অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপিত
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করেছে অস্ট্রিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস। গত শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু করেন। পরে তিনি দূতাবাসের অন্য কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দেন।
বেলা ১১টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে একটি বিশেষ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, পবিত্র গীতা পাঠ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বাণীগুলো পাঠ করে শোনানো হয়। আলোচনা সভায় অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা, সাংবাদিক, ছাত্র ও অন্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।
আলোচনা পর্বে বক্তারা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির জনকের বিভিন্ন পর্যায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম, পরবর্তীকালে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠন ও জাতির সেবায় বঙ্গবন্ধুর অবদান ও আত্মত্যাগ সম্পর্কে সারগর্ভ আলোচনা করেন। তাঁরা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশর উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দেশের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতনের শিকার বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য, প্রজ্ঞাবান ও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রবাসীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
আলোচনা সভা শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়, যেখানে প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পী ও শিশু-কিশোরেরা বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান ও নাচ পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই এ চমৎকার পরিবেশনা উপভোগ করেন। উপস্থিত সবাইকে বাংলাদেশি বিভিন্ন পদের খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।