আসুকায়ামার রবীন্দ্র ভাস্কর্য

আসুকায়ামা উদ্যানে রবীন্দ্রনাথ ও শিবুসাওয়া এইইচি
আসুকায়ামা উদ্যানে রবীন্দ্রনাথ ও শিবুসাওয়া এইইচি

জাপানের রাজধানী টোকিওর ২৩টি কু বা ওয়ার্ডের অন্যতম হচ্ছে কিতা-কু। এখানেই রয়েছে রাজধানীর অন্যতম প্রধান হানামি মাৎসুরি উদ্যান। অর্থাৎ সাকুরা ফুল দর্শন সমাবেশ উদ্যান আসুকায়ামা। জেআর তথা জাপান রেলওয়ের ওওজি স্টেশনসংলগ্ন এই বিশাল সবুজসমৃদ্ধ নয়নাভিরাম উদ্যানটি ৩০০ বছর আগে এঁদো যুগের (১৬০৩-১৮৬৮) অষ্টম সামুরাই শাসক (শোওগুন বা জেনারেল) তোকুগাওয়া য়োশিমুনে (১৭১৬-৪৫) নির্মাণ করান। ১৮৭৩ সালে টোকিও মহানগর প্রশাসন কতৃ‌র্ক একে দেশের প্রথম নগর উদ্যান বলে ঘোষণা করা হয়। এখানে দুটি স্মৃতিফলক বিদ্যমান। একটি রাষ্ট্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে ঘোষণা এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে এঁদো যুগের (১৬০৩-১৮৬৮) স্বনামধন্য পণ্ডিত সাকুমা শোওজানকে (১৮১১-৬৪) উৎসর্গীকৃত।
তা-ই নয়, এখানে প্রাচীন যুগ জোওমোন ও ইয়ায়োই যুগের প্রত্নসামগ্রী এবং একটি গ্রামের দুর্গ আবিষ্কৃত হয়েছে। এগুলো কিতা নগর আসুকায়ামা জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। ১৯৯৮ সালে এই উদ্যানে একসঙ্গে তিনটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়। একটি কিতা নগর আসুকায়ামা, শিবুসাওয়া স্মৃতি জাদুঘর এবং ওজি পেপার মিউজিয়াম। উদ্যানে অন্যান্য স্থাপনার মধ্যে রয়েছে একটি ক্রীড়া প্রাঙ্গণ, একটি বড় উন্মুক্ত মঞ্চ, একটি পুরোনো বাষ্পচালিত ইঞ্জিন, পরিত্যক্ত ট্রামগাড়ি ও একটি ঝরনা। গ্রীষ্ম, হেমন্ত ও বসন্তকালে বিপুল লোকের সমাগম ঘটে এখানে। বসন্তে যখন অসংখ্য বৃক্ষ গোলাপি আভাযুক্ত সাকুরা ফুলে ছেয়ে যায় এবং বাতাসে তুলোর মতো অবিরাম ঝরে ঝরে পড়তে থাকে, আলোকিত হয়ে যায় বৃক্ষরাজির তল তখন এই শোভার তুলনা খুঁজে পাওয়া মুশকিল!
১৯২৯ সালের ২৯ মার্চ তারিখে দ্য জাপান টাইমস অ্যান্ড মেইল পত্রিকায় প্রদত্ত একটি বিবরণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘ Last time, when on my way to Canada, I just had a few days for my stay in Japan, and I felt an immense regret when leaving it, for not being able to stay on for any length of time and to have an opportunity of knowing this beautiful land in the time of spring—the time of cherry blossoms and other flowers, and to be able to come into close contact with the people of this land, for whom I have a very genuine love and admiration.’ অর্থাৎ ‘গতবার আমি যখন কানাডার পথে তখন কিছুদিন অবস্থান করেছিলাম জাপানে এবং চলে যাওয়ার সময় বিপুল মনোকষ্ট পেয়েছিলাম আরও বেশি কিছুদিন থাকতে না পারার কারণে যাতে করে একটা সুযোগ নিয়ে এই সুন্দর দেশটিকে জানা যায় বসন্তের এই সময়ে—যা কিনা সাকুরা ফোটার ঋতু এবং অন্যান্য ফুলেরও; সেই সঙ্গে যদি মানুষের সঙ্গে মিশতে পারা সম্ভব হতো যাদের জন্য রয়েছে আমার খাঁটি ভালোবাসা এবং মুগ্ধতা।’

আসুকায়ামা উদ্যানে শিবুসাওয়া এইএচির স্মারক ভাস্কর্য
আসুকায়ামা উদ্যানে শিবুসাওয়া এইএচির স্মারক ভাস্কর্য

এই বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ জাপান সম্পর্কে তাঁর মনের কথাটি বলে দিয়েছেন। তিনি পাঁচবার এই দেশ ভ্রমণ করেন। ১৯১৬, ১৯১৭, ১৯২৪ এবং ১৯২৯ সালে দুবার। এ রকম পাঁচবার তিনি আরও দুটি দেশ ভ্রমণ করেন। একটি ইংল্যান্ড এবং অপরটি আমেরিকা। তাঁর জাপান ভ্রমণের তিনবারই শিবুসাওয়া সাক্ষাৎ করেন স্বাগত জানান যথাক্রমে ১৯১৬, ১৯২৪ এবং ১৯২৯ সালে। সামুরাই ও শিল্পপতি ভিসকাউন্ট শিবুসাওয়া এইইচি (১৮৪০-১৯৩১) হচ্ছেন জাপানি পুঁজিবাদের জনক, শিক্ষানুরাগী ও আধুনিক জাপান গড়ে তোলার ১২ জন উদ্যোগীর অন্যতম প্রধান ব্যক্তি।
কবিগুরু শিবুসাওয়ার আসুকায়ামা গ্রীষ্মকালীন বাগানবাড়ির যে ভবনে আতিয়েথতা গ্রহণ করেছিলেন সেটা এখনো বর্তমান। সর্বমোট পাঁচটি অতিথি ভবনের মধ্যে দুটি বিদ্যমান আর বাকি তিনটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমার আঘাতে ধূলির সঙ্গে মিশে গেছে। মেইজি যুগে নির্মিত ভবন দুটির গঠনশৈলী পাশ্চাত্য ঢংয়ের। ভেতরের আসবাবও পাশ্চাত্যের ঐতিহ্যমণ্ডিত। ঝকঝকে-তকতকে কোথাও কোনো অযত্ন অবহেলা তো নেইই-এক চিমটি ধূলির চিহ্নও খুঁজে পাওয়া যাবে না!
১৯১৬ সালেই শিবুসাওয়া এশিয়ার প্রথম নোবেলবিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথের শুভাগমন উপলক্ষে তাঁকে জাঁকজমকপূর্ণ এক সংবর্ধনা প্রদান করেন এবং আয়োজন করেন মধ্যাহ্নভোজের এই আসুকায়ামা বাগানবাড়িতেই। দিনটি ছিল আগস্ট মাসের ১৬ তারিখ। এই সময় ইউরোপজুড়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছে। তাঁদের দুজনের মধ্যে নানা বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়। এর মধ্যে অধ্যাত্ম্যবাদ ও বস্তুবাদ নিয়েও কথা হয়। এই প্রসঙ্গে শিবুসাওয়ার বক্তব্য জানা যায়, তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে ভারত থেকে এসেছেন একজন ব্যক্তি, যাঁকে ঋষিকবির সঙ্গে তুলনা করার মতো, যিনি চিন্তাবাদ জগতে বিখ্যাত। আমি ইংরেজি বলতে পারি না, তাই তাঁর সঙ্গে আন্তরিকভাবে কথা বলতে পারছি না। দোভাষীর মাধ্যমে কয়েকবার কথপোকথন হয়েছে। বলতে হয় তাঁর নীতিজ্ঞান অত্যন্ত উন্নত। তবে ভারত বলে কথা, কনফুশিয়াসের মানবতা ও নৈতিকতার সঙ্গে মিলবে কি না, জানি না। আরেকটু পরীক্ষা না করলে বুঝতে পারছি না, কিন্তু হার্দিক অবস্থা আগ্রহোদ্দীপক; ব​স্তুবাদী কথাবার্তা হলেও কোনো প্রকার সমস্যা নেই। একজন বললেন, টেগোর বস্তুবাদী সভ্যতাকে ঘৃণাকারী, এটা কিছুটা উগ্র আক্রমণ-টেগোর কিছুতেই বস্তুবাদী সভ্যতাকে ঘৃণা করেন না [বরং] আধ্যাত্মিক উন্নয়নের বিষয়ে একটু বেশিই ভাবেন মনে হয়। [অবশ্য] আবার সেটা যথার্থই, তথাপি বস্তুবাদী আলোচনার সময় তাঁর কোনো সাড়া পেলাম না। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে দেখা গেল, যুক্তি হিসেবে তাঁর সঙ্গে মিলে কিন্তু আধ্যাত্মিকতাকেই কেবল বেশি পালিশ করেন বলে সেটাই তাঁর আসল বিষয় বলে আমার মনে হলো। [অবশ্য] সেটা সেই দেশের মানুষের মননকেই শক্তিশালী করে ফলে অন্য সভ্যতার দিকে এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে-আমি এমন মন্তব্য করলে আমার ব্যাখ্যায় টেগোর ঐকমত্য পোষণ করেন। কিন্তু এ কথা বলা হলেও, বস্তুবাদী সভ্যতাকে কেবলই উন্নতি করার অর্থ ইউরোপের যুদ্ধ ছাড়া আর কী! সেটাই যদি চাহিদা এবং দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে জার্মানির কাইজারকে (সম্রাট) [যুদ্ধ থেকে] বিরত থাকতে বাধ্য না করলে নয়, কিন্তু তাতো সম্ভব নয়, জোরালোভাবে বললে এই অর্থেই [টেগোরেরও] দুশ্চিন্তা বিদ্যমান।’

‘বানকোওরো’ নামে এই বাড়িতে রবীন্দ্রনাথকে সংবর্ধনা দেয়া হয়
‘বানকোওরো’ নামে এই বাড়িতে রবীন্দ্রনাথকে সংবর্ধনা দেয়া হয়

১৯৩১ সালে ভিসকাউন্ট শিবুসাওয়া লোকান্তরিত হন। ঠিক এক দশকের মাথায় ১৯৪১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও। তাঁদের বন্ধুত্বের এই অধ্যায় বিস্মৃতির আড়ালে চলে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর। শুধু তাঁদের নয়, রবীন্দ্র-জাপান সম্পর্কের ইতিহাসটিই ঢাকা পড়ে যায়। যদিও বা ষাটের দশকে শান্তিনিকেতন ও জাপানের মধ্যে পুনরায় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় শুরু হয় নতুন করে, যেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যুদ্ধের প্রাক্কালে। কবির ১৯৬১ সালের শততম জন্মজয়ন্তী মহাসমারোহে উদযাপিত হয় টোকিও, ওসাকা, কোবে প্রভৃতি শহরে বিশাল উদ্যোগ নিয়ে ১৯৫৮-৫৯ সালেই। দীর্ঘ এক যুগ পরে আবার রবীন্দ্রনাথ ও জাপানি মনীষী ওকাকুরা তেনশিনের (১৮৬৩-১৯১৩) নাম জাপানি মানুষের সামনে উপস্থাপিত হতে থাকে। জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের পুরোনো প্রবীণ বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা শিল্পপতি ও শিক্ষাবিদ ওওকুরা কুনিহিকোর (১৮৮২-১৯৭১) নেতৃত্বে সমবেত হন। অশান্ত-অস্থির সেই সময় প্রবল মার্কিন সংস্কৃতির জোয়ারের মধ্যেও স্বল্পকালীন একটা রবীন্দ্র-আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। অনেক কাজ হয়েছে এই উৎসবে রবীন্দ্রনাথের ওপর সাড়ে তিন বছরে। নবীন রবীন্দ্রভক্ত অধ্যাপক কাজুও আজুমার (১৯৩১-২০১১) নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে ‘জাপান টেগোর সমিতি’ গঠিত হলে পরে নবীন-প্রবীণ বেশ কিছু রবীন্দ্রভক্ত কবিকে নিয়ে লেখালেখি, অনুষ্ঠান, গবেষণা, অনুবাদের কাজে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। তাঁরা অনেক উল্লেখযোগ্য কাজ করতে সক্ষম হন।

আসুকায়ামা উদ্যানে রবীন্দ্রনাথ ও শিবুসাওয়া
আসুকায়ামা উদ্যানে রবীন্দ্রনাথ ও শিবুসাওয়া

কিন্তু যেটা তাঁদের পক্ষে করা সম্ভব হয়নি সেটা হলো টোকিও বা য়োকোহামা বন্দরনগরে একাধিক স্মৃতিবিজড়িত স্থান থাকা সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথের একটি স্মারক ভাস্কর্য স্থাপন। জাপানের শীর্ষ রবীন্দ্রগবেষক একবার অধ্যাপক আজুমাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করে যথার্থ উত্তর পাইনি। হয়তো আরও কিছুদিন সুস্থ ও সবল থাকলে মনে হয় উদ্যোগটা গ্রহণ করতেন। তা আর হয়নি ২০১১ সালের ২৮ জুলাই তারিখে তিনি পরলোকে যাত্রা করেন ৮০ বছর বয়সে। মাত্র ১০ বছর বয়সের সময় তিনি রবীন্দ্রনাথের ভক্ত হয়েছিলেন ‘ডাকঘর’ পাঠ করে। তারপর তো জীবনের অর্ধেক গুরুদেবকে নিয়েই কাটিয়ে দিলেন সস্ত্রীক।
প্রবল প্রভাবশালী অধ্যাপক আজুমা যখন পারলেন না তখন আমার মনে হয়েছিল আরেকজন পারেন তিনি হলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (১৯৪৭-)। কারণ তিনি রবীন্দ্রনাথের ওপর একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা একবার বলেছিলেন। নিশ্চয়ই তিনি রবীন্দ্রনাথকে গভীরভাবে ভাবেন এবং ভালোবাসেন। তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও (১৯২০-৭৫) বড়মাপের রবীন্দ্রভক্ত ছিলেন। ২০১০ সালে তিনি যখন জাপান সফরে আসবেন জানতে পারলাম তখন খুব আশান্বিত হয়েছিলাম এই ভেবে যে, তিনি নিশ্চয়ই টোকিওর কোনো উদ্যানে বাংলাদেশের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি স্মারক ভাস্কর্য স্থাপন করবেন! এই সুবর্ণ সুযোগটা তাঁর জন্য প্রতীক্ষা করছে! তিনি নিশ্চয়ই জানেন রবীন্দ্র-জাপান সম্পর্কের ইতিহাস! তা ছাড়া তখন পররাষ্ট্রসচিব ছিলেন মো. মিজারুল কায়েস, যিনি বেশ কয়েক বছর জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসে দ্বিতীয় সচিব ছিলেন আশির দশকে। অসম্ভব রবীন্দ্রভক্ত কায়েস সাহেব অধ্যাপক কাজুও আজুমারও ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তিনি নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই বিষয়ে অবহিত করে একটি ব্যবস্থা করেবেন! খুব একটা কঠিন কাজ তা-ও নয়। ভারতের বাইরে যে দেশটিকে গুরুদেব সবচে বেশি ভালোবেসেছিলেন সেটা জাপান, বহু ঘটনা ও ইতিহাস তাঁর এখানে রয়েছে, সুতরাং তাঁর একটি স্মারক ভাস্কর্য স্থাপন জাপানি ও বাঙালি ভক্তরা দাবি করতেই পারেন।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, কিছুই হয়নি। শতবর্ষ পুরনো রবীন্দ্র-জাপান সম্পর্ক নিয়ে একটি কথাও কোথাও প্রধানমন্ত্রী বলেননি! আশার গুড়ে বালি নয়, পিঁপড়ে পড়ে আমাকে অত্যন্ত ক্ষতবিক্ষত করেছে কেবল। দৈনিক সমকাল-এ এই আশাভঙ্গের কথা একটি নিবন্ধে আমি লিখেছিলাম সঙ্গে সঙ্গে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নজরে লেখাটি পড়েনি বলেই আজকে প্রতীয়মান হচ্ছে। তার কারণ ২০১৪ সালের মে মাসের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সফরে আবার জাপানে এলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আবে শিনজোওর (১৯৫৪-) আমন্ত্রণে, তখন আবার আশায় বুক বেঁধেছিলাম। কিন্তু এবারও পূর্ববৎ নিরাশ হতে হলো।
সম্ভাবনা যে চলে গেছে, এ কথা বলা যাবে না। তবে সুযোগ বার বার আসে না। দুবার সুযোগ ছিল তার জন্য এই উদ্যোগটি নেবার। টোকিওর কেন্দ্রস্থল উয়েনো উদ্যান না হয় আসুকায়ামা উদ্যানে রবীন্দ্রনাথের একটি স্মারক ভাস্কর্য স্থাপিত হলে ক্ষতির কারণ তো নেইই, বরং দুজাতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য যুগপৎ কৌতূহলোদ্দীপক এবং আনন্দদায়ক বিষয়ই হবে। আসুকায়ামা উদ্যানে শিবুসাওয়া এইইচির একটি প্রস্তর ভাস্কর্য স্থাপিত আছে, তার পাশে রবীন্দ্রনাথের একটি হলে কী চমৎকারই না হবে! শান্তিকামী দুই প্রাচ্য আদর্শবাদীর মিলনক্ষেত্রে তাঁদের স্মারক ভাস্কর্য নতুন দিকের সূচনা করবে। বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রবীর বিকাশ সরকার
জাপানপ্রবাসী লেখক ও গবেষক