কেনিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত
কেনিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করেছে। ১৩ মার্চ এ উপলক্ষে মিশন চত্বরে প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের এক চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু-কিশোর তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ওপর এই চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ ছাড়া স্থানীয় স্বনামধন্য বিদ্যায়তন পটারহাউস স্কুলের সঙ্গে যৌথ আয়োজনে স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রবন্ধ রচনা করে।
মিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৭ মার্চ সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন হাইকমিশনার তারেক মোহাম্মদ। মিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এরপর জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন হাইকমিশনার। এ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়।
মিশনে ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ওপর আলোচনা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং চিত্রাঙ্কণ ও প্রবন্ধ লিখনের পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশি শিশু-কিশোরদের কলকাকলিতে অনুষ্ঠানস্থল মুখরিত হয়ে ওঠে। এ সময় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিশু-কিশোরকে পুরস্কার দেওয়া হয়। পরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শিশু-কিশোরদের বক্তৃতার মাধ্যমে পুরস্কার বিতরণী পর্ব শেষ হয়।
হাইকমিশনার সমাপনী বক্তব্যে উপস্থিত সবাইকে মুজিব বর্ষ ও সদ্য সমাপ্ত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানান। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাঙালির স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, অনবদ্য অবদান ও অসীম ত্যাগ তিনি গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন।
জাতিসংঘের শিশুসনদ ঘোষণার অনেক আগেই ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর শিশুর স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য শিশু আইন প্রণয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবতেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অর্জনে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। উন্নয়নের এ অভিযাত্রায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বিজ্ঞপ্তি