আমাদের চীনের মতো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত
সিস্টেম ভালো মানে দেশ উন্নত। একটি দেশের উন্নতি কিংবা জীবনব্যবস্থার উন্নয়নের ভিত্তি নির্ভর করে রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকের দ্বারা নির্ধারিত সিস্টেমের ভিত্তিতে। তাই লিখতে বসলাম ভুল সিস্টেমের বিরুদ্ধে। প্রথমে আসি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে।
শিক্ষাব্যবস্থায় বড় গলদ আমার কাছে মনে হয় শিক্ষার্থীদের মুখস্থ করানোর ব্যাপারটি। কম্পিউটার কত সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল ধরনের প্রশ্ন আমরা পড়ি। একই সময়ে ইউরোপ,আমেরিকা, চীনের শিক্ষার্থীদের শেখানো হয় প্রোগ্রামিং। চাকরির আশায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে আমরা আবার নবম-দশম শ্রেণির সিলেবাস মুখস্থ শুরু করি। আর তারা অনার্স-মাস্টার্সে অধ্যয়নের সময় স্ব-স্ব কর্মমুখী করে, নিজ বিষয়ে চাকরির উপযুক্ত করে তোলে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা হলো এলোমেলো। পড়ালেখার সঙ্গে কর্মক্ষেত্রের কোনো মিল নেই। এই শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে দেশের টেকসই উন্নয়ন কিংবা রাষ্ট্রব্যবস্থা নির্মাণ সম্ভব নয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে আনতে হবে ব্যাপক পরিবর্তন। রাষ্ট্রীয় খরচে প্রতিটি কাজের জন্য, প্রতিটি বিভাগের জন্য দক্ষ লোক তৈরি করতে বিদেশে টিমভিত্তিক পড়াশোনা কিংবা প্রশিক্ষণ নিতে পাঠাতে হবে, পরে তাঁরা ফিরে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে স্বদেশিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, যেটি চীন করে।
কিছুদিন আগে আলু চাষ দেখতে, পুকুর খনন দেখতে কিছু কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণে আসতে দেখে মানুষ হাসত। কিন্তু আসল কথা হলো, ইউরোপ-আমেরিকার এই কাজগুলো আমাদের মতো সনাতন পদ্ধতির নয়। আমি মনে করি, তাই তাদের এগুলো দেখতে আসা উচিত। অন্তত প্রযুক্তির ব্যবহার শিখতে পারবে। তবে রাষ্ট্রের উচিত তরুণ মেধাবীদের পাঠানো।
এবার আসি দেশের আইনের শাসনব্যবস্থা নিয়ে। খবরের কাগজ খুলেই দেখি ধারাবাহিক অশান্তির খবর। দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে না পারলে আপনি বা আপনারা আক্রান্ত হবেনই। জার্মানিতে একজন মেয়র কিংবা মন্ত্রী নিজ দায়িত্ব পালন শেষে সাধারণ মানুষের সঙ্গেই তাঁর চলাফেরা। দেখা যায়, রাষ্ট্রের যত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিই হোন না কেন, জীবন-চলাচল সাধারণ মানুষের মতোই। সবার সঙ্গে লোকাল ট্রেনে, বাসে, ট্রামে বা সাইকেলে চলাচল করেন। নেই কোনো নিরাপত্তার প্রটোকল, খাচ্ছেন মন যেখানে চায় সেখানে, অবাধে ঘুরছেন মার্কেটসহ সব জায়গায়। কিন্তু আমাদের দেশে কি তা সম্ভব? একজন মন্ত্রী, এমপি কিংবা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কি নিয়ম করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে চলাফেরা করতে পারছেন? উত্তর হলো, না। কিন্তু, কেন না? কারণ, আইনের শাসনের অভাব। নিজেরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেননি, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেননি, তাই নিজেরা অনিরাপদ। আর এখানে রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন আর জনগণই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। আইনের শাসন, জবাবদিহি, স্বচ্ছতা ছাড়া কখনো একটি রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর এগুলো সবটারই অভাব আমাদের। আমাদের যেমন আইন রয়েছে, তেমনি তাদেরও আইন রয়েছে। পার্থক্য হলো, ইউরোপিয়ানরা আইন মানতে বাধ্য, কারণ সঙ্গে সঙ্গেই আইনের প্রয়োগ হয়। এখানে আইন অমান্য করে কেউই পার পায় না। মুহূর্তের মধ্যেই অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসে। আর আমাদের মধ্যে রয়েছে বিলম্বিত করার অভ্যাস এবং আইনের অপপ্রয়োগসহ স্বজনপ্রীতি। যার কারণে রাষ্ট্রের সবাই ভুগছে। মোটকথায় এখনই সময় সিস্টেম বদলানোর, সিস্টেম বদলানো গেলে রাষ্ট্র বদলাতে বাধ্য। প্রতিটি জায়গায়, প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা রাখবে।
নিয়োগপ্রক্রিয়ায় পরিবর্তন কেন আনতে হবে
পৃথিবীর প্রায় দেশে সরকারি কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয় স্ব-স্ব পদের যোগ্য, দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের। যেমন ধরুন একজন ব্যাংকার নিয়োগ দেবেন, তাঁকে হতে হবে ওই বিষয়ের পড়াশোনা ও কর্ম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা নিয়োগে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই ওই বিষয়ের ওপর পড়াশোনা থাকতে হবে, আর আমাদের দেশে দেওয়া হচ্ছে বাংলা, সাধারণ জ্ঞান, অঙ্ক—এই টাইপের ওপর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। এখন কথা হচ্ছে, এভাবে অনাড়ি লোকদের স্ব স্ব কাজের বিষয়ে পড়াশোনা বা অভিজ্ঞতা না নিয়ে যদি নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে রাষ্ট্র কীভাবে সামনে যাবে? রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের এখনই ভাবতে হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। একজন চিকিৎসককে তাঁর নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে কেন মুখস্থ করতে হবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হৈমন্তী’ গল্পের গৌরীশংকর বাবু কোথায় বাস করেছিলেন? ঠিক একইভাবে একজন ইংরেজির শিক্ষককে কেন মুখস্থ করতে হবে বিদ্যা+ আলয় মিলে বিদ্যালয় হয়। এখন এটি তো উদাহরণমাত্র। সাহিত্যে পড়াশোনা করা ব্যক্তি কেন অডিটে চাকরি করবেন? বা চিকিৎসক বা প্রকৌশলী হয়ে তিনি কেন কাস্টমসে চাকরি করবেন? এই রকম সব অনিয়ম দূর করতে হবে, অন্যথায় রাষ্ট্রের অপমৃত্যু হবে। এখনই সময় ভাবার, বোঝার।
চিন্তা করতে হবে সুদূরপ্রসারী। ভাবতে হবে আগামী ৫০ বছর পর রাষ্ট্র কোথায় যাবে। একটু ভেবে দেখুন, ইউরোপের কথা বাদই দিলাম। মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি কোথায় আর আমরা কোথায়? কেন আমরা পেছনে? কারণটা সিস্টেমের ভুল, অনিয়ম বা দুর্নীতি। সিস্টেম বদলালে দুর্নীতি ও অনিয়ম পালাবে। যেমন আমি জার্মানির উদাহরণই দিই। এখানে মানুষ রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হতে পারে না। কারও সম্পদ বেড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উপযুক্ত কারণ দেখানোর নোটিশ দেওয়া হয়। প্রতিটি বিষয় অনলাইনে মনিটরিং করা হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার। নেই কোনো প্রশাসনিক জটিলতা। ধরুন, আপনি ব্যবসা করতে চান। আপনার যে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স বা ডকুমেন্ট দরকার, তা কত দিনের মধ্যে পাবেন, তা বিস্তারিত অনলাইনে দেওয়া আছে। নেই কোনো বাধা। আইন হলো সবার জন্য সমান।
ডাক বিভাগ নিয়ে পরিকল্পনা
আর একটি বিষয় নিয়ে লিখতে মন চায়, সেটি হলো আমার ডাক বিভাগ। যেটি আজ মৃতপ্রায়। অথচ জার্মানির ডাক বিভাগ পৃথিবীবিখ্যাত। কারণ কী? স্বচ্ছতা এবং সেবার মান। আমাদের ডাক বিভাগকে প্রাণ ফিরে ফেতে হবে। প্রথমে যে কথাটি বলব সেটি হলো, রাষ্ট্রের ডাক বিভাগের প্রাণ ফিরে পেতে ডাক বিভাগকে চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি কুরিয়ার সেবা চালু করতে হবে। তাহলে ডাক বিভাগ একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের রূপ নেবে। পৃথিবীর প্রতিটি দেশের ডাক বিভাগে কুরিয়ার সেবা চালু আছে, আমাদেরও যদি থাকে, তাহলে একে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রাণ দিতে হবে প্রচার চালিয়ে— কুরিয়ার সেবায় মানুষ যেন অধিক সেবা নেন। উদাহরণ হিসেবে আমি জার্মানির ডিএইচএলের (DHL) মডেল অনুসরণ করার কথাই বলব।
রেলের টিকিট নিয়ে পরিকল্পনা
এবার একটু বাংলাদেশের রেলওয়ের কথা বলি। প্রায় দেখা যায় মানুষ টিকিট পায় না। যার কারণ হিসেবে দেখানো হয়, অসাধু কর্মকর্তাদের সহায়তায় টিকিট কালোবাজারিদের হাতে চলে যায়। একটু ভেবে দেখুন, একটু সিস্টেমের পরিবর্তন করলে এটি সহজেই বন্ধ করা যাবে। এই সিস্টেম বদলাতে ইউরোপ আসতে হবে না। সিঙ্গাপুর কিংবা ব্যাংককের দিকে খেয়াল করুন, প্রতিটি রেলস্টেশনে রয়েছে টিকিট কাটার জন্য ভেন্ডারিং মেশিন, দেখতে হুবহু ব্যাংকের এটিএম মেশিনের মতো। ভিসা কার্ড কিংবা টাকা মেশিনে ঢুকিয়ে দেবেন, অটো যার টিকিট সে কেটে নেবে। দরকার হবে না লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিটের জন্য হাহাকার করার। কালোবাজারি থেকে টিকিট কাটার জন্য এনআইডি নম্বর ব্যবহার বাধ্যতামূলক করলেও যার টিকিট সে কাটতে পারবে,শিশুদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়েও টিকিট কাটার সিস্টেম করা যেতে পারে, তাহলে কালোবাজারিদের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
আমাদের দেশে রাস্তায় দেখবেন যেখানে-সেখানে ময়লা। আর ইউরোপের রাস্তাঘাট আয়নার মতো পরিষ্কার। আমাদের নয় কেন? আমি বলব এটি সিস্টেমের সমস্যা। বিভিন্ন সেন্টারে কিছু দূর পরপর বড় বড় ময়লা সংগ্রহের বক্স বসিয়ে দেন, যেখানে একসঙ্গে তিনটি পার্ট থাকবে—একটিতে কাগজ, অন্যটিতে ব্যবহৃত বোতল এবং আর একটিতে খাবারের বর্জ্য। মানুষ বক্স দেখে রাস্তাঘাটে আর ময়লা ফেলবে না এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর তা পরিবহন করতে হবে এবং ময়লা নিয়ে নতুন পলিব্যাগ বসিয়ে দিতে হবে। দেখবেন মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আসবেই। এখন কথা হলো, আমরা ময়লা ফেলা বক্স দিয়েছি অর্ধকিলোমিটার পরপর, আবার দেখা যায় প্রায় শহরেই ময়লা ফেলার বাক্স নাই। তাহলে মানুষ তো ময়লা রাস্তায় ফেলবেই। সঙ্গে রাস্তা পরিষ্কারের জন্য আধুনিক মেশিন ব্যবহার করতে হবে। রাস্তায় যে ঝাড়ু দিয়ে বাপ-দাদার আমলের নিয়মে রাস্তা পরিষ্কার করেন, এই প্রথা বাদ দিন। গাড়ি নিয়ে ডিজিটাল মেশিনের সাহায্যে খুব অল্প সময়ে তা পরিষ্কার করুন।
রাষ্ট্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি চলাকালে ব্যক্তিগত মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করুন। চাকরি মানে চাকরি। ইউরোপের কোনো দেশে চাকরি চলাকালে মোবাইল, ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কেউ ব্যবহার করতে পারে না। চাকরি মানে সর্বাধিক সেবা নিশ্চিত করা। আর আমাদের দেশে দেখা যায়, চাকরি চলাকালে দায়িত্বে অবহেলা করা। এমনকি আপনি দেখবেন ইউরোপ-আমেরিকার প্রায় দেশে ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি চলাকালে বসার নিয়ম নেই। সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেবা দেন।
চীন তার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য প্রায় ১ যুগ তাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল। চীন সরকার মনে করেছিল, এত ছেলেমেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কী করবে? কোথায় চাকরি পাবে? কেই-বা চাকরি দেবে??? এত হাজারো বেকারকে চাকরি দেওয়ার মতো প্রতিষ্ঠান চীনে নেই। তাই তারা ভাবা শুরু করল বিকল্প পদ্ধতি। ওই সময়টায় চীন ছাত্রছাত্রীদের আধুনিক প্রশিক্ষণ দিয়েছিল নানা ধরনের ট্রেড কোর্সে, কর্মমুখী শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত বিভিন্ন কোর্সে। স্বল্পমেয়াদি এই কোর্স শিখে চীনের ছেলেমেয়েরা স্বাবলম্বী হওয়া শুরু করল। প্রতিটি বাড়ি গড়ে উঠল একটা করে ছোট কারখানায়। পরিবারের সবাই সেখানে কাজ করত। বড় ফ্যাক্টরি করার আলাদা খরচ নেই। ফলে পণ্যের উৎপাদন খরচ কমে গেল। বর্তমানে যেকোনো পণ্য সস্তায় উৎপাদন করার সক্ষমতায় তাদের ধারেকাছে কেউ নেই।
পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলে চাইনিজ পণ্যের প্রসার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে তারা বিশ্ববাণিজ্যের এক অপ্রতিরোধ্য পরাশক্তি। উপযুক্ত মূল্য দিলে তারা এমন জিনিস বানিয়ে দেবে, যার গ্যারান্টি আপনি চাইলে ১০০ বছরও দিতে পারবেন। অপর দিকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে বেকার বানানোর কারখানায়। প্রতিবছরই দু-একটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে আর বের হচ্ছে কয়েক হাজার বেকার। দল বেঁধে পড়ানো হচ্ছে, যার সঙ্গে বাস্তবিক কর্মক্ষেত্রের কোনো মিল নেই। এত বেকারের ভিড়ে চাকরি বাংলাদেশে একটি সোনার হরিণ। কোম্পানিরাও এটা বোঝে। তাই এই দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী প্রত্যাশা অনুযায়ী বেতন পায় না, চাকরি পায় না। আর পেলেও সহ্য করতে হয় মালিক অথবা বসের নানাবিধ অদ্ভুত পরীক্ষা ও অপেশাদার আচরণ।
অবশ্য, দীর্ঘদিন বিভিন্ন জাতির শোষণের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে আমাদের জাতির জীবনে প্রবেশ করেছে এক ধরনের প্রভুভক্ত মানসিকতা। আমরা মনে করি স্যুট, টাই পরে কোনো কাজ করতে পারলেই বুঝি সেখানেই জাতির সফলতা। এটা আসলে একটি অপ্রকাশ্য দীনতা, যা কেউ স্বীকার করছেন না। এই দেশের অর্থনীতির জন্য সামনে খুব ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে। তাই, বাংলাদেশের উচিত চীনের মতো একটা পদক্ষেপ নেওয়া। চাকরি করে দেশের উন্নতি হয় না, আমাদের উদ্যোক্তা প্রয়োজন। তাই শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন, গুরুত্ব দেওয়া উচিত কর্মমুখী শিক্ষায়।
লেখক: এম এ হাসান, শিক্ষার্থী, পিলিপস ইউনিভার্সিটি, জার্মানি।