কানাডায় বাড়ছে কোভিড, অন্টারিওতে কঠিন বিধিনিষেধ
প্রতিদিন কানাডাতে হু হু করে বাড়ছে কোভিডের সংক্রমণ। গত গ্রীষ্মে যেখানে প্রতিদিন গড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০০, এখন তা প্রতিদিন গড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার। বিপুলসংখ্যক কোভিড রোগীকে হাসপাতালে জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না এখন কানাডাতে। আইসিইউতে শয্যা প্রায় পরিপূর্ণ। অথচ দেশটিতে পাঁচ বছর বয়সী থেকে প্রায় সবাই দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এবং অনেকেই বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন।
কোভিড যেন ছড়াতে না পারে, সে কারণে অন্টারিও প্রভিন্সের নানা বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই প্রভিন্সের প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেন।
১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুলগুলোতে ইন পারসন ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়ে শুধু অনলাইনে ক্লাস হবে। আর এখন থেকে অন্টারিও প্রভিন্সের রেস্তোরাঁগুলোতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আর বসে খাওয়া যাবে না। শুধু প্রযুক্তি আউলেট খোলা থাকবে। জিম, বার, পাব, নাইটক্লাব বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিনেমা হল, চিড়িয়াখানা, গ্যালারি, সায়েন্স সেন্টার ও জাদুঘর বন্ধ থাকবে। সামাজিক জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ইনডোরে ৫ জনের বেশি একসঙ্গে হতে পারবেন না এবং আউটডোরে ১০ জনের বেশি একসঙ্গে হতে পারবেন না। শপিং সেন্টার, মল, ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে ধারণক্ষমতার অর্ধেকের বেশি লোক ঢুকতে পারবেন না। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে সবাইকে ঘরে বসে কাজ করার কথা বলা হয়েছে।
হাসপাতালগুলোতে সব ধরনের ‘নন আর্জেন্ট’ অপারেশন বাতিল করা হয়েছে। ৫ জানুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এ নির্দেশ কার্যকর হবে এবং ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে। এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে অনেকেই তাঁদের চাকরি হারাবেন। তাঁদের জন্য সরকার ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে।
অন্যান্য প্রভিন্সেও আক্রান্তের হার প্রতিদিন বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ওই ধরনের কোনো লকডাউনের ঘোষণার না এলেও আগামী দিনে আসতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। এখন পর্যন্ত কানাডায় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ লাখ ৬৮ হাজার ২৪১ জন, সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩০ আর মৃত্যুবরণ করেছেন ৩০ হাজার ৩৬৯ জন।