ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি শীর্ষক উৎসব
ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় ‘বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি’ (ইমেজ অব বাংলাদেশ) শীর্ষক এক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে স্থানীয় গেটফাম ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে এ উৎসব আয়োজন করা হয়।
ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বিনির্মাণ এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও অর্জনসমূহ প্রদর্শন, জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ, স্বদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার অংশ হিসেবে দূতাবাস কর্তৃক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় ১৩ সদস্যবিশিষ্ট এক সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদল ইথিওপিয়া সফর করে। দলে ছিলেন শিল্পী তপন চৌধুরী, ফাহমিদা নবী ও নৃত্যশিল্পী সৈয়দা শায়লা আহমেদসহ ১৩ সদস্যের শিল্পী ও যন্ত্রী।
আফ্রিকা মহাদেশের কূটনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশ থেকে সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণে এ ধরনের উৎসবের আয়োজন এটাই প্রথম। উৎসবে ইথিওপিয়া সরকারের মন্ত্রী, আদ্দিস আবাবার ১৩০টি কূটনৈতিক মিশন, আফ্রিকান ইউনিয়ন, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, গণ্যমান্য ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, শিল্পী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সন্ধ্যায় আয়োজিত এই উৎসবে শুরু থেকেই অনুষ্ঠানস্থল অভ্যাগতদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। উৎসবে ইথিওপিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত মার্কোস টেকলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া প্রায় ৫০টি দেশের দূতাবাস প্রধান ও কর্মকর্তা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, আদ্দিস আবাবায় বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।
উৎসবের শুরুতেই ‘জ্বলে ওঠো বাংলাদেশ’ শীর্ষক নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম তাঁর স্বাগত বক্তব্যে অতিথিদের সম্ভাষণ জানান। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ছয়টি আলাদা আলাদা নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
নৃত্যের সঙ্গে সংগীতশিল্পী তপন চৌধুরী ও ফাহমিদা নবী বিভিন্ন ধরনের বাংলা গান পরিবেশন করে দর্শকদের বিমোহিত করেন। সবশেষে একটি দেশাত্মবোধক নৃত্যে বাংলাদেশের চলমান অগ্রযাত্রার প্রতিচ্ছবি ও আধুনিক বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা ফুটিয়ে তোলা হয়। উৎসবে আগত অতিথিরা আগ্রহভরে বাংলাদেশ দূতাবাসের এ আয়োজন উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে সান্ধ্যভোজের আয়োজন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি