কেনিয়াতে জাতীয় শোক দিবস পালন
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে দিনব্যাপী কর্মসূচি ও যথাযথ মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে দেশটির বাংলাদেশের হাইকমিশন। গত রোববার সকালে মিশন চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সায়েম আহমেদ। মিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দুপুরে স্থানীয় মসজিদে এক বিশেষ দোয়া এবং বিকেলে মিশনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মিশনের খোলা চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক উপস্থিতি করোনা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অংশগ্রহণ করেন। জাতির জনক ও ১৫ আগস্টের কালরাতে শাহাদাতবরণকারী তাঁর পরিবারের সদস্য ও অন্যান্য ব্যক্তির স্মৃতির সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়। উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা জাতির জনকের কর্মময় জীবন ও মহান অবদান শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করে বলেন, তাঁর আজন্মলালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ গড়া। আলোচনার একটি আকর্ষণীয় অংশ ছিল জাতির জনকের মহান জীবন ও কর্মের ওপর বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বক্তব্য। আগামীর নেতৃত্ব ছোট্ট সোনামণিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ উপস্থিত সবার হৃদয়কে স্পর্শ করে।
সমাপনী বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাতির জনক আর ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘এ মহান নেতা আমাদের একটি মানচিত্র ও পতাকা দেওয়ার জন্যে তাঁর সারা জীবন উৎসর্গ করে গেছেন।’ জাতির জনকের হত্যার রায় কার্যকর হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে ইতিমধ্যেই একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই মহামারির অভিঘাত থেকে উত্তরণ আর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠায় স্ব স্ব অবস্থান থেকে অবদান রাখার জন্যে তিনি আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি