আনত যিশুর শহরে-১
১.
হেমন্তের মিষ্টি রোদে চারপাশ ভেসে যাচ্ছে। গাছে গাছে পাতারা সবুজ রং পাল্টে হলদে আর সোনালিতে মজেছে। পটে আঁকা নিখুঁত শহর মিউনিখ। কিন্তু তারিয়ে তারিয়ে সে ছবি দেখার সময় নেই। তাড়াহুড়ো করে অফিসের বাস ধরতে দৌড়াচ্ছি।
বাস আর ধরা হয়নি। তার বদলে তুলতুলে একটা নরম হাত মুঠোয় পুরে উদ্ভ্রান্তের মতো দাঁড়িয়ে আছি। মেয়েটা হারিয়ে গেছে। বয়স বছর পাঁচেক। নাম জিজ্ঞেস করলে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। এক–দুবার সে চেষ্টা করে আশা ছেড়ে দিয়েছি। এখন আমারও কাঁদতে ইচ্ছে হচ্ছে।
‘বাহ, তুমি এসে গেছ। একটা গতি করো তো দেখি।’ কথাটা বলেই স্কুলব্যাগ পিঠে সাত-আট বছরের ছেলেটা সাঁই সাঁই করে সাইকেল চালিয়ে স্কুলের পথ ধরল। বাচ্চা মেয়েটাকে কাঁদতে দেখে সে-ই সাইকেল থামিয়ে থমকে দাঁড়িয়েছিল। এখন বড় কাউকে পেয়ে তার জিম্মায় সঁপে দিয়ে তার দ্রুত প্রস্থান। মাঝখান থেকে আমি বেচারা ফেঁসে গেলাম মনে হচ্ছে।
ইতিউতি তাকিয়ে কী করি উপায় মিলছে না। একেবারে পুলিশে ফোন লাগাব? নাকি আশপাশে খুঁজে দেখব। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া বাচ্চা নিয়ে ঘুরে বেড়ালে মুশকিল। দেখা গেল শেষকালে নিজেই ‘শিশু পাচার’ আইনে মামলা খেয়ে গেছি। বাসে করে অফিস যাওয়ার বদলে পুলিশ ভ্যানে চেপে হাজত বরাবর রওনা দিয়েছি। এই পিঠে ছত্রিশ ঘা পড়ল বলে।
নাহ, মিউমিউ ফ্যাঁচ কান্নায় মাথা ধরে যাচ্ছে। আর না পেরে বললাম, ‘কে ছিল সঙ্গে? মা না বাবা?’ জবাবে সে পশ্চিমে তাক করে জানাল, ‘ওদিকে বাবা গেছে।’ আর পুবের দিকে হাত উঁচিয়ে বলল, ‘আর এদিকে মা।’
বাহ, মা–বাবা কী সুন্দর সন্ধি করে পুব-পশ্চিমে গায়েব হয়ে গেছে। মেয়েটাকে এখন উত্তরে রেখে আমি দক্ষিণ দিকে সটকে পড়লেই তো হলো। কিন্তু মন চাইলেও পা সরল না।
পাশেই সুপারমার্কেট। ঢুঁ মেরে দেখব কি না ভাবছি। মেয়েটাকে দাঁড় করিয়ে রেখে ওর মা আবার সেখানে গেল না তো? ‘আচ্ছা চলো দেখি দোকানের ভেতর। মা বোধ হয় কিছু কিনতে গেছে।’ বলামাত্র কড়ে আঙুলটা খামচে ধরল মেয়েটা। হালকা ঝাড়া দিয়ে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলাম। লাভ হলো না। বরং একে একে তর্জনী, মধ্যমা, অনামিকা আর বুড়ো আঙুলটাও সে তালুবন্দী করে নিল। কারও হাতে তাকে গছিয়ে দিয়ে সটকে পড়ার যে হালকা ফন্দিটা উঁকি দিচ্ছিল মাথায়, সেটা হঠাৎ করে নিভে গেল।
‘অ্যাই যে গনি মিয়া, মেয়েটাকে চেনো নাকি? ওর মা হঠাৎ হাপিশ হয়ে গেছে। কী করি বলো তো?’ বাড়ির পাশের একমাত্র দোকান বলে ক্যাশিয়ার, কর্মচারী—সবার সঙ্গে ভালো রকমের ভাব আছে।
গনি মিয়া ঘানার লোক। মোটাসোটা, অমায়িক মানুষ। সে তার বিরাট ভুঁড়ি আর চকচকে টাক নিয়ে উদ্বিগ্ন ছুটে এল। ‘আরে, এ তো সেলেকা। মায়ের সঙ্গে প্রায়ই আসে।’ হাঁপ ছাড়লাম। যাক, বাপু, কেউ তো অন্তত চিনতে পেরেছে মেয়েটাকে। গনি মিয়া একনিমেষে সব সারি দেখে নিয়ে বলল, ‘কিন্তু ওর মা তো নেই এখানে।’ কপালের ভাঁজগুলো সোজা হয়েও আবার ভাঁজ খেয়ে গেল। ঠিক যেন ইসিজি গ্রাফ।
‘তুমি এক কাজ করো না। পুলিশে ফোন লাগাও।’ বলেই সে ডিউটির অজুহাতে কেটে পড়ল। খেটে খাওয়া মানুষ। দোষ দিয়ে কী কাজ। তার চেয়ে মেয়েসহ বেরিয়ে এসে মুঠোফোন হাতে নিলাম। ১-১-২ চেপে কানে লাগাতেই ওপাশ থেকে ভেসে এল জরুরি কণ্ঠ, ‘কোথায় আগুন লেগেছে শিগগিরই বলুন। রাস্তার নাম আর বাড়ির নম্বর, কুইক!’ বুঝলাম, ভুল নম্বর চাপা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিয়ে দিয়েছি। কোনোমতে মাফ চেয়ে আবার নতুন করে বোতাম চাপতে লাগলাম।
এবার ঠিকঠাক ১-১-০ টিপেছি। বাজখাঁই গলার কেউ ধরল। কথায় খাস বাইরিশ টান। বাভারিয়া রাজ্যের আঞ্চলিক ভাষা আরকি। চলিত জার্মানই ভালো পারি না, তায় আবার বাইরিশ ডায়ালেক্ট। লোকটা প্রটোকল মেনে কী সব জানতে চাইছে, দূর ছাই কিচ্ছু বোঝার উপায় নেই। সুতরাং কলকাতার লোক নোয়াখালীওয়ালার পাল্লায় পড়লে যা হয়, তেমন দশা হলো। চাইছি জল, আর আনতে গেছে হানি। প্রায় ঝগড়া বেধে যাওয়ার জোগাড়।
তাকে আর প্রটোকল ফলানোর সুযোগ না দিয়ে শেষমেশ ভাঙাচোরা জার্মানে বলে গেলাম, ‘বাচ্চা হারানো কেস। অমুক রাস্তা, তমুক মোড়। অতএব, কাম শার্প।’ পাশ থেকে সেলেকা একটা সময়োচিত ভ্যাক কান্না জুড়ে দিল, ‘ভ্যাঁআআ...’। আমাদের টিমওয়ার্কটা জমে গেল বেশ। ওপাশ থেকে ব্যস্তসমস্ত কণ্ঠে ‘এক্ষুনি আসছি’–জাতীয় কিছু শুনলাম মনে হলো। যাক, বাঁচোয়া।
নিশ্চিন্তে দাঁড়িয়ে রইলাম। ‘এই হলুদ-নীল ডোরাকাটা গাড়িতে পুলিশ মামা এল বলে...’। ভুংচুং দিয়ে ছোট্ট কিন্তু বজ্রমুঠি থেকে আঙুলগুলো ছাড়িয়ে নিচ্ছিলাম। হাত মোছা দরকার। নাকের পানি, চোখের পানিতে পিচ্ছিলপ্রায়। সেলেকা ফোৎ করে নাক ঝাড়ার সময়েও আমার হাতটা হাতছাড়া করেনি। হই না যতই অচেনা আগন্তুক।
প্যাঁ–পোঁ সাইরেন কানে আসছে। পুলিশি, দমকল না অ্যাম্বুলেন্স, সেটা ঠাহর করতে ঘাড় ঘোরানোর আগেই জামার ঝুল ধরে সেলেকা সামনের দিকে টানতে লাগল সামনের পানে। কিন্তু এখন জায়গা বদল বোকামি হবে। পুলিশ খুঁজে পাবে না আমাদের।
‘সামনে চলো, হাঁটো, হাঁটো। আমার কিন্ডারগার্টেন ওই যে।’ এবার জিজ্ঞাসু কণ্ঠে বললাম, ‘কই যে?’ দুই পা এগোতেই নীল ফটক চোখে পড়ল। তাতে বড় হরফে লেখা, ‘সেন্ট আন্টন কিন্ডারগার্টেন’। এবার খঁচে গেলাম রীতিমতো। এর হদিস আগে জানলে তো আর পুলিশ ডাকতে হতো না। থানার খাতায় নাম-ঠিকানা উঠে যাওয়া কি ভালো?
মিনিট দশেক বাদে কিন্ডারগার্টেনের টিচারের কাছে সেলেকাকে বুঝিয়ে দিয়ে ঝাড়া হাত-পা নিয়ে বেরোলাম। পুলিশও তাদের গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়েছে। এদিকে আর আসতে হচ্ছে না। তবে বিকেল অবধি সেলেকাকে কেউ নিতে না এলে কেস আবার থানা-পুলিশেই গড়াবে। জল সে অবধি না গড়ালেই হলো।
যাহোক, অসময়ে গির্জার ঢং ঢং শব্দে সংবিৎ ফিরে পেলাম। বাসটা ঠিক নাক বরাবর দাঁড়িয়ে। খেয়ালই হয়নি। এই ছেড়ে গেল বলে। পড়িমরি করে শেষ মুহূর্তে লাফিয়ে চড়লাম। ঝকমকে দালানের সারি আর তকতকে রাস্তার চকচকে গাড়ির ভিড় ঠেলে এগোতে লাগল বাসটা। এমন গোছানো, অভিজাত শহরেও মানুষ আলটপকা হারিয়ে যায়। কী কাণ্ড!
‘হেই সেলেকা বেগম, মায়ের সঙ্গে ঠিকঠাক বাড়ি ফিরো কিন্তু। আর যেন হারিয়ে যেয়ো না কখনো।’ কথাগুলো মনে মনে বলে জানালার বাইরে দৃষ্টি ছুড়লাম নির্বিকার। চলবে...
২.
নানা ব্যস্ততায় সেলেকা মেয়েটাকে ভুলে গেলাম খুব সহজেই।
তারপর এক বিকেল। কাজের পাট চুকিয়ে বাড়ির পথ ধরেছি। বৃষ্টিভেজা দিন। কাদাপানিতে রাস্তা সয়লাব। গামবুট ঠুকে দ্রুত হাঁটছি। ছাতা নেই সঙ্গে। ট্রেনস্টেশনটা আমাদের হাসপাতাল ক্যাম্পাস লাগোয়া। তবু ভিজে ভূত হওয়া ঠেকানো যাবে না আজকে। কী জ্বালা।
হঠাৎ ছপ ছপ শব্দে পাশে তাকাতে হলো। এই আকাশভাঙা বৃষ্টির ভেতর খালি পায়ে আওয়াজ তুলে হাঁটছে কেউ। মহিলার বয়স ৪৫–এর ধারেকাছে। নম্বর লেখা হাতের প্লাস্টিক আর্মব্যান্ডটা বলে দেয় সে এই রেখস্ট ডের ইজার হাসপাতালেরই রোগী হবে। আপাদমস্তক পলক বুলিয়ে আরও আঁতকে উঠতে হলো। তার বাঁ চোখটা ফুলে ছোটখাটো টেনিস বল। তীব্র আঘাতে গাঢ় বেগুনি রং নিয়েছে। পাতা বুজে গেছে। বেঢপভাবে ফুলে ওঠা চোখটা এই বুঝি কোটর ঠেলে বেরিয়ে ঠকাস কারও মাথা ফাটিয়ে শোধ নেবে একচোট।
মুহূর্তের জন্য ভ্রান্তিতে পড়ে গেলাম। পাশ কাটিয়ে চলে যাব নাকি থেমে গিয়ে জানতে চাইব সাহায্য লাগবে কি না—এই দোলাচলে দুলছি যখন, তখন মহিলা নিজেই এসে পথ আগলে দাঁড়াল। ঝুমবৃষ্টি তার চুল চুইয়ে আধবোজা চোখ গড়িয়ে নামছে। পরনের জামাটাও ভিজে সপসপে। কালো ফুটকি দেওয়া হাসপাতাল গাউন হাঁটু আঁকড়ে আছে। যেন সাধ্য থাকলে এই পালিয়ে যাওয়া রোগীকে সে রুখে দিত।
‘ওডিয়নসপ্লাৎজ যাব কীভাবে বলতে পারো?’ এই জার্মান দেশে অচেনা লোককে ‘আপনি’ বলাই ধর্ম। অবশ্য ধর্ম বজায় রাখার মতো অবস্থা নেই তার। মাথার ভেতর হিসাব কষছি। ওডিয়নসপ্লাৎজ তো আমিও যাচ্ছি। সেখান থেকে ট্রেন বদল। কিন্তু পথের হদিস বলা কি ঠিক হবে? নাকি ভুলিয়ে–ভালিয়ে আবার হাসপাতালে নিয়ে যাব। মনের তরফ থেকে হ্যাঁ-না কোনো সদুত্তরই মিলছে না। যান্ত্রিক জীবনে বিবেকের দরজায় কড়া নাড়ার ফুরসত মেলে না। তাই খুব প্রয়োজনেও সে ঘুমিয়ে বেহুঁশ।
‘এই চোখ নিয়ে যাবেন কী করে? চলুন, আপনাকে ইমার্জেন্সিতে পৌঁছে দিচ্ছি।’ দুই কদম দূরে লাল হরফে ‘নোটফাল জেন্ট্রুম’ মানে ‘জরুরি বিভাগ’ লেখা ব্যানারটা দেখিয়ে প্রস্তাব দিলাম।
প্রস্তাব টশকে উড়িয়ে মহিলা টলোমলো পায়ে তাল সামলাতে সামলাতে বলল, ‘আমার সঙ্গে ওডিয়নপ্লাৎজ যেতে পারবে? কিছু দেখতে পাচ্ছি না ভালোমতো।’
—‘ট্রিটমেন্ট না করালে কিন্তু আরও খারাপ হবে।’
—‘ধুর, বললাম তো নোটফাল থেকেই আসছি!’
—‘ইনফেকশন হয়ে গেলে কিন্তু চিরকালের মতো চোখ হারাবেন’।
—‘বলছি না, আমাকে যেতে হবে। এত কথা ভাল্লাগছে না, যত্তসব...’। গাউনের পকেট থেকে কাঁপা হাতে একগোছ চাবি বের করে কথাগুলো বলল সে।
বুঝলাম বোঝাতে যাওয়া বাতুলতা। ঠিকানায় পৌঁছানো তার কাছে জরুরি বিভাগে ফিরে যাওয়ার থেকেও জরুরি। বেশি কথা বলতে গেলে হাতের চাবিটা যদি বেগতিক ছুড়ে মারে। কথা আর না বাড়িয়ে, বৃষ্টিকাদায় মাখামাখি হয়ে চললাম তার সঙ্গে। উদ্দেশ্য, ঠিক ট্রেনে তুলে দেওয়া। কিন্তু তুলে দেওয়া পর্যন্তই। যাত্রাসঙ্গী হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই।
কথাটা সত্য না। উপায় আছে। আসলে ইচ্ছে নেই। ফেরারি রোগীর সঙ্গী হয়ে নিজের অবস্থা সঙিন হওয়ার আশঙ্কা আছে। রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি—টাইপ ঝামেলায় পড়তে পারি। কিংবা, সন্ধ্যার খবরের হেডলাইনও বনে যেতে পারি, ‘মিউনিখে জার্মান নারী সন্ত্রাসী হামলার শিকার। হামলাকারী প্রবাসী এবং মুসলিম। তাকে গ্রেপ্তার ক্রে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে...ইত্যাদি’।
তার চেয়েও বড় কথা। সেলেকার বয়সী একটা ছেলে আছে। তাকে সময়মতো কিন্ডারগার্টেন থেকে তুলতে হবে। বেগুনি চোখ ভদ্রমহিলার সঙ্গে জড়িয়ে ভেজালে পড়লে তাকে নিতে আসার কেউ থাকবে না।
ট্রেন এসে গেছে প্ল্যাটফর্ম কাঁপিয়ে। ঘটাং মোচড়ে হাতল ঘুরিয়ে লোকজন নামছে।
—‘উঠে পড়ুন। সামনের দুই স্টেশনের পরেরটাই ওডিয়নসপ্লাৎজ। আর সাবধানে যাবেন প্লিজ ‘।
—তুমি আসবে না সঙ্গে? আমি একলা যাব?’
এমন সরল আকুতির বিপরীতে ভাষা খুঁজে পেলাম না। ঢোঁক গিলে স্বার্থপরের মতো নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে রইলাম।
বেজায় ফোলা চোখটা নিয়ে খালি পায়ে ভেজা পোশাকে ট্রেন ধরল অচেনা মানুষটা। তার চারপাশের লোকজনের চোখে তার অদ্ভুত উপস্থিতি এতটুকু ধরা পড়ল না। মুঠোফোনের থাবায় বন্দী তারা। সময় নেই ডান-বামের। দড়াম করে দরজা বন্ধ হয়ে গেল। আহত দৃষ্টিতে কাচের ওপাশ থেকে তাকিয়ে থাকল ভদ্রমহিলা।
ট্রেন চলে গেলে শূন্য চোখে স্টেশনের ঘড়িটার দিকে চাইলাম। আর দুই মিনিট পরেই আবার ওডিয়নসপ্লাৎজের ট্রেন। নাহ্, মহিলাকে এড়ানোও গেছে। আবার ফিরতেও পারব সময়মতো। তবু সবকিছু ছাপিয়ে খালি মনে হতে লাগল, কী ঘটনা ঘটেছিল তার সঙ্গে। কেনই–বা অমন তাড়াহুড়ো করে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে গেল সে? তা–ও আবার অমন ভীষণ ফুলে ওঠা চোখ নিয়ে।
কোনো জবাবই যে মেলার নয়। ফোঁস করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে পরের ট্রেনে চাপলাম। সামনে আর কোন বিচিত্র লোকের সঙ্গে দেখা হবে কে জানে। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে হবে। একে একে ওরা সামনে এসে দাঁড়াবে। তারপর তাদের গল্পটা না বলেই চলে যাবে। আর মিছিমিছি ভাবিয়ে যাবে। চলবে...
লেখক: ড. রিম সাবরিনা জাহান সরকার, গবেষক, ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি, স্কুল অব মেডিসিন, টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি মিউনিখ, জার্মানি