ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা উদ্যাপন
উন্নয়নযাত্রায় প্রবাসীদের সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান
ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও বৈচিত্র্যপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে উদ্যাপন করা হয়েছে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়।
দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় শিশু–কিশোর সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শুদ্ধসুরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সঙ্গে সংগতি রেখে একই সময়ে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে অংশ নেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী। পরে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এরপর দূতাবাসে একটি আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। সভায় দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। এ ছাড়া বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের ওপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও ইয়াঙ্গুনপ্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকেরা অংশ নেন। আলোচকেরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ের ওপর আলোকপাত করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণা করেন। বক্তারা সাতচল্লিশ–পরবর্তী সময়ে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার চূড়ান্ত সাফল্যের লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন এবং মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সাফল্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় প্রবাসীদের আরও বেশি সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
একই দিন সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হোটেলে এক কূটনৈতিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস। সংবর্ধনায় মিয়ানমারের রাজনীতিক, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রধান, ব্যবসায়ী, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশ থেকে আগত নৃত্যশিল্পীদের পরিবেশনা। তাঁরা নৃত্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অতিথিদের কাছে তুলে ধরেন। বিজ্ঞপ্তি