ইসলামাবাদে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে গতকাল বুধবার (৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা ও মর্যাদার সঙ্গে পালন করেছে।
বিকেলে এ উপলক্ষে হাইকমিশনের চ্যান্সারি ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইসলামাবাদে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এতে অংশ নেন।
আলোচনা পর্বে হাইকমিশনার মো. তারিক আহসান শহীদ শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, শহীদ শেখ কামাল ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলন এবং উনসত্তরের গণ–অভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে শেখ কামালের অবদান চিরস্মরণীয়। নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’ আর আধুনিক সংগীত সংগঠন ‘স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী’ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর ছিল বিশেষ অবদান। ‘আবাহনী ক্রীড়াচক্র’–এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তিনি অমর হয়ে থাকবেন।
মো. তারিক আহসান স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি তখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ধারক-বাহক নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধু ও অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেখ কামাল সদ্য বিবাহিত স্ত্রীসহ শহীদ হন। মাত্র ২৬ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবন ছিল তাঁর অসামান্য অর্জনে সমৃদ্ধ। এর মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সূর্যসন্তান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
শহীদ শেখ কামালের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কবিতা আবৃত্তি করা হয়। শেষে শেখ কামালের জীবনীভিত্তিক একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি