্যাসটার সুরেই একধরনের নারীবাদ আছে। ‘গোরা’য় গোরা শুরুতে যেভাবে নারীকে দেখে, ঠিক একইভাবে আমরা আজকের পৃথিবীর সর্বত্র মৌলবাদীদের নারী সম্পর্কে ভাবতে দেখি। নারীমুখর হওয়া মানেই একধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা। কিন্তু গোরার উত্তরণও ঘটিয়ে দেওয়া হয়েছে উপন্যাসে। ১৯১০ সালে প্রকাশিত উপন্যাসে যেভাবে নারী চরিত্রের চিত্রায়ণ হয়েছে, সে কারণেও ‘গোরা’ আজও প্রাসঙ্গিক। আবার ‘ঘরে–বাইরে’তে জাতীয়তাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, সে জন্য স্বাধীনতাসংগ্রামীদের কাছে রবীন্দ্রনাথ প্রায় দেশদ্রোহের আখ্যা পেয়ে যান। তিনি ‘চার অধ্যায়’, ‘ঘরে–বাইরে’ দুটোর জন্যই নিন্দিত, সমালোচিত হয়েছিলেন।

আমরা জানি, ‘গোরা’ উপন্যাসের আবহ মোটেও ক্ষণজন্মা নয়। এখনো সেটি প্রাসঙ্গিক এবং এখনো অনেক ক্ষেত্রে তা বিস্ময়করভাবে সাযুজ্যপূর্ণ। শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এ বিশাল সৃষ্টির পর রবির বাকি সৃষ্টি অনেক বেশি খর্ব দেখায়, বেশি অপূর্ণ লাগে।’

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০তম প্রয়াণদিবস উপলক্ষে আয়োজিত পাঠশালার এই আয়োজনে রবীন্দ্রনাথেরই একটি অন্যতম সৃষ্টি ‘গোরা’ নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে স্মরণ করা হয় তাঁকে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০তম প্রয়াণদিবস উপলক্ষে নিবেদিত পাঠশালার আসরে আলোচক শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদারের গভীর ও তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনা দর্শক-শ্রোতারা ভীষণ উপভোগ করেছেন এবং প্রশ্ন-মন্তব্য করে সক্রিয় থেকেছেন আলোচনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। এই আসরের পরিকল্পনা ও সঞ্চালনায় ছিলেন ফারহানা আজিম শিউলী।