ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা নিতে ওআইসির প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রদূতের

ওআইসির মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করছেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

মুসলিম বিশ্বের ওপর ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব নিরূপণ ও তা মোকাবিলায় সহযোগিতার সম্ভাব্য রূপরেখা প্রণয়নে ওআইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। জেদ্দায় ওআইসির সদর দপ্তরে মঙ্গলবার সংস্থার মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহার সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো যখন কোভিড-পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কাজ করছে, তখন এই যুদ্ধের কারণে অনেক দেশকে বেগ পেতে হচ্ছে। জবাবে ওআইসি মহাসচিব জানান, তিনি সম্প্রতি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে এ উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছেন।

ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী জানান, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে। রাষ্ট্রদূত মহাসচিবকে জানান, এ বছরের জানুয়ারিতে মিয়ানমারের জান্তা সরকার রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ হিসেবে মাত্র ৭০০ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল, কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা কাউকেই ফিরিয়ে নেয়নি। এদিকে প্রতিবছর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ৩০ হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে, এতে তাদের স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে বেগ পেতে হচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে ক্রমাগত সমর্থন প্রদানের জন্য ওআইসির মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, সম্প্রতি মার্কিন সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার কর্তৃক সংঘটিত সহিংসতাকে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করেছে, যা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে চলমান এ-সংক্রান্ত মামলায় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী মহাসচিবকে আরও জানান, বাংলাদেশ ওআইসির সচিবালয়ে স্থায়ী মিশন খোলার বিষয়ে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে, আশা করা যায় চলতি বছরের শেষ নাগাদ তা চালু করা সম্ভব হবে। স্থায়ী মিশন খোলা হলে ওআইসির কার্যক্রমের সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন।

এ ছাড়া ৫-৬ জুন জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ‘সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতা’ বিষয়ে ওআইসির ভূমিকা নির্ধারণ বিষয়ে কনফারেন্সে রাষ্ট্রদূত অংশ নিয়ে, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অর্জন ও অভিজ্ঞতা কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি, এ বিষয়ে বাংলাদেশের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বিজ্ঞপ্তি