খিল্লি পানের গল্প
খিল্লি পান। কারও কাছে খুবই শখের বস্তু। কারও কাছে আবার নেশার সাথি। অনেকের পান–সুপারিতে আসক্তি অনেক। দক্ষিণ এশিয়াসহ আমাদের দেশে অনেক নারী-পুরুষ পান–সুপারিকে নানা উপাচারে স্থায়ীভাবে আবদ্ধ করে রেখেছেন। রেখেছেন শখের সাথি করে।
পান বিষয়ে যত টুকুন জেনেছি তার আংশিক মায়ের পান খাওয়ার চর্চা থেকে। আমার মায়ের পান খাওয়ার শখ ছিল গল্পের মতো। খুবই শৌখিনতার আদলে পান খেতেন।
পানের সঙ্গে সুপারি হলো এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বলা চলে জোড়া সহোদর। একজনকে ছাড়া অন্যজন হয়ে যায় রসহীন ও অসম্পূর্ণ। সিলেট অঞ্চলে দুজাতের সুপারির প্রচলন ছিল। এক ধরনের সুপারি সরাসরি গাছ থেকে সংগ্রহ করে পানের সঙ্গে খাওয়া হতো। অন্যটি পুকুরে বা মাটির নিচে বিশেষ প্রক্রিয়ায় রেখে সুপারিকে পচিয়ে খাওয়া হতো যাকে কেউ বলতেন পচা সুপারি, আবার কেউবা আঞ্চলিক ভাষায় বলতেন ‘মজাইল সুপারি’। সঙ্গে স্বাভাবিক শুকনো সুপারির ব্যবহার ছিল সমান সমান, যা এখনো আছে।
বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই পান কম বেশি জন্মায়। স্থান ভেদে পানের নাম ও ধরনের ভিন্নতা আছে। পানের জনপ্রিয় জাতের মধ্যে খাসিয়া পান, বাংলা পান, সাচি পান, মিঠা পান। অন্য জাতের আরও পান আছে। ভাবনা নামের এক প্রজাতির পানের চাষ ও ব্যবহার বেশি হয় যশোর ও রাজশাহী অঞ্চলে। গাছ পান ও ঝাল পান বলে পুরু একজাতীয় পান যার স্থানীয় নাম রশিদপুরী। তার ব্যাপক উৎপাদন ও ব্যবহার হয় সিলেটে।
এ ছাড়া পানের আরও কিছু বাহারি জাত আছে—যেমন চালতা, মহানলী ও চেরিফুলি, যার প্রচলন বেশি বরিশালে। চট্টগ্রামে উৎপন্ন হয় জনপ্রিয় জাত মহেশখালী ও গাছ পান, যা পাওয়া যায় মহেশখালী টেকনাফ ও উখিয়া অঞ্চলে। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া আরও কিছু বাহারি নামের পানের জাত যেমন ভাওয়াল (ময়মনসিংহ), জাইলো (বাগেরহাট), সন্তোষী (নবাবগঞ্জ), নাদিয়াবাসুত, উজানী, কর্পূরী। সীমিত আকারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এসব নানা জাতের পানের চাষ হয়। পান–সুপারি কেনা হতে শুরু করে নিজে খাওয়া অথবা মেহমানদের পরিবেশনায় ভিন্ন কায়দা–কানুন আছে। বিশেষ করে বিয়ে বাড়ির আনুষ্ঠানিকতায় বর ও কনে পক্ষের মধ্যে পানদান বিনিময়ে ছিল সূক্ষ্ম প্রতিযোগিতা। অন্দর মহলে নিজ বাড়ি অথবা পাড়ার বউ ঝি’দের যারা পানদান সাজানোর বিশেষ কায়দা–কানুন জানতেন তাঁদের বিশেষ খাতির করা হতো। আর সেই সাজানো পানদানগুলো সব সময় থাকত নানা কারুকার্যময়। পানদানে প্রথমে সাচি ও মিষ্টি পানের সঙ্গে হরেক জাতের সুপারির সঙ্গে ১৫/২০ জাতের মসলা ও জর্দা থাকত। এরপর ঢাকনা লাগিয়ে ওপরে লাগানো হতো রঙিন কাগজের হাতে কাটা হরেক ডিজাইনের ঝালর। এখানেই শেষ না, তৈরি পানদানকে সিল্কের তৈরি ছাপানো রঙিন রুমাল দিয়ে বেঁধে কনে অথবা বরের বাড়ি পাঠানো হতো। সিল্কের সেসব রঙিন রুমাল আসত সৌদি আরব থেকে। হাজিরা সৌদি আরবে হজ করে দেশে আসার সময় নিয়ে আসতেন। সঙ্গে জমজমের বোতলভর্তি পবিত্র পানি।
আম্মার পান খাওয়ায় ছিল নানা ব্যতিক্রমী বিষয়। পছন্দ করতেন ঝাল ও পুরু ধরনের রশীদপুরী পান, যা পাওয়া যেত চায়ের শহর শ্রীমঙ্গলে। ষাট ও সত্তর দশকে প্রতি পরিবারে গড়ে আট আনা থেকে ১ টাকার পান (আনুমানিক ২৪ পিস) লাগত। সেখানে আমাদের বাসায় দেখতাম প্রতিদিন পান আসত কমপক্ষে ২/৩ টাকার। সঙ্গে কয়েক ধরনের জর্দা। তামাক পাতাকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় গুয়ামুড়ি, ছফসহ আরও দু–এক জাতের মসলা সহযোগে বানানো হতো কড়া সুগন্ধি বিশেষ মিশ্রণ। এলাচি দানাকে খুলে রাখা হতো দানাদার মসলার আদলে। পানের সঙ্গে মসলা মুখে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সুভাস ছড়িয়ে পড়ত চারদিকে। এই মসলার টানেই সম্ভবত পাড়ার খালা ও চাচিরা আমাদের বাসায় আসতেন প্রতি সন্ধ্যায়। আর মজাদার চা আর পানের জমজমাট আড্ডা চলতো রাত নয়টা অবধি। কখনো কোন কোন মুরব্বি, মা খালারা বসতেন তাবলিগ জমায়েতে। দীনের কথা আলাপ হতো। শুদ্ধ করে নামাজ শিক্ষার আলোচনাসহ আমল আর আখলাকের জরুরি মাসায়েলের বিষয়ে আলোচনা চলতো দীর্ঘক্ষণ।
এসব আলোচনার প্রধান ভূমিকায় থাকতেন শিক্ষক মরহুম মওলানা মদরিস আলী খান সাহেবের বিবি। তাঁকে আমরা ডাকতাম খালাম্মা। সদ্য দুনিয়া ছেড়ে যাওয়া সাবেক বিমান কর্মকর্তা শোয়েবের আম্মা ছিলেন তিনি। জমায়েত শেষ হওয়ার পর চা, নাশতা ও পান পরিবেশনের দায়িত্ব ছিল আমাদের আম্মার ওপর।
পান নিয়ে আরও একটি মজার গল্প আছে আমার আম্মার। ষাট দশকের মাঝামাঝি ঢাকা-সিলেট বিমানের যাত্রী পরিবহনে। তৎকালীন পিআইএর পাখাওয়ালা ফকার ফ্রেন্ডশিপ উড়োজাহাজের ফ্লাইট ছিল দিনে দুবার। সেই সময় বহরে যুক্ত হলো ছোট আকারের মাত্র ১৫/১৬ যাত্রী বহনযোগ্য স্টল নামের এয়ারক্র্যাফট, যেটি সিলেটের আরেকটি বিমানবন্দর শমসেরনগরে স্টপ ওভার করত সামান্য সময়ের জন্য। উড়োজাহাজের জন্য আলাদা সিঁড়ির দরকার পড়ত না। মূল দরজাই ছিল ওঠা–নামার সিঁড়ি। যত দূর জানি নিরাপত্তাজনিত কারণে সেই বিমানবন্দরের ব্যবহার পরে বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকা-সিলেট-ঢাকা অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ভাড়া দুই অঙ্কের বেশি ছিল না। তেমনি একটি ফ্লাইটে আব্বা ও আম্মা ঢাকা যাবেন। টিন শেডের চার চালের ছাউনি দেওয়া লাল বাংলো টাইপের বিল্ডিং ছিল মূল টার্মিনাল। সকালের ফ্লাইট ধরবেন বলে আগের দিন সিলেট গেলেন। লাগেজসহ সালুটিকর বিমানবন্দর (সিলেট বিমানবন্দর) হতে পাখাওয়ালা বিমানে উড়লেন আব্বা–আম্মা। খানিক পরই আবিষ্কার হলো, আম্মার হাতলওয়ালা ছোট বাক্স সমান রুপার তৈরি শখের পানদান পাশে নেই। সেটির ঢাকনার ভেতর খোপে খোপে সুপারি ও নানা জাতের জর্দা ছাড়া হরেক রকমের মসলা রাখা ছিল। প্রথমে নিচু স্বরে আব্বাকে জানালেন ‘ভয়াবহ’ সেই দুঃসংবাদ। এরপর বারবার আব্বাকে তাগাদা দিতে লাগলেন কিছু একটা করার জন্য। সেই সময় অধিকাংশ বিমানবালা ছিলেন উর্দুভাষী। ভাগ্যক্রমে একজন বাংলাভাষী বিমানবালা আম্মার আহাজারি শুনে এগিয়ে এলেন। সব শুনে উড়োজাহাজের পাইলটের সঙ্গে কথা বলে আসলেন। জানালেন, পাইলট সিলেটে যোগাযোগ করেছেন। কিছুক্ষণ পর পেলেন সুসংবাদ। পানদান পাওয়া গেছে, ওয়েটিং রুমে। তবে ইতিমধ্যে তা অর্ধেক খালি হয়ে গেছে। বাকিটুকু খালি হওয়ার পথে। মানে বিমাবন্দর ব্যবস্থাপকের অফিসের সবাই এই মজাদার মসলা যুক্ত পানের স্বাদ নিচ্ছেন।
ঢাকা পৌঁছে জানা গেল, উড়োজাহাজের পাইলট হলেন গুটিকয়েক তরুণ বাঙালি পাইলটদের একজন, সিলেট নিবাসী মরহুম আলতাফ চৌধুরী। যিনি বাঙালি বলেই বুঝেছিলেন পান–সুপারিসহ খানদানি পানদানের আসল মর্ম। তাই তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। আর সে জন্যই আমার মা ফেরত পেয়েছিলেন তাঁর শখের পানদান।
আশির দশকের প্রথম দিকে আমি আর বন্ধু জাহানুর গেলাম ভারতে। ৩/৪ দিন কলকাতা থাকাকালে আমাদের থাকার হোটেল ছিল রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে। রাতে ভাত খেয়ে রাস্তা পেরিয়ে এক পান দোকানে এলাম। কলকাতার পান দোকানগুলো বুক সমান, কোথাও কোমর সমান উঁচুতে। সামনে উঁচু করে রাখা পানের ঢিবি আর তার পাশের থাকে শ খানেক মসলা। বড়সড় মাটির পাত্রে চুনের আয়োজন। বললাম, ‘দাদা বাবু দুটো পান চাই! দাদা বাবু মাঝারি সাইজের দুটো পান বের করে লাল কাপড় দিয়ে মুছলেন। তারপর শুরু হলো চুন ও খয়ের ঘসানো। ঘষছেন তো ঘষছেন। আর তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছেন। আমরা বোকার মতো হেসে ওর হাসিতে শরিক হয়ে আছি। পানে ২/৩ টুকরো সুপারি দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আর কিছু দেব? বললাম, দিতে পারেন ভালো জাতের কিছু মশল্লা। সঙ্গে নামও বললাম, পান পরাগ, গুয়ামুড়িসহ কয়েকটি নাম। এরপর হাতের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বললাম, সামান্য বাবা জর্দা দিয়েন।
সঙ্গে সঙ্গে পিলে চমকানো হাসি দিয়ে হিন্দিভাষী পান দোকানি বলে উঠল, মেরা পাস তুরা (সামান্য) বাবা নেহি হ্যায়। মেরা পাস বড়া বড়া (বিরাট বিরাট) বাবা হ্যায়! আপনাদের লাগবে? চট করে বুঝে নিলাম, দোকানি আমাদের নিয়ে মজা করছে। আমাদের ভ্যাবাচেকা ভাব দেখে জিজ্ঞেস করল, বাংলাদেশ থেকে এসেছেন? দুজনে মাথা নেড়ে বললাম, জি। আপনার কি কোন সমস্যা হলো? জবাবে শতভাগ বিনয়ের ভাব নিয়ে বলল, নেহি ব্রাদার কোনো সমস্যা নাই! কারণ তোমরা বাংলাদেশি লোক স্রেফ বাবা কো জানতা হ্যায়। সবাই শুধু বলে, বাবা দিজিয়ে, বাবা দিজিয়ে।
বহু কষ্টে ওর বাদরামি সহ্য করে বললাম, ঠিক আছে তোমার কাছে যা আছে তাই দাও। তাকে রাখা কালো একটি কৌটা যাতে হনুমানের ছবি। সেটি দেখিয়ে বলল, এটি নিতে পারো, বহুত ভালো জর্দা। টেস্ট ভি মিলেগা, সোয়াদ ভি মিলেগা। শুনেই ভাবলাম পাইছি তোমারে, এবার আমার জবাব সমজে নাও দয়া করে! হনুমান মার্কা জর্দা দেওয়া পানের খিলি দুটো হাতে নিয়ে, দুহাটু মুড়ে আসন দিয়ে বসা দোকানির এক হাঁটুতে আস্তে করে টোকা দিয়ে বললাম, আপ বহুত সমঝদার। আপনি আপনা বাপ কো নেহি জানতা হ্যায়! মগর আপকো জাত ভাইকো (জর্দার ডিব্বা দেখিয়ে) পেহচান লিয়া।
বাংলায় যা দাঁড়ায়, তুমি বেশ বুঝদার ব্যক্তি! নিজের বাপ কে না জানলেও নিজের জাত ভাইকে ভালোই চিনতে পেরেছ। বলেই এক দৌড়ে রাস্তা পার হয়ে হোটেলে। আর কখনো ওই দোকানে পান খেতে যাইনি!
রাজশাহী বিভাগের বাঘা উপজেলায় এক মাজারের মেলায় সিদ্দিকুর রহমান নামে এক ব্যক্তি নানা জাতের ভিন্ন ভিন্ন দামে পানের খিলি বিক্রি করেন। বেশ জনপ্রিয় এসব পানের খিলি। এর জন্য অনেকেই ভিড় জমান এই দোকানে। পানের খিলির আছে বাহারি নাম। দামে রয়েছে ভিন্নতা। চমকে ওঠোর মতো। যেমন নবাব পানের খিলি। শ খানিকের কাছাকাছি মসলা সঙ্গে সামান্য পরিমাণ সুপারি গুঁড়ো। মাত্র ১ হাজার ৫০ টাকা। নবাব পান পরিবেশন হয় পালকি ডিজাইনের কারুকার্যময় পানদানে। তারপর বাদশাহীপান, জমিদার পান ৫০০ টাকা প্রতিটি। নানা জাতের ভেষজ আইটেম দিয়ে বানানো আয়ুর্বেদিক পান। রসময় সম্পর্কের নামের পানের খিলি। বেয়াই–বেয়াইন পান, শালী–দুলাভাই পান, ভালোবাসা পান, হাসি–খুশি পান। এখানেও দামের তারতম্য আছে। রাজনীতিবিদরা যেভাবে এক মুহূর্ত পাবলিকের মঙ্গল চিন্তা ছাড়া থাকতে পারেন না, রাজশাহীর সিদ্দিক ভাই সব ধরনের মানুষের জন্য বানিয়েছেন জনতা পান। প্রতিটি ২০ টাকা। মাঝে মধ্যে মূল্য হ্রাসে দাম নেমে আসে ১০ টাকায়। এত গেল উত্তরবঙ্গের কথা।
পুরান ঢাকায় এখনো দেখা যায় জরির কাজ করা লাল রঙের ওয়েস্ট কোট। সঙ্গে তেরচা করে জরির কাজের লাল টুপি পরে উর্দু শের বলতে বলতে বিক্রি করে মসলাদার পানের খিলি। উৎসব পার্বণে বিশেষ করে দুই ঈদের আগেভাগে অগ্রিম অর্ডার দিয়ে রাখা হয়।
চট্টগ্রামের মহেশখালী ও সিলেটের নানা অঞ্চলে নানা নামের হরেক জাতের মসলাদার পানের খিলি বিক্রি হয়। কোন কোন জায়গায় সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকাদের নামে পানের খিলির নামকরণ হয়। যেমন কারিশমা পান, কাজল পান, ববিতা পান, ক্যাটরিনা পান—এমন আরও অনেক নাম।
মজাদার পান সেবনের গল্প শুনুন। আমার এক আমেরিকা প্রবাসী আত্মীয় অনেক দিন দেশে যান। ১৯৯৮/৯৯ সালে প্রায় ১৫/১৬ বছর পর দেশে যাওয়ার পথে লন্ডনে দুদিন যাত্রাবিরতি করলেন। আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর বললাম, লন্ডনে কোথায় যাবেন আর কি দেখবেন? উত্তরে বললেন, শুনেছি ব্রিকলেন, বাংলা টাউনে নাকি দেশের স্টাইলে পানের দোকান আছে। অনেক দিন হয় মজা করে পান খাই না। আমার বড়ই শখ কাঁচা সুপারিসহ বাবা জর্দা আর মসলা দিয়ে মুখ ভর্তি করে একটি মজাদার পান খাব। সঙ্গে একটি কড়া গোল্ড লিফ সিগারেটে সুখ টান।
সেই আত্মীয়ের চক চক করা চোখে দেখলাম দেশকে দেখার। কাঁচা মাটির সোঁদা সোঁদা সুভাস নেবার হাজারো আকুতি চোখে মুখে ভেসে উঠছে। সঙ্গে সঙ্গে নিজের মনের কোণে ভেসে উঠল ফেলে আসা শহরে এক প্রিয় বড় ভাইকে প্রায়ই দেখতাম। সুনামগঞ্জ বাজারে এক দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে মুখভর্তি করে পান খেয়ে দামি এক শলা সিগারেটে টান দিয়ে জিজ্ঞেস করতেন, রুপু, কেমন আছ? সবকিছু ঠিক মতো চলছে তো?