কলম্বোয় বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ও খাবার উৎসব
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় চলছে তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ও চার দিনব্যাপী খাবার উৎসব। বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে শুক্রবার (২৩ মার্চ) থেকে এই উৎসব শুরু হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণার প্রেক্ষিতে উৎসব দুটির ব্যাপারে স্থানীয় চলচ্চিত্রপ্রেমী ও ভোজনরসিকদের মধ্যে যথেষ্ট আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে ন্যাশনাল ফিল্ম করপোরেশন থিয়েটার হলে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত সাম্প্রতিক আলোচিত ডুব চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন হয়। গতকাল শনিবার প্রদর্শিত হয় অনিল বাগচীর একদিন, ভুবন মাঝি ও আয়নাবাজি। আজ রোববার টেলিভিশন ও আন্ডার কন্সট্রাকশন প্রদর্শিত হবে। এ ছাড়া ডুব ছবিটি আজ সকালে প্রদর্শিত হয়।
বাংলাদেশি চলচ্চিত্র উৎসবের ওপর প্রায় দেড় মিনিট ব্যাপ্তির প্রচারণামূলক একটি ভয়েস-কাট (Trailer) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, বিশেষত তরুণ দর্শক শ্রেণির মধ্যে ব্যাপক সাড়া তৈরি করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাধারণ দর্শকসহ শ্রীলঙ্কার অনেক চলচ্চিত্রবোদ্ধা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করেন। নিরীক্ষাধর্মী বিষয়বস্তু ও নিপুণ নির্মাণশৈলীর বিচারে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ধারার চলচ্চিত্রগুলো নান্দনিকতা ও বাণিজ্যিক চাহিদা উভয় দিক বিবেচনায় অত্যন্ত আকর্ষণীয় বলে তারা মত প্রকাশ করেন।
শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটে গেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের চলচ্চিত্র পরিচালকেরা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে একটি স্বতন্ত্র রূপ দিতে সক্ষম হয়েছেন। এ কারণে এখন কান, ভেনিস, লোকার্নো ও বুসান চলচ্চিত্র উৎসবসহ বিশ্বের বড় বড় উৎসবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে এবং সেগুলো সমালোচকদের প্রশংসাসহ নানান পুরস্কারও অর্জন করছে। তিনি আরও বলেন, উৎসবটির সুবাদে শ্রীলঙ্কার দর্শকেরা বিনা মূল্যে বাংলাদেশের কিছু ভালো মানের চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ পাবেন এবং তা উপভোগ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি পাঁচতারা হোটেলে (কিংসবেরি হোটেল) শুরু হয় বাংলাদেশি খাবার উৎসব। উৎসবে ঢাকা থেকে আগত চারজন রন্ধনশিল্পী বিখ্যাত কাচ্চি বিরিয়ানিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন মুখরোচক খাবার পরিবেশন করেন। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশিল্পকে স্থানীয় সুধীমহলের কাছে পরিচিত করার প্রয়াসে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি