কানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশের রাজধানী উইনিপেগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশিরা ছাড়াও স্থানীয় সিটি গভর্নমেন্টও পালন করবে এ দিবসটি।
এ জন্য গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে শহরের পেমবিনা হাইওয়ের একটি ডিজিটাল বিলবোর্ডে বাংলাদেশের শহীদ মিনারের ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
সিটি গভর্নমেন্টের উদ্যোগে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার থিমে সেই বিলবোর্ডে লেখা আছে, ‘টোয়েন্টি ফাস্ট ফেব্রুয়ারি সিলেব্রেটিং লিঙ্গুইস্টিক ডাইভারসিটি, ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাংগুয়েজ ডে’। এই বিলবোর্ডের যাবতীয় খরচ বহন করছে সিটি গভর্নমেন্ট।
এ ছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারি শহরের বিয়ার্ডমোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে সিটি কাউন্সিলর ও বাংলাদেশি কমিউনিটির কয়েকজন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করবেন।
এই অনুষ্ঠানের কো-অর্ডিনেটর আবদুল্লাহ কফি জানান, ‘আমরা স্কুলে শিশুদের মায়ের ভাষার গুরুত্বের কথা শোনাব। আমরা চাই কানাডাসহ পৃথিবীর সব দেশের সব ভাষা টিকে থাক। আমরা চাই বিশ্বায়নের এই যুগে অভিবাসীদের দেশ কানাডায় তাদের মায়ের ভাষার চর্চা থাক।’
বাংলাদেশ ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রেসিডেন্ট খাজা আবদুল লতিফ জানান, ম্যানিটোবায় দেড় শতাধিক ভাষায় মানুষ কথা বলে। এই ভাষাগুলো দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে। সিটি গভর্নমেন্টকে বুঝতে পেরেছে মাতৃভাষার গুরুত্ব। তাই তারা এ দিবসটি পালন করছে।
সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশি কমিউনিটিও দিবসটি পালন করবে। ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাতটায় ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবায় হবে আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান। এখানে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় এমপি, এমএলএ, কাউন্সিলরসহ বাংলাদেশিরা। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করবে ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, ইউনিভার্সিটি অব উইনিপেগ বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও কানাডিয়ান বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন।
শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার পাশাপাশি এখানে আয়োজন করা হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একুশ উপলক্ষে প্রকাশ হবে ‘একুশের দেয়ালিকা’।
সবকিছুর প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে উইনিপেগে। এখন এখানকার বাংলাদেশিরা অপেক্ষায় আছেন ২১ ফেব্রুয়ারির জন্য।