এই বাদল দিনে
‘মেয়েটি এত করে কাঁদছে, আর তুমি তাকিয়ে দেখছ!’ মিলি রাগী চোখে আহসানের দিকে তাকাল। মেয়েটির বয়স কত হবে—দুই কি তিন বছর, এর বেশি না। মেয়েটি দেখতেও যেন মায়ের আদল পেয়েছে। খুব সুন্দর একটি মেয়ে, লম্বা চুল দুপাশে ছোট করে ঝুঁটিতে বাঁধা। বুঝতে পারছে না কী করবে এখন। বাচ্চা মেয়েটির নাম জানা দরকার।
—আচ্ছা, বাবু তোমার নাম কী?
এতক্ষণ কান্না করে চোখ ফুলিয়ে ফেলা মেয়েটি মুহূর্তেই হেসে ফেলল। কিন্তু মিলির চোখে ব্যাপারটি স্বাভাবিক লাগেনি। তার চোখে-মুখে রাগের সঙ্গে অনেকটা হতাশা যোগ হলো যেন।
—এই তোমার কী হয়েছে বলো তো। তুমি তোমার নিজের মেয়েকে তার নাম জিজ্ঞেস করছো!
—নাহ, এমনিতেই ওর মন ভালো করার চেষ্টা করছিলাম।
—যাও তৈরি হয়ে নাও তাড়াতাড়ি। সন্ধ্যায় সবাই আসতে শুরু করবে।
—সবাই আসতে শুরু করবে মানে!
—আজকে আমাদের ম্যারেজ অ্যানিভারসারি। তুমি ভুলে গেছো?
মিলি ভালো করে আহসানের দিকে তাকাল। কেমন যেন উদ্ভ্রান্ত মনে হচ্ছে ওকে দেখে। আজকের দিনের জন্য এত বড় আয়োজন, অথচ দেখে মনে হচ্ছে সবকিছু ভুলে গেছে।
মাথায় তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছে। কোথা থেকে যেন একটা আলো চোখ ভেদ করে মস্তিষ্কে ঢুকে পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু দূরে সরে যেতে লাগল। মনে হচ্ছে, মস্তিষ্কের সব কটি নিউরন আলোক রশ্মির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। খুব চেষ্টা করল ছোট মেয়েটির নাম মনে করার। হ্যাঁ মনে পড়েছে, অর্পিতা। মাথার যন্ত্রণাটা হঠাৎ করে বেড়ে যাচ্ছে। যেন বিভিন্ন রঙের আলোর বিচ্ছুরণ হচ্ছে নিউরন থেকে, তার প্রতিফলন হচ্ছে চোখে। কোথায় থেকে যেন একটা শব্দ ভেসে আসছে, খুব পরিচিত।
—স্যার, স্যার।
এই বাড়ির কেয়ারটেকার আঙুলের ডাকের শব্দে ঘুম ভাঙল আহসানের।
—স্যার, আপনে ঘুমের মধ্য এমন কান্না করতেছিলেন ছিলেন ক্যান। বোবায় ধরছিল আপনারে?
—না, এমনিতেই বোধ হয়।
দুপুরে ঘুমের অভ্যাস নেই। আজকে একটু শরীর দুর্বলতা বোধ করায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাড়াতাড়ি চলে এসেছিল। কী একটা জিনিস ভাবতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল, বুঝতে পারেনি। আবুলকে কফি বানাতে পাঠিয়ে ডায়েরি হাতে নিয়ে বসল। প্রথমবার যখন মিলিকে স্বপ্নে দেখেছিল তখন আহসান এমআইটিতে ব্রেন অ্যান্ড কগনেটিক সায়েন্সে পিএইচডির ছাত্র। প্রথম দিকে এটাকে এত গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ধরেই নিয়েছিল ল্যাবরেটরির অতিরিক্ত খাটুনির ফসল। প্রায় দুবছর পর স্বপ্নে দেখে মিলির সঙ্গে তার বিয়ে হচ্ছে। এরপর থেকে নিয়মিতভাবেই একই চরিত্র বারবার ঘুরেফিরে এসেছে। ব্যাপারটি নিয়ে একবার নিজের ডিপার্টমেন্টের বিখ্যাত অধ্যাপক রবার্ট গুইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিল। তার পরামর্শ অনুসারে এখনো প্রতিটি স্বপ্নের দিন তারিখসহ সবকিছু লিখে রাখছে। প্রতিটি স্বপ্নের মধ্যে কোথায় যেন একটা নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ রয়েছে। ঠিক ধরা যাচ্ছে না।
আবুলের কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে, কার সঙ্গে যেন জিন-ভূত নিয়ে তর্ক করে কথা বলছে। কিছুটা নিচু গলায়।
—স্যার আসব?
আহসান জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করল না। কেননা তার আগেই বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের ইমাম মাওলানা জমশেদ সাহেবকে নিয়ে রুমে এসে উপস্থিত।
—স্যার, বেয়াদবি নেবেন না। ইমাম সাবকে রাস্তায় দেখে নিয়ে আসলাম।
—ভালো করেছো।
আবুল আহসানের জন্য এক কফি আর ইমাম সাহেবের জন্য চা বানিয়ে নিয়ে এসেছে এরই ফাঁকে। মাওলানা সাহেব কফি পছন্দ করেন না।
—বুঝেছেন প্রফেসর সাব, যে জিনিস নেশাগ্রস্ত করে, তা খাওয়া ঠিক না। এই যেমন কফি। একবার খেলে সারা রাত ঘুমাতে পারা যায় না।
—ও আচ্ছা।
—জি, প্রফেসর সাব। আপনাদের তো বয়স কম, তাই সমস্যা নাই। কিন্তু আমাদের জন্য অনেক সমস্যা।
চা-কফি নিয়ে কথা বলতে একদম ইচ্ছে করছিল না। ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে মনটা বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে। অনেক দিন ধরে একই রকম স্বপ্ন ঘুমের ভেতর বারবার ঘুরেফিরে আসছে। কোনো কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছে না। মাঝেমধ্যে অদ্ভুত স্বপ্ন দেখা খুবই সাধারণ ব্যাপার। মাওলানা সাহেবের কথায় আবার সংবিৎ ফিরে পেল আহসান।
—আপনার ঘুমের মধ্যে কান্নাকাটি করার কাহিনিটা যদি বলতেন, তাহলে একটা সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করতাম।
নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও সংক্ষিপ্ত আকারে যতটুকু সম্ভব বলল আহসান। আবুল এরই ফাঁকে মাওলানা সাহেবের জন্য পান দিয়ে গেল। বোঝাই যাচ্ছে সে ইমাম সাহেবকে খবর দিয়ে নিয়ে এসেছে। মুখভর্তি পান চিবাতে চিবাতে ইমাম সাহেব অনেকক্ষণ ভাবলেন, যতক্ষণ পান শেষ না হয়, তারপর খুব হাসিমুখ নিয়ে বললেন,
—স্বপ্নে যে মেয়েকে দেখেন সে কি আমাদের দেশি না বিদেশি মেমসাব?
—না, দেশি। ছোট করে জবাব দিল।
—উনারে কি আপনি আগে কোনো দিন দেখেছিলেন, স্কুল-কলেজে পড়ার সময়?
—না দেখিনি।
জবাব দিতে একটু ইতস্তত বোধ হলো। আসলে এটা মিথ্যা কথা। একদম অপরিচিত বলা ঠিক হয়নি। মেয়েটি আহসানের খুবই পরিচিত। কলেজে পড়াকালীন মিলি নামের কিশোরী মেয়েটিকে সে চিনত। হয়তো অল্প কিছু টানও অনুভব করত। এর থেকে বেশি কিছু না।
—বুঝেছেন, প্রফেসর সাব, বিয়া-শাদি করে ফেলেন।
থতমত খেল, আহসান। মুখে কিছু বলল না। ইমাম সাহেব কোনো জবাব না পেয়ে একটু আশাহত হলেন। রসিকতা তাঁর খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে যদি একটু বিবাহঘটিত কিছু নিয়ে হয়।
—পুরুষ মানুষের সময়মতো বিয়ে না করলে এই রকম স্বপ্ন দেখা খুব স্বাভাবিক।
আহসান আর কিছু বলল না, মাওলানা সাহেব চলে যাওয়ার পর অনেকক্ষণ চিন্তা করল। তার বয়স এমন নয় যে এই রকম স্বপ্ন বারবার দেখতে পারে। এটা স্বাভাবিক আর অস্বাভাবিকের মাঝামাঝি।
আজ দুপুর থেকেই আকাশ খুব অন্ধকার হয়ে আছে। আবুলকে দিয়ে মাওলানা সাহেবকে আসার জন্য খবর পাঠানো হয়েছে সকালবেলা। মাঝের অনেক দিন মাওলানা সাহেবের কোনো খোঁজখবর ছিল না। মাসখানেক আগে এক রাতের বেলায় শরীয়তপুরের কাওড়াকান্দি থেকে মাওয়া ঘাটে যাওয়ার সময় পিনাক-৬ নামের লঞ্চডুবি হয়। এ দুর্ঘটনায় তার একমাত্র কিশোরী কন্যাকে হারিয়েছেন। নিজে কোনোভাবে কিনারায় আসতে পারলেও অন্ধকারে তার মেয়ের কোনো হদিস পাননি। তার পরও বিভিন্নভাবে খোঁজার চেষ্টা করেছেন। বিকেলবেলায় মাওলানা সাহেব এলেন একদম বৃষ্টি মাথায় নিয়ে। সঙ্গে দমকা ঝোড়ো বাতাস। আহসান বারান্দায় তার স্বপ্নবিষয়ক ডায়েরি নিয়ে বসল। সামনে বসা মাওলানা সাহেব, চুপচাপ আর কিছুটা অন্যমনস্ক। তবে আহসানের খুব আনন্দ হচ্ছে। মনে হচ্ছে, বড় কোনো রহস্য একদম পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে।
—মাওলানা সাহেব, আমাদের এই জগৎ ছাড়া অন্য জগতে বিশ্বাস করেন?
—তা তো করতেই হবে। সব ধর্মেই তা বলা আছে।
অন্যদিনের মতো আজকে রসিকতা করার মেজাজ নাই। তাই মাওলানা জমশেদ সাহেব ছোট করে জবাব দিলেন।
—ঠিক ওই রকম নয়। ধরুন আপনার, আমার একই রকমভাবে অন্য একটি জগৎ রয়েছে। অনেকটা অসীম সময়ের ভেতর আটকে থাকার মতো।
—তা তো আছেই, মানুষ মারা যাওয়ার পর থেকে সেই অসীম সময়ের শুরু।
—নাহ! ব্যাপারটি যদি এমন হয়, একজন মানুষের একসঙ্গে দুটি জীবন চলমান। মাঝেমধ্যে স্বপ্নের ভেতর আমরা এক জগৎ থেকে অন্য জগতে চলে যাই। অনেকটা যান্ত্রিক গোলযোগের মতো। সিস্টেম ঠিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আবার আগের ঠিকানায় ফেরত চলি আসি। আহসান একটু ব্যাখ্যা করে বলল।
মাওলানা সাহেব কিছুই বললেন না। তবে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। মনে মনে ভাবলেন, সবাই আড়ালে আবডালে বলে পাগলা স্যার। এখন তিনি বুঝতে পারছেন, প্রফেসর সাব কিছুটা পাগল তো অবশ্যই, সেই সঙ্গে ধর্মবিশ্বাসও খুব দুর্বল। আর চুপ থাকা যায় না। ওনার এ জগৎ-টগৎ নিয়া ভুলটা ভাঙানো দরকার।
—প্রফেসর সাব, জগৎ একটাই। এই যে আমাদের দুচোখে যা দেখছি, এটাই আমাদের জগৎ। মারা যাওয়ার পর আমাদের অসীম জগতের শুরু হবে। মাওলানা সাহেব বেশ লম্বা একটা কথা শুরু করেছেন, বুঝতে পেরে তাঁকে থামিয়ে আহসান জিজ্ঞেস করল,
—ঘুমের ভেতর যখন স্বপ্ন দেখেন, তখন কি বুঝতে পারেন এটা স্বপ্ন?
মাওলানা সাহেব একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে আমতা-আমতা করে বললেন,
—না, তা পারা যায় না।
—এই যে আপনি-আমি কথা বলছি, তাহলে এটাও যদি স্বপ্ন হয়?
মাওলানা সাহেব কিছু বললেন না। তবে কয়েকবার বিড়বিড় করে আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করলেন। মানুষ একা থাকলে মনের ভেতর নানান রকম এলোমেলো চিন্তা বাসা বাঁধে। প্রফেসর সাব এর বাইরে না। একবার বাইরে তাকালেন। বাতাসের বেগ বাড়ছে। আষাঢ় মাসের মেঘ, একবার শুরু হলে আর থামার লক্ষণ থাকে না। এই মুহূর্তে বাসায় একা থাকা স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর দুশ্চিন্তা হচ্ছে।
—মনে আছে, কয়েক মাস আগে আপনাকে আমার স্বপ্নের কথা বলেছিলাম। সে স্বপ্নের ব্যাখ্যা আমি পেয়েছি।
মাওলানা সাহেব যেন আকাশ থেকে পড়লেন। খুব আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
-তা কী মানে খুঁজে পেলেন?
—এই যে আপনাকে এতক্ষণ যা বললাম।
—তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন, আমরা এখন স্বপ্নের ভেতর কথা বলছি?
—অনেকটা সে রকমই। এখানে আমরা অন্য জগতের চেয়ে হয়তো একটু পিছিয়ে। তাই স্বপ্নে যা দেখি, কিছুদিন পর তা আমাদের চোখে দেখা বাস্তবের সঙ্গে মিলে যায়।
মাওলানা সাহেব বেশ হতাশ হলেন এসব আজগুবি কথা শুনে। নিজে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করলেও বিজ্ঞানের প্রতি তাঁর খুব আগ্রহ। এখনো প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে গিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানবিষয়ক বই পড়েন। দুনিয়া কত এগিয়ে যাচ্ছে। আর, প্রফেসর সাব ব্রেনের বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে শেষ পর্যন্ত নিজে অর্ধপাগল হয়েছে।
—প্রফেসর সাব, আজকে উঠি। আকাশের লক্ষণ ভালো না।
আহসান একটু মৃদু হেসে বলল,
—মাওলানা সাহেব, সব ঝড়ের লক্ষণ মন্দ হয় না। আমার কি মনে হয় জানেন, এই রকম এক ঝোড়ো দিনে আপনার মেয়েকে ফিরে পাবেন।
হঠাৎ করে মেয়ের প্রসঙ্গ আসায় মাওলানা সাহেব একটু ধাক্কা খেলেন।
—এটাও কি স্বপ্নে দেখেছেন?
জবাবে আহসান একটা মুচকি হাসি দিল। যার মানে রহস্যময়। এরই ভেতর আবুল বাজার থেকে মাওলানা সাহেবের জন্য দুটো ইলিশ নিয়ে এসেছে। আহসান আগেই ভালো করে বলে দিয়েছিল, ইলিশ যেন অবশ্যই ডিমওয়ালা হয়।
-স্যার অনেক কষ্টে ইলিশ মাছ পাইছি। একেবারে ডিমওয়ালা।
আবুলের কথা শোনে মাওলানা সাহেবের মনটা খারাপ হয়ে গেল। তার মেয়ে ডিমওয়ালা ইলিশ খেতে খুব পছন্দ করত। চোখে পানি আড়াল করার জন্য আকাশপানে তাকালেন। বিজলি চমকাচ্ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে বাতাসের বেগ। নাহ এখন বের হতেই হবে। না হয় আটকে পড়ার সম্ভাবনা আছে।
ঝিমঝিম বৃষ্টির ভেতর মাওলানা সাহেব এলোমেলো পায়ে হেঁটে চলেছেন। পিচ রাস্তা শেষ হয়ে কাদামাটির রাস্তা বাড়ির দিকে চলে গেছে। অন্য সময় হলে খুব সযত্নে হাঁটতেন যেন পায়জামায় কোনো কাদার ছিঁটা না আসে। কিন্তু মেয়ের কথা মনে হয়ে মন পুরো বিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। বাড়ির কাছে এসে দেখেন পুলিশের গাড়ি। সঙ্গে কমিশনার সাহেব নিজে এসেছেন। বাড়িতে অনেক পরিচিত-অপরিচিত মানুষের কোলাহল। এর ভেতর থেকে তাঁর মেয়ের কণ্ঠ স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। মাওলানা সাহেবের বুকটা মোচড় দিয়ে উঠল। দেখতে পেলেন বৃষ্টির ভেতর তার মেয়ে দৌড়ে তার দিকে ছুটে আসছে। মনে হচ্ছে যেকোনো মুহূর্তে পিচ্ছিল উঠানে পড়ে যাবে। এটা স্বপ্ন না বাস্তব, আর ভাবতে ইচ্ছে হলো না। একটা ঘোর যে তাকে গ্রাস করেছে এটা শুধু বুঝতে পারলেন।
তবে আজ অনেক দিন পর বাসায় ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ ভাজা হচ্ছে, সেই সঙ্গে খিচুড়ি। মাওলানা সাহেব মেয়েকে নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছেন। চোখের পানি বৃষ্টিতে মিশে যাওয়ায় জগতের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য কারও চোখে পড়ছে না।
*পিএচডি স্টুডেন্ট ইন মলিকুলার মেডিসিন, ন্যাশন্যাল হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউট, তাইওয়ান।[email protected]