কলম্বোয় বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন
উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় নতুন বাংলা বছরকে বরণ করে নিতে বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদ্যাপন করা হয়েছে। দেশটির বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে নববর্ষ উদ্যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে একই সঙ্গে সিনহালা ও তামিল নববর্ষও উদ্যাপন করা হয়।
নতুন বছর উপলক্ষে হাইকমিশনকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। অনুষ্ঠানে কলম্বো ও এর আশপাশ শহরে বসবাসরত অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও শ্রীলঙ্কার শিল্পী, ক্রিকেটার ও চিত্রপরিচালকসহ অনেকেই খুবই উচ্ছ্বাস নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। একই দিনে ছিল তাঁদেরও নববর্ষ।
সূচনা বক্তব্যে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সর্বজনীন এবং ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাবাহী দিন। তিনি সবাইকে অতীতের গ্লানি, অশুভ বিষয়াদি, জরা, ইত্যাদি মুছে ফেলে নতুনভাবে জীবনকে উজ্জীবিত করার আহ্বান জানান।
বাংলা নববর্ষ এবং সিনহালা ও তামিল নববর্ষ উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সমবেত কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নৃত্যে অংশগ্রহণ করে শিশু সিফা, হুমায়রা, মারজিয়া, জান্নাত ও মুনজারিন। ছড়া ও কবিতা পাঠ করেন হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ, ইসরাত জাহান, সৌমি সুলতানা শিমু, সুহৃদ সাদমান আবরার ও হযরত খান। বাংলা ও সিনহালা লোকগীতি পরিবেশন করেন ফারুক হোসেন ও শুভ হৃদয়াদেশ এবং শ্রীলঙ্কান নাগরিক শামীরা ইয়াপা ও শামিত্রি রত্নায়ক।
বর্ষবরণের এই উচ্ছ্বাসপূর্ণ ও আনন্দঘন অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। এতে ছিল বাহারি রকমের পিঠা, মিষ্টি, বাংলাদেশি গোল বেগুন ভাজা, মাছ, খিচুড়ি, রকমারি সবজি ইত্যাদি। বিজ্ঞপ্তি