অনু গল্প
এখন চলছে শারদীয় দুর্গোৎসবের আমেজ। প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা সবাই পূজার আনন্দে রাঙিয়ে তুলব পরস্পরকে। উদ্বেল-আনন্দে ভাসব কয়েকটি দিন।
অক্টোবরের শেষ দিন উদ্যাপিত হবে আরও একটি উৎসব। যার নাম হ্যালোইন উৎসব। প্রাচীন ধ্যান ধারণা বিশ্বাস করলে ওই দিনে হয়তো ফিরে আসবে ছেড়ে যাওয়া আত্মীয়স্বজন। যারা জীবন ছেড়ে গেলেও পৃথিবীর মোহ-মায়া ছেড়ে যেতে পারেননি। বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, কে জানে। আমাদের প্রার্থনা এই দুর্যোগময় সময়ের অবসান হোক, পৃথিবী করোনামুক্ত হোক, সুদিন ফিরে আসুক সবার জীবনে। উৎসব, সে যে ধর্মেরই হোক না কেন, তার আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার হৃদয়ে। ধর্ম হোক যার যার, উৎসব হোক সবার। সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা।—শেলী জামান খান
ফটোগ্রাফার
শেলী জামান খান
অনিন্দ্যর ভালোবাসা, আদরে কেমন যেন একটা মোহ আছে। সে সুখ দিতে জানে। ওর সঙ্গে কাটানো সময়গুলো যেন একটা ঘোরের মধ্যে কেটে যায় জয়ার। নিত্যনতুন কায়দা করে সে প্রায়শই নানা চমক তৈরি করতে ভালোবাসে। এ ছাড়া বিছানায় জয়ার সক্রিয় অংশগ্রহণকেও খুব উৎসাহিত করে সে। সেদিনও অনিন্দ্যর নতুন রপ্ত করা আদর দারুণভাবে উপভোগ করছিল জয়া। শরীরে তখন যেন জোয়ার এসেছে। টান টান উত্তেজনা। মনে হচ্ছে অর্গাজমটা যেন দুই কূল ছাপিয়ে আসছে। হঠাৎ মাথার কাছে রাখা জয়ার ফোনটা বেজে উঠল। জয়া ফোন ধরতে গেলে অনিন্দ্য বাধা দেয়—‘উঁহু উঠতে হবে না। বাজুক’।
আসছি, বাথরুম পেয়েছে—বলে জয়া উঠতে গিয়েই লক্ষ্য করল, পায়ের দিকের ওয়ার্ডরোবের ওপরে রাখা অনিন্দ্যর ভিডিও ক্যামেরাটি তাদের দিকে তাক করে বসানো। ক্যামেরা অন করা। লাইভ ভিডিও হচ্ছে।
গ্যারেজ ঘর
সুস্মিতা দেবনাথ
৩১৭, হরতন অ্যাভিনিউ, কন্যার লিসার বাড়িতে মি. জর্জের বসবাস। তার ঘরটা বাইরে থেকে দেখলে একটি গাড়ি রাখার গ্যারেজ মনে হয়। কিন্তু ভেতরে প্রবেশ করলে সুন্দর একটি স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট। একটা ঘরের ভেতরই বেডরুম, বাথরুম, রান্নার ব্যবস্থা সব সুবিধাই আছে। সেই গ্যারেজ ঘরটির গা ঘেঁষেই তার কন্যার বাড়ি।
বিশালদেহী বৃদ্ধ জর্জকে প্রথম দর্শনে খুব স্বাস্থ্যবান মনে হয়। প্রতিদিন সকাল-বিকেল হাঁটে। সেই সামারে কন্যা যখন ভ্যাকেশনে যায়, সে ক্যাসেটে পুরোনো জ্যাজ গান আর টেলিভিশনে মুভি দেখে অলস সময় কাটায়। প্রতিদিন টেলিফোনে কন্যা আর নাতনিদের ভ্যাকেশন কেমন কাটছে জানতে চায়। সমুদ্র স্নানের বাসনার কথা জানাতেই নাতনি জলের বোতলে গ্র্যান্ড পার জন্য সমুদ্রের জল ভরে রাখে। সমুদ্রের নানা প্রকারের নুড়ি কুড়িয়ে বালতি পূর্ণ করে। অবুঝ নাতনির কথা শুনে জর্জ জীবনের সার্থকতা খুঁজে পায়।
ভ্যাকেশনের শেষ দুদিন লিসা বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে এক বন্ধুকে খোঁজ নিতে পাঠায়। বন্ধু বাইরে থেকে দরজা ধাক্কা দেওয়ার পরও কোনো সাড়া না পেয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হয়। পরে পুলিশ এসে জানতে পারে বাথরুমে জর্জের মৃতদেহ পড়ে আছে। বাথরুমের কল খোলা থাকায় অনবরত জল পড়ছিল। ডাক্তার রিপোর্ট দেয় হার্ট অ্যাটাক।
জর্জের মৃত্যুর পর বাড়ির অনেকেই হ্যালোইনের রাতে সেই ঘর থেকে পানি পড়ার শব্দ পায়। ঘরের ভেতর হঠাৎ পুরোনো ক্যাসেট বেজে ওঠে; টিভির পর্দা অন হয়ে যায়। বাবার মৃত্যুর দুই বছর পরে লিসা সিদ্ধান্ত নেয় অন্যত্র বাস করার। যেই কথা সেই কাজ। বাড়িটি ভাড়া দিয়ে তারা সপরিবারে অন্য স্থানে চলে যায়।
পরবর্তীতে কয়েক বছরের ব্যবধানে তিনটে ভাড়াটে বদল হয় সেই বাড়িতে। অদ্ভুত ব্যাপার, প্রত্যেক ভাড়াটের কোনো একজন স্বজনের ওই বাড়ির বাথরুমের ভেতর মৃত্যু হয়।
তবে জর্জের বাথরুমে কারও মৃত্যু হয়নি, তার ঘরটিও কাউকে ভাড়া দেওয়া হয়নি। মাঝে মাঝে লিসা বাবার পরিত্যক্ত ঘরটিতে কিছুটা সময় কাটায়। কখনো হঠাৎ পুরোনো ক্যাসেটে গান বেজে ওঠে। সে ইচ্ছা করেই ইলেকট্রিসিটির তারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে না। স্বয়ংক্রিয়ভাবে কীভাবে গান বেজে ওঠে সেটা সে উপভোগ করে।
লিসা অপেক্ষা করে আরও একটি হ্যালোইনের জন্য। সে শুনতে চায় বাবার ঘরে টিপটিপ পানির শব্দ; ঘরের বাইরে ক্ষুধার্ত কালো বিড়ালটির মিউ মিউ ডাক।
কুকুরটা
অর্ঘ্য রায় চৌধুরী
কুকুরটা আমার কেবিনেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখন রাত দুটো, ঘরে হালকা আলো। আর আমি দেখছি একটা কুকুর, তার চোখ আমার দিকে মাঝে মাঝেই স্থির, শুনছি তার নিশ্বাসের শব্দ।
স্বপ্ন দেখছি ভেবে উঠে বসলাম, কিন্তু ওই তো, ঘরের এক কোনায় জানালা দিয়ে রাস্তার আলোটাও কিছুটা এসে পড়ছে, একটা টিকটিকি ডেকে উঠল।
এটা শুরু হয়েছে দিন সাতেক আগে থেকে। কুকুরটাকে তাড়া দিলেই অদৃশ্য হয়। আমার ছোট্ট ফ্ল্যাটের দুটো ঘরে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোথাও সে নেই।
ছোটবেলার বন্ধু আশিককে নিয়ে এক রাতে শুয়েছিলাম। যথারীতি কুকুরটা এল, আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু ও পেল না। ও আমাকে পরদিন সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে নিয়ে গেল। ভদ্রলোক কুকুর সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করলেন। কেন করলেন বুঝলাম না। তবে মনে হতে লাগল কুকুর না, প্রশ্নগুলো যেন আমার সম্পর্কেই করা হচ্ছে।
কয়েক দিন হলো ডাক্তারের পরামর্শে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু কুকুরটা পিছু ছাড়েনি। এখানেও রোজ আসে, মাঝে মাঝে আমার বুকের ওপর চড়ে বসে, ওখানে একটা দরজা, দরজা দিয়ে ঢুকে সোজা হেঁটে আমার মাথার ভেতর ঢুকে যায়। আর তখনই আমি ডাক্তার ডাক্তার বলে চিৎকার করে উঠি।
শুনি, নাইট গার্ডেরা বলাবলি করতে থাকে, ‘শালা কুত্তার বাচ্চা। হাসপাতালে এসেও কুকুরের ডাক ডাকছে।’
মানুষ ভূত
সোহানা নাজনীন
ছোটবেলা থেকেই নেলীর ভীষণ ভূতের ভয়। ভৌতিক গল্প পড়ে সে নিজস্ব কিছু অবয়ব তৈরি করেছে। আর হবেই বা না কেন! দুই চাচার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে এক পরিবারে মানুষ সেই জন্মের পর থেকে। এক সঙ্গে উঠোনে খেলা, খাওয়া, পড়তে বসা সবকিছুই তো একপাল ছেলেমেয়ে মিলে হুড়োহুড়ি করে করত ওদের ওই যশোরের বাসায়। দশ-বারোটা নারকেল গাছে ঘেরা বাড়ি, এক কোণে পুরোনো বিলাতি আমড়া গাছ, বাড়ির পেছনে কাঁঠাল, লিচু, আম, ডালিম গাছ সবই তো ছিল। সন্ধ্যার পর নিয়ম করে ইলেকট্রিসিটি চলে গেলে ঘুটঘুটে আঁধারে চাচাতো ভাইয়েরা বলত, ‘নেলী, বেশি দৌড়াস না, ওই দেখ নারকেল গাছের পাতায় ভূত ঝুলে আছে, লাল লাল চোখ দিয়ে পানি পড়ছে’।
ছয় বছরের নেলী তখন চোখ বুজে চেঁচাতে চেঁচাতে রান্নাঘরের দিকে দৌড় লাগাত। তারপর ভুলেও বেশি পানি খেত না, যদি মাঝ রাতে তার বাথরুম পায় এই ভেবে। তাদের আবার উঠোন পেরিয়ে বাথরুমে যেতে হতো।
নেলীর বাবা ১২ বছর আগে ঢাকায় বদলি হয়ে এলে তাদের উঠোনসহ বাড়ি গুছিয়ে দুই রুমের সরকারি কোয়ার্টারে ঠাঁই হলো। নেলী এখন ভয় পায় না, মা বলেছে শহরের আলোতে ভূত পালায়। চারতলা ভবনে অনেকগুলো ফ্ল্যাট, এখানেও নেলী অনেক বন্ধু জুটিয়েছে। আজ পূর্ণিমা, দিনের আলোর মতো জোছনা উঠবে রাতে। সবাই মিলে ছাদে হই হুল্লোড় করবে এই প্ল্যান। রাতে খাবারের পর বেশ অপেক্ষা করতে হবে, কথা মতো সবাই ছাদের পশ্চিম কোণে থাকবে।
রাত আড়াইটা, বসার ঘরের মাঝে নেলীকে নিয়ে সবাই ব্যস্ত, মাথায় পানি ঢালা হচ্ছে। চোখ মেলে তাকাতেই মা হুমড়ি খেয়ে মুখের ওপর ঝুঁকে পড়ে বললেন—‘তুই সাইদুলের ঘরে কেন গিয়েছিলি? নেলী তুই তো ওর সঙ্গে কোনো দিন কথাও বলিসনি’।
সাইদুল এই ভবনের কেয়ারটেকার, সিঁড়ির মুখের ছোট্ট ঘরটায় থাকে। পাথরের মতো কোদানো মুখ দেখে বয়স বোঝার উপায় নেই। সবার আসা-যাওয়ার পথে সাইদুল টুলে বসেই থাকে। কিন্তু নেলী তাকে দেখেছিল ছাদের ওপরে কার্নিশ ঘেঁষে, চোখ জ্বলছিল হায়েনার মতো। ভবনের আর সব ছেলেমেয়েরা কোথায় জিজ্ঞাসা করতেই সাইদুল নেশাখোরের মতো নেলীর দিকে তাকিয়ে বলেছিল—‘আফা, এত রাইতে একলা ছাদে কী করেন?’
তারপর আর কিছু মনে নেই নেলীর।
এক জোড়া সোনার বালা ও রক্তাক্ত ফুলশয্যা
অমিতা মজুমদার
ব্যথায় ককিয়ে ওঠে তনু, দাঁতে দাঁত চেপে থাকে। বাইরে যেন কোনো শব্দ না যায়। শ্বশুর বাড়ি আসার আগে মা, মামি, খালা বিষয়টি বারবার করে বলে দিয়েছে। তনু সবে বয়স ১৪ পার করেছে। কিন্তু বয়স ১৮ তার বিয়ে দেওয়া হয়েছে সৌদি আরব প্রবাসী ইয়াকুবের সঙ্গে। এমন সুপাত্র নাকি হাতছাড়া করা যায় না। ইয়াকুবের বয়স ৩৫-৩৬ হবে। বেশ দশাসই শক্ত সামর্থ্য শরীর। এটা তার দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম স্ত্রী বিয়ের বছর পাঁচেক পর ইয়াকুবকে ছেড়ে চলে গেছে। একটা চার বছর বয়সী মেয়ে আছে ইয়াকুবের। আজ সেই ইয়াকুবের সঙ্গে তনুর ফুলশয্যা হচ্ছে।
তনুরা মামার বাড়িতে থাকে। তার বয়সের তুলনায় বাড়তি গড়ন শরীরের। ক্লাস এইটে বৃত্তি পরীক্ষা দিয়েছে। বরাবর লেখাপড়ায় ভালো বলে মামা-মামি স্কুল যাওয়া বন্ধ করেনি। তনু স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল পড়া শেষ করে চাকরি করবে। মায়ের কষ্ট আর দেখা যায় না। কিন্তু কোন কুক্ষণে মামির ভাই এল তার বন্ধু ইয়াকুবকে নিয়ে। মাকে মামা-মামি, মামির ভাই মিলে কী বোঝাল, পরের দিনই ইয়াকুবের সঙ্গে তার বিয়ে হয়ে গেল। বিয়ে করে ইয়াকুব তাকে নিয়ে নিজের বাড়িতে এল।
আসার সময় সবাই একই কথা বলেছে, জামাইয়ের কথা শুনে চলবি। কোনো ভাবে জামাই যেন অসন্তুষ্ট না হয়।
সন্ধ্যার মধ্যে সব আত্মীয়স্বজন চলে যায়। ইয়াকুবের মা-ভাবি তাকে এই ঘরে দিয়ে যাওয়ার সময় বলেছে—শোনো মেয়ে, রাতে যেন কোনো আওয়াজ বাইরে না যায়। তাহলে লোকে তোমাকে মন্দ বলবে। আজ তোমার ফুলশয্যা। আজ রাতে যদি স্বামীকে খুশি করতে পারো, স্বামী সারা জীবন তোমার কথা শুনবে।
কিশোরী তনু এসব কথার কিছুটা বুঝল, কিছুটা বুঝল না। তার অবুঝ মন আর অপরিণত শরীর নিয়েই একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের সঙ্গে বিবাহ পরবর্তী আইনসম্মত ফুলশয্যা করতে গেল।
ঘরে ঢুকে ক্ষুধার্ত বাঘের সামনে যেন নিজেকে খুঁজে পায় তনু। নীরব সমর্পণ ছাড়া আর কিছু করার নেই তার। রাতে ইয়াকুব সবার চোখের আড়ালে সৌদি থেকে আনা এক জোড়া খাঁটি সোনার বালা দিয়েছিল। ভোরের আলো ফোটার আগেই বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় তনু, শরীরে তীব্র ব্যথায় ককিয়ে ওঠে সে। হঠাৎ হাতের চকচকে নতুন বালা জোড়ায় চোখ আটকে যায় তনুর।
প্রতারক
সুরাইয়া হালিম
আমার প্রাণপ্রিয় লাস্যময়ী রানুদি। এক সময়ের মাটি কাঁপানো সুন্দরী। একটা সময়ে আমি যে ওকে বড্ড বেশি ভালোবাসতাম। মাঝে বড় একটা সময়, দীর্ঘ বিচ্ছেদ!
বিছানায় রুগ্ণ মলিন রানুদিকে দেখে আমি নিজকে আর ধরে রাখতে পারলাম না। কেন রানুদি? কেন একটা প্রতারককে ভালোবেসে নিজকে এমন করে তিলে তিলে শেষ করলে? কেন?
তোর কথা বল ছোটন—রানুদি শ্বাস টেনে টেনে কথা বলে। কথা বলতে ওর খুব কষ্ট হচ্ছে। ‘বল না ছোটন, তোর ঘর সংসার কেমন চলছে? আচ্ছা ওই দেশে কি কাঠগোলাপের গাছ আছে? শুনেছি সেখানে নাকি ফুলের সুঘ্রাণ নেই? সত্যি?’
রানুদির কোনো কথা আমার কান দিয়ে যাচ্ছে না। আমি শুনছি না। রানুদি ওর মাথার নিচের বালিশটি ঠেলে আধশোয়া হয়ে, মাথা উঁচু করে বসলেন। একটু হাসার চেষ্টা করলেন। কিন্তু রানুদির সেই হাসিটুকু বড় ক্লান্তিকর। বড় ম্লান। খুব মায়া হলো রানুদির জন্য।
তার খুব কাছে গিয়ে, সেই পুরোনো দিনের মতো একটু জড়িয়ে ধরতে চাইলাম প্রিয় রানুদিকে। হঠাৎ বালিশের নিচ থেকে একটা ছবি গড়িয়ে পড়তে দেখে আমার পৃথিবীতে যেন প্রলয় নেমে এল। ছবিতে উচ্ছল হাস্যমুখী রানুদির সঙ্গে এক সুদর্শন যুবক।
আমি আর রানুদি খুব কাঁদলাম। কিন্তু রানুদি জানল না আমার কান্নার কারণ। জলভরা চোখে আমি রানুদির ঘর থেকে রাস্তায় নেমে এলাম।