গাড়ি ও দু শ ডলার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কয়েক সপ্তাহ হলো অস্ট্রেলিয়াতে এসেছি। বাজার সদাই করা দরকার। প্রথম কয়েক দিন এখানকার কয়েকজন বাঙালিদের দেওয়া জিনিসপত্র দিয়ে মোটামুটি চলে গেছে। এখন নিজেদেরই ব্যবস্থা করা দরকার। রাস্তাঘাট, দোকানপাট তেমন কিছুই চিনি না।

এখানকার বাঙালি ভাইয়েরা পইপই করে বলে দিয়েছেন, খবরদার, এখানকার লোকাল দোকান থেকে মাংস কিনবে না। এইগুলা সব হারাম। মুসলমানদের দোকান থেকে মাংস কিনবা। পোলাপান নিয়ে এ দেশে আসছ, ধর্ম ঠিক রাখতে হবে। যেখান সেখান থেকে ফাস্ট ফুড খাবে না। হালাল সার্টিফিকেট চেক কইরা তারপর খাবে।
জানা গেল, আমার বাসা থেকে প্রায় পনেরো কিলোমিটার দূরে আফগানদের কয়েকটা কসাইখানা আছে। সরাসরি বাসে যাওয়া যাবে না। কয়েকবার বাস চেঞ্জ করতে হবে। প্রায় দেড় ঘণ্টার ধাক্কা। মহাসমস্যার মধ্যে পড়লাম দেখি। এদিকে ছেলেরাও বাসার মধ্যে বসে আছে অনেক দিন। আজ রোববারের বড় চাচার মতো সারা দিন বিরক্ত মুখে হাঁটাহাঁটি করে আর মাঝে মাঝে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। ভাবখানা এমন যেন তাদের এ কোথায় এনে ফেলা হলো। আমার স্ত্রীর ভাবগতিকও খুব একটা সুবিধার ঠেকছে না। যেকোনো মুহূর্তে অগ্নিবর্ষণ শুরু হতে পারে। সবাইকে নিয়ে ঘরের বাইরে যাওয়া দরকার। ঢাকাতে বাসা থেকে বের হয়েই রিকশা পাওয়া যায়। এখানে সে ব্যবস্থা নাই। হয় বাস, না হলে হাঁটতে হবে। বাসে সব জায়গাতে যাওয়া যায় না। হেঁটে যেতেও অনেকখানি রাস্তা। বাংলাদেশের মতো এত হাতের কাছে সবকিছু পাওয়া যায় না। এখানকার মানুষেরা দেখি মহা আনন্দে সারা দিন হাঁটাহাঁটি করে। আমরা এখনো অভ্যস্ত হতে পারিনি। একটু হাঁটলেই বুকে হাঁফ ধরে যায়, পায়ের গিঁটে গিঁটে ব্যথা করে।
একদিন এখানকার এক বড় ভাই, নাম রাজু ভাই, তিনি বললেন, গাড়ি চালাইতে পার? তাহলে একটা পুরোনো দেখে গাড়ি কিনে ফেল। আমি বিশাল উৎসাহ নিয়ে বললাম, পারি না মানে, ঢাকাতে প্রায় চার বছর গাড়ি চালিয়েছি না? আমার কথাকে তিনি খুব একটা পাত্তা দিলেন বলে মনে হলো না। মুখ তিতা করে বললেন, এখানকার নিয়মকানুন আলাদা। উল্টাপাল্টা চালালে অনেক টাকা ফাইন খাইবা। আমি মিনমিন করে বললাম, ভাই যে বাংলাদেশে একবার গাড়ি চালিয়েছে সে দুনিয়ার সব জায়গাতেই গাড়ি চালাইতে পারবে। রাজু ভাই হুংকার দিয়ে উঠলেন, তারপর বললেন, এই সব ধুনফুন আমারে কবা না। বাংলাদেশি লাইসেন্স নিয়া যত গুলান এইখানে আইসা গাড়ি চালাইতে গেছে মোটামুটি সব গুলানই ধরা খাইছে।
কোনোমতে তাকে ম্যানেজ করলাম। তারপর​ ঠিক হলো, তিনি সামনের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আমাকে নিয়ে গাড়ি দেখতে বের হবেন। এর মধ্যে আমি যেন ইন্টারনেটে কিছু গাড়ি দেখে রাখি। পুরোনো গাড়ি কেনাবেচা করার সাইটগুলোতে খোঁজাখুঁজি শুরু করলাম। একটা গাড়ি পছন্দ হোল। দাম ৩৫০০ ডলার। রাজু ভাইকে ফোন দিলাম। তিনি বললেন, যদি আমি পারি তাহলে যেন গাড়ির মালিকের সঙ্গে একটা সময় ঠিক করে রাখি। ফোন দিলাম। গাড়ির মালিক জানাল আজকে রাত ৮টাতে সে সময় দিতে পারবে। রাজু ভাই শনিবার ছাড়া যেতে পারবেন না। শনিবার আসতে এখনো চার দিন বাকি। ভাবলাম নিজেই যেয়ে একবার দেখে আসি। গুগল ম্যাপ দেখে মোটামুটি ঠিক করে ফেললাম কীভাবে যেতে হবে।
বাস যেখানে আমাকে নামিয়ে দিল সেখান থেকে বেশ কিছু দুর হাঁটতে হবে। দিক নিয়ে আমার কিছু সমস্যা আছে, দিক ঠিকমতো বুঝতে পারি না। মে মাসের শেষের দিক। পাঁচটার মধ্যেই সন্ধ্যা। কনকনে ঠান্ডা। আশপাশ গাছপালাতে ভরা, প্রায় জঙ্গলের মতো। রাস্তার ওপারে একটা ছোট নদী আছে মনে হোল। অনেক দূরের একটা ল্যাম্পপোস্ট থেকে হালকা আলো আসছে। কোনো মানুষজন নেই, গাড়িও যাচ্ছে কালেভদ্রে দু-একটা। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হোল। এখানে শীতের বৃষ্টি মোটেও আনন্দের কিছু না। সুচের মতো গায়ে বিঁধে। আমি পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার মতো দিকভ্রান্ত হয়ে গেলাম। শেষমেশ গাড়ির মালিককে ফোন দিয়ে আমার অবস্থা কোনোমতে তাকে বোঝালাম। কিছুক্ষণ পর সে গাড়ি নিয়ে এসে আমাকে তার বাসাতে নিয়ে গেল। গাড়ির মালিক কম বয়সী শ্বেতাঙ্গ, কথাবার্তাতে চালাক চতুর ভাব। সে নিজেই গাড়ির মেকানিক। আমাকে সে মোটামুটি রাজি করিয়ে ফেলল গাড়িটা কেনার জন্য। আমি দামাদামিতে কোনোকালেই ভালো ছিলাম না। এখানেও খুব একটা সুবিধা করতে পারলাম না। গাড়ির মালিক আমাকে বলল, সে নিজেই অবাক হচ্ছে, এত কম দামে আমাকে সে কেন গাড়িটা দিচ্ছে। তার কথাতে আমি চমৎকৃত হলাম। মোটামুটি বিশ্বাস করে ফেললাম, গাড়িটা কিনলে আমার বিরাট লাভ হবে। এরপর যখন সে আমাকে বলল, সে আমাকে বাসাতে নামিয়ে দিয়ে আসবে, তখন আমি একেবারেই বিগলিত হয়ে গেলাম। এত বড় সুযোগ যাতে হাতছাড়া না হয় সে জন্য আমি দুই শ ডলার অ্যাডভান্স দিয়ে দিলাম। সে আমাকে বাসাতে নামিয়ে দিয়ে গেল। কথা থাকল, শনিবারে বাকি টাকা দিয়ে গাড়ি নিয়ে আসব।
আমার স্ত্রী গাড়ির ব্যাপারে খুব একটা উচ্ছ্বাস দেখাল না। জিজ্ঞেস করল, কত টাকা অ্যাডভান্স করলে?
আমি কমিয়েই বললাম, এক শ ডলার।
আমার স্ত্রী তখনো ডলারে অভ্যস্ত হতে পারেনি। বিরক্ত মুখে বলল, টাকাতে বলো।
বললাম, প্রায় আট হাজার। আমার স্ত্রীর হিসাব জ্ঞান খুব টনটনে। বলল, রসিদ নিছ?
আমি মিনমিন করে বললাম, না।
সে আমার দিকে এমন ভাবে তাকাল যে, আমি ভয়ে কুঁকড়ে গেলাম। দুর্বল গলায় বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে, এই দেশের লোকেরা কত সৎ।
আমার স্ত্রী কঠিন জিনিস। শীতল স্বরে বলল, কোনো কাগজপত্র ছাড়াই তুমি এতগুলা টাকা দিয়া দিলা? মানুষ বোকা হয়, কিন্তু তুমি শুধু বোকা না, মোটামুটি নির্বোধ। এই লোক যদি এখন অস্বীকার করে তাহলে কি হবে? টাকা কি গাছে ধরে? জমিদার হইছ?
রাজু ভাই সবকিছু শুনে থম মেরে গেলেন। কঠিন গলায় বললেন, সবতো করেই ফালাইছ। বাকি টাকা দিয়া গাড়ি নিয়া আসো গিয়া। আমারে তো দরকার নাই। আমি হাত কচলাতে কচলাতে বললাম, আমার ভুল হয়ে গেছে। আপনাকে ছাড়া হবেই না। তিনি একটু নরম হলেন বলে মনে হলো। বললেন, শোন আমি এ দেশে এগারো বছর ধরে আছি। এখনো সাদাদের সঙ্গে ডিল করতে গেলে দশবার ভাবি। আর তুমি এসেই কাগজ ছাড়া বায়না করে ফালাইলা? তুমি তো বিশাল কারবারি হে। আমি বিনীত স্বরে বললাম, ঘটনা যা ঘটার ঘটে গেছে। এখন আপনিই ভরসা। তিনি এবার একেবারেই গলে গেলেন। মধুর গলায় বললেন, পোলাপান মানুষ, একটা ভুল করেই ফালাইছ। অসুবিধা নাই, আমি তো আছি। আমি ভালোর ভালো আর খারাপের...বাকিটা আর বললেন না, শুধু হাত দিয়ে গলার কাছে একটা পোঁচ দিলেন। আমার বুকের ভার নেমে গেল।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজু ভাই চলে আসলেন। সঙ্গে করে আরেকজনকে নিয়ে আসলেন। শাবির ভাই, বাংলাদেশে আর্মিতে ছিলেন। এখানে অ্যাকাউনটেন্ট। বাকি সময় খেলাধুলা করেন অথবা মানুষের উপকার করে বেড়ান। খুব দিলখোলা মানুষ। তিনি এসেই আমার কাঁধ ধরে বিশাল একটা ঝাঁকি দিয়ে বললেন, কি মিয়া, গাড়ি যে কিনবা, গাড়ি কি চালায়া দেখছ? আমি বিমর্ষ ভাবে বললাম, না ভাই, খেয়াল ছিল না। আমার বোকামিতে তাকে খুব আনন্দিত মনে হোল। বললেন, কোনো সমস্যা নাই। আজকে আমি গাড়ি টেস্ট করব। গাড়ির চৌদ্দ গুষ্টির ইতিহাস বাইর করে ফালাব। আমার সঙ্গে ধান্দাবাজী? তার এত আনন্দের কারণ আমি ধরতে পারলাম না।
রাজু ভাইয়ের গাড়িতে করে আমরা গেলাম। আজকে গাড়ির মালিকের সঙ্গে দেখলাম তার বান্ধবীও আছে। দুজনের গায়েই দৌড়ানোর পোশাক। আমার সঙ্গে তাদের দেখে ছেলেটার চোখ সরু হয়ে গেল। সে কোনো ভূমিকার মধ্যে গেল না। আমাকে জিজ্ঞেস করল, আমি বাকি টাকা এনেছি কি না। রাজু ভাই বললেন, কেনার আগে আমরা গাড়িটা একটু চালিয়ে দেখতে চাই। ব্যাপারটা মনে হয় তার পছন্দ হলো না। আমাকে দেখিয়ে বলল, ও তো গাড়ি পছন্দ করেছে আর টাকাও অ্যাডভান্স করেছে। তোমরা আবার কেন গাড়ি চালিয়ে দেখবে? অনেক বোঝানোর পর সে রাজি হোল। ঠিক হোল যে শাবির ভাই চালাবেন আর সে পাশে বসে থাকবে। সে অবশ্য তার বান্ধবীকে আমাদের কাছে রেখে যেতে ঠিক ভরসা পাচ্ছিল না। দেখলাম সে কানে কানে কি যেন বলল। মনে হয় বাসার ভেতরে যাওয়ার জন্য। মেয়েটি বলল, কোনো সমস্যা নাই, সে আমাদের সঙ্গেই থাকবে।
পাঁচ মিনিট পরেই তারা ফিরে আসল। শাবির ভাইয়ের মুখ চোখ শুকনা। গাড়ি থেকে নেমেই আমাদের কাছে ফিসফিস করে বললেন, খবরদার, এই গাড়ি কেনা যাবে না। ইঞ্জিনের কোনো পাওয়ার নাই। একটু ওপরে উঠতে গেলেই বুড়ো মানুষের মতো হাঁপাইতে থাকে। এই গাড়ি কেনা আর আশি বছরের বুড়ি বিয়া করা একই কথা। এই গাড়ি তোমারে টানতে পারবে না, উল্টা দেখবা যে তোমাকেই টানতে হচ্ছে। আমাদের এই কানাঘুষা দেখে ছেলেটার কেমন যেন সন্দেহ হোল। কাছে এসে বলল, কোনো সমস্যা? শাবির ভাই বললেন, গাড়ি আমাদের পছন্দ হয়নি। আমরা আরেকটু ভালো গাড়ি কিনতে চাই। ছেলেটা থমথমে গলায় বলল, তার মানে তোমরা বলতে চাও আমার গাড়ি কিনবে না? রাজু ভাই আমতা-আমতা করে হ্যাঁ বললেন। ছেলেটা শীতল গলায় বলল, তোমরা এখনই এখান থেকে চলে যাও। তোমাদের কাছে আমি গাড়ি বেচব না। রাজু ভাই বললেন, ঠিক আছে, তাহলে অ্যাডভান্সের টাকাটা ফেরত দাও। নিমেষেই ছেলেটার চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেল। সে গলা চড়িয়ে হড়হড় করে চোস্ত ইংরেজিতে যেটা বলল তার সারমর্ম হলো, সে বৃষ্টি বাদলার মধ্যে আমাকে বাস স্টপ থেকে নিয়ে এসেছে আবার বাসাতে পৌঁছে দিয়েছে। এই উদারতা সে দেখিয়েছে কারণ আমি তার গাড়ি কিনতে চেয়েছি। এখন হয় আমাদের বাকি টাকা দিয়ে গাড়িটা নিতে হবে না হলে খালি হাতে বিদায় নিতে হবে। শাবির ভাই একটা রফা করার চেষ্টা করলেন এইভাবে যে, আমাকে গাড়িতে করে বাসাতে নামানোর জন্য সে পঞ্চাশ ডলার রেখে বাকি টাকা ফেরত দিয়ে দিক। এবারে সে গালির তুবড়ি ছোটাল। যার বেশির ভাগই এক বিশেষ শারীরিক সম্পর্ক বিষয়ক। এই বিশেষ গালির ব্যাপারটিকে এরা মোটামুটি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। শাবির ভাই হুংকার দিয়ে বললেন, মুখ সামলে কথা বল, না হলে পুলিশ ডাকব। এতে সে আরও উত্তেজিত হয়ে উঠল আর পুলিশের সঙ্গেও সেই বিশেষ শারীরিক সম্পর্ক করবে বলে জানাল।
রাজু ভাই বললেন, অবস্থা সুবিধার না। কেটে পড়াই ভালো। এইগুলারে জাঙ্কি বলে। তুমি জাঙ্কির পাল্লায় পড়ছ। দু শ ডলারের ওপর দিয়া গেছে, এই গাড়ি কিনলে দুই হাজারেও পার পাইতা না। কি আর করা, রাজু ভাইয়ের মতো মানুষ, যিনি ভালোর ভালো আর খারাপের...কথা বলেছিলেন, তিনিও এখানে সুবিধা করতে পারলেন না, সেখানে রণে ভঙ্গ দেওয়াই মঙ্গল। বাসার দিকে রওনা দিলাম। শাবির ভাই পুরা ঝিম মেরে গেছেন। একটু পরপর বিড়বিড় করে কি যেন বলছেন। শালার বেটা শব্দটা কয়েকবার শুনলাম বলে মনে হোল।
বাসাতে ফেরার পর আমার স্ত্রী বলল, গাড়ি কিনছ?
আমি ভাব নিয়া বললাম, না, গাড়ির সমস্যা আছে।
ও আচ্ছা। টাকা ফেরত দিয়েছে?
দেবে না মানে। টাকা হাতে নিয়েই দাঁড়িয়ে ছিল। আমি অবশ্য কিছু টাকা কম নিয়েছি।
কেন?
বেচারা কষ্ট করে আমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়া গেল। ট্যাক্সি করে আসলেও তো টাকা লাগত। তাই বিশ টাকা হাতে ধরায় দিয়া আসলাম। নিতে চাচ্ছিল না। বেচারার শুকনা মুখ দেখে মায়া হলো।
ভালো করেছ। এখন হাতমুখ ধুয়ে খেতে আসো। ছেলেরা তোমার জন্য বসে আছে।
খেতে বসে ধাক্কার মতো খেলাম। বিরিয়ানি রান্না করা হয়েছে। আমি বললাম, বাজার করলা কীভাবে?
আমার স্ত্রী বলল, এক বাঙালি ভাবি এসেছিলেন। ওনার গাড়িতে করে বাজার করে এনেছি। এক ভারতীয় দোকান থেকে পানও এনেছি। খেয়ে ওঠ, দেব।
আমি অভিভূত হয়ে গেলাম। রাতে শোওয়ার সময় আমার স্ত্রী আমাকে বলল, তুমি যে টাকা ফেরত পাওনি তা আমি জানি।
আমি মিনমিন করে বললাম, জানলে কীভাবে?
আমার স্ত্রী বলল, তুমি যখন মিথ্যে বল আমি খুব সহজেই ধরে ফেলি।
আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলি। আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে আমার স্ত্রী রসিয়ে রসিয়ে বাঙালি ভাবিদের আমার এই বেকুবির গল্প করবে আর তারা একে অন্যের গায়ে ঢলে ঢলে পড়বে। স্ত্রীরা কোনো একটা বিচিত্র কারণে স্বামীদের বোকামির গল্প করে আনন্দ পায়।

(লেখক সফটওয়্যার প্রকৌশলী)