ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে শোক দিবসের কর্মসূচি পালিত
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, ইস্তাম্বুল যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সঙ্গে জাতীয় শোক দিবস এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী পালন করে। মিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে ইস্তাম্বুলে বসবাসরত প্রবাসীদের অংশগ্রহণে জাতির জনকের গৌরবময় জীবন ও কর্মের ওপর এক উন্মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ই আগস্ট ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের ও জনগণের শান্তি, প্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করা হয় ।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে ইস্তাম্বুলের খ্যাতিমান একাডেমিশিয়ান ও গণমাধ্যম ব্যক্তিদের নিয়ে ‘একজন নেতা এবং একটি জাতির জন্ম’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারটিতে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. বেটুল চতুকসকেন, ভাইস রেক্টর, মালতেপে বিশ্ববিদ্যালয়, জনাব তাহা আইহান, প্রেসিডেন্ট, ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ুথ ফোরাম (আই.সি.ওয়াই.এফ), মিস সিবেল গুনেস, সাধারণ সম্পাদক, টার্কিশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, ড. হায়রুনিসা আল্প, ভাইস ম্যানেজার, আতাতুর্ক সেন্টার ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়, জনাব দোয়ান সাতমুল, তুর্কি প্রেস কাউন্সিলের বোর্ড মেম্বার, মিস ডেরিয়া আলতায়, ফরেন নিউজ কো-অর্ডিনেটর, এনটিভি এবং মিস সেয়মা নাযলি গুরবুয, সাংবাদিক, ডেইলি সাবাহ।
এ ছাড়া অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়েছিলেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং তুরস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ ।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আলোচকবৃন্দ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য ভূমিকা ও অবদানের কথা স্মরণ করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে বক্তারা বঙ্গবন্ধুকে সকল প্রকার শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ও ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেন। বিজ্ঞপ্তি