কানাডায় ঝড় ও বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু
কানাডার অন্টারিও ও কুইবেক প্রদেশে প্রচণ্ড ঝড় ও বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অন্টারিও সময় গতকাল শনিবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে এই ঝড় শুরু হয়। অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ জানিয়েছে, ব্রান্ট কাউন্টিতে ট্রেলারে একটি গাছ পড়ে যাওয়ায় একজন মারা গেছেন এবং অন্য দুজন আহত হয়েছেন।
এদিকে পিল আঞ্চলিক পুলিশ জানিয়েছে, বজ্রপাতের সময় একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ৭০ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে, বেলা দেড়টার পর ওই নারী ঝড়ের কবলে পড়েন। তিনি ব্র্যাম্পটনের বেলমন্ট ড্রাইভ এবং বার্চব্যাংক রোড এলাকায় থাকতেন।
রাজধানী অটোয়াতে গতকাল বিকেলে একটি শক্তিশালী বজ্রঝড়ের আঘাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং কমপক্ষে দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ১২০ কিলোমিটার ঘণ্টা বেগে বাতাসের ঝড়টি শহরজুড়ে বিস্ফোরিত হয়েছে, গাছ ও বিদ্যুতের লাইন ভেঙে পড়েছে এবং ঘরবাড়িসহ অন্যান্য ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অটোয়ার গল্ফ কোর্সে দুজন এবং একজন গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন।
সাপ্তহিক ছুটির দিন থাকার কারণে অনেকে ক্যাম্পিংসহ বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে সময় কাটাচ্ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় সামারের আগে টিউলিপ ফেস্টিভ্যাল চলছিল। ফলে অনেকে ঝড়ের সময় ঘরের বাইরে ছিলেন। লেক অন্টারিওতে অনেকে তখন বোটিং করছিলেন। পুলিশ অনেককে লেক অন্টারিও থেকে উদ্ধার করে।
বাংলাদেশিদের মধ্যে কোনো মৃত্যুর খবর না পাওয়া গেলেও অনেকে বেশ দুর্ভোগের মধ্যে আছেন। অটোয়া থেকে জাকি হাসান জানান, বিকেলে ঘরের বাইরে ছিলেন, ঝড় শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে সেল ফোনে ঝড়ের এলার্ট পাঠানো হয়। কিছু বোঝে উঠার আগে ঝড় শুরু হয়। তিনি আরও জানান, ‘প্রচণ্ড ঝড়ের কারণে শহরের বিদ্যুৎ চলে যায়, রাস্তায় কিছু দেখা যাচ্ছিল না। তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরি। রাত ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি।’
বেশ কিছু শহরে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে রাস্তার সিগন্যাল কাজ করছে না ফলে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিদ্যুৎব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে কয়েক দিন সময় লেগে যাতে পারে। যেসব শহরে ঝড় হয়েছে, সেগুলো হলো—অটোয়া, হ্যামিলটন, টরন্টো, মিল্টন, বার্লিংটন, ব্রাম্পটন, ওকভিল, মিসিসাগা, ভন, রিচমন্ড হিল, মারখাম, ইরিন, হাল্টন হিলস, অ্যানকাস্টার, দুন্দাস, ক্যালেডন ইত্যাদি।