আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলের হামলা: ওআইসির বৈঠকে বাংলাদেশের নিন্দা
জেরুজালেমের পবিত্র আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর উপর্যুপরি হামলার ঘটনায় ইসলামি সহযোগী সংস্থা (ওআইসি) গতকাল মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক আহ্বান করে। বৈঠকে ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি ও সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী আল আকসা মসজিদে ও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানান। এ ছাড়া জেরুজালেমের শেখ জারাহ এলাকায় ফিলিস্তিন পরিবারকে তাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করারও তীব্র নিন্দা জানান।
সৌদি দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা মনে করি ফিলিস্তিনিদের তাঁদের জমি ও বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ ও নির্মূল করা ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর একটি নিয়মিত প্রচেষ্টা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পবিত্র আল আকসা মসজিদ এবং ফিলিস্তিনের অন্যান্য অংশে ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক এ–জাতীয় নির্মম হামলা ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও মধ্যপ্রাচ্যের শান্তিপ্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করছে।’
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা দেখছি যে অনেক দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানাচ্ছে।
তবে আমরা মনে করি, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীকে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য এটাই যথেষ্ট নয়। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে এবং অদূর ভবিষ্যতে ইসরায়েলকে এ–জাতীয় হামলা, নৃশংসতা ও উসকানিমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত রাখতে বাস্তবভিত্তিক ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই। আমরা ওআইসিকে এ বিষয়ে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার আহ্বান জানাই।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সব সময়ই একাত্মতা প্রকাশ করে এবং তাঁদের ভূমিতে তাঁদের ন্যায্য অধিকারের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনরায় প্রকাশ করছি। বাংলাদেশ জাতিসংঘে গৃহীত প্রস্তাবসগুলো, আরব পিস ইনিশিয়েটিভ এবং কোয়ার্টেট রোড ম্যাপের আলোকে ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে।’
সভায় ফিলিস্তিন, তুরস্ক, পাকিস্তান, সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কুয়েত, জিবুতি, ইন্দোনেশিয়া, আলজেরিয়া, ইরাক, মরক্কোসহ বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। স্থায়ী প্রতিনিধিরা পবিত্র আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর এ হামলার তীব্র নিন্দা করেন এবং তা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানান। পরবর্তী সময়ে সর্বসম্মতিক্রমে একটি যৌথ ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। নাইজারের স্থায়ী প্রতিনিধি এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। এর আগে বাংলাদেশ সরকার ১০ মে ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে।