ইয়াঙ্গুনে গণহত্যা দিবস পালন
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে গণহত্যা দিবস পালন করেছে। এ উপলক্ষে আজ (২৫ মার্চ) দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ ইয়াঙ্গুনপ্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। একাত্তরের গণহত্যার ওপর একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভায় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনীর বর্বরতা ও গণহত্যার ব্যাপকতার ওপর আলোকপাত এবং ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি করা হয়।
দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাঙালি জাতির গণতান্ত্রিক অধিকার ও জাতিসত্তা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিত গণহত্যা শুরু হয় ২৫ মার্চ রাতে। ‘অপারেশন সার্চলাইটে’র মাধ্যমে শুরু হওয়া গণহত্যা ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ভয়াবহ গণহত্যা মানবসভ্যতার ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। তিনি শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান ও ২৫ মার্চের ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য সম্মিলিত প্রয়াসের ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানের শেষে ২৫ মার্চের কালরাতে নিহত ও মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাতের জন্য কোরআন তিলাওয়াত ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি