অস্ট্রেলিয়া-সিঙ্গাপুর সীমান্ত খোলার পরিকল্পনা

প্রতীকী ছবি

বৈশ্বিক অতিমারি কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমানা খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিক অবস্থায় আগামী জুলাই থেকে অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের মধ্যে ‘এয়ার বাবল ট্রাভেল’ সুবিধা চালু করা হবে। পাশাপাশি সিঙ্গাপুরকে অস্ট্রেলিয়ার অস্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য কোয়ারেন্টিন এবং টিকাদান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের একটি প্রস্তাবনা রাখা হয়েছিল। তবে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশটি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এয়ার বাবল ট্রাভেল নিয়ে আলোচনা করছে যেখানে শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।

গত বছরের ২০ মার্চ থেকে সব আন্তর্জাতিক সীমানা বন্ধ করে দেয় অস্ট্রেলিয়ার সরকার। এরপর কয়েক ধাপে অন্য দেশে আটকে পড়া দেশটির নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের দেশে ফিরিয়ে আনে অস্ট্রেলিয়া। তবে শিক্ষার্থীসহ অন্য সব ভিসাধারীদের দেশটিতে প্রবেশে বিশেষ শর্ত রেখে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার অস্থায়ী ভিসাধারীদের অন্যদেশ থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে আসার সময় সেখানেই ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকার পরিকল্পনা করা হয়।

এ সময় ভিসাধারীদের করোনাভাইরাসের টিকাও দেওয়ার কথা ছিল। এর মাধ্যমে প্রায় ৪০ হাজার ভিসাধারী অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে পারতেন। তবে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘অস্ট্রেলিয়ার কোয়ারেন্টিন এবং টিকাদান কেন্দ্র হিসেবে সিঙ্গাপুরকে ব্যবহারের ধারণা নিয়ে আমরা আপাতত আলোচনা করছি না। তবে যেকোনো অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিঙ্গাপুর হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণ করতে পারবেন।’

চলতি অতিমারির কারণে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বাণিজ্যিক খাত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং পর্যটন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় পরিসংখ্যান বলছে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী খাত ৯৯.৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মাত্র ৩৬০ জন শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে পেরেছেন, যার বেশির ভাগই দেশটিতে আগে অধ্যয়নরত ছিলেন।