কেনিয়ায় ৭ মার্চ উদ্যাপন
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদ্যাপন করেছে দেশটির বাংলাদেশ হাইকমিশন। মিশন চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার। মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে মিশনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর মুক্ত আলোচনায় বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বের গুণাবলি আর অসামান্য অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
হাইকমিশনার সমাপনী বক্তব্যে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ত্যাগ-তিতিক্ষা, দেশপ্রেম আর সম্মোহনী নেতৃত্বের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা অর্জনে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তাঁর মতো নেতা না এলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় সম্ভব হতো না। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ যুগ যুগ ধরে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’–এর অন্যতম সম্পদ হিসেবে পরিগণিত হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী–সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘রূপকল্প-২০২১’ ও ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
আলোচনার শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ভিডিও প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি