মিলান কনস্যুলেটে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদের নেতৃত্বে মিলান কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেনছবি: সংগৃহীত

মিলানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ইতালিতে পালিত হলো ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদের নেতৃত্বে কনস্যুলেটের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে মিলান কনস্যুলেটের বঙ্গবন্ধু কর্নারে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের তাৎপর্য তুলে ধরে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বিচক্ষণতা ও কূটনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। এ বক্তব্যের আইনগত ও কৌশলগত দিক রয়েছে। মুক্তিকামী মানুষের নেতা হিসেবে তিনি একদিকে যেমন বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের গণতান্ত্রিক পটভূমি তুলে ধরেছেন, অন্যদিকে এই ভাষণের মাধ্যমে কূটনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্ববাসীর সমর্থন আদায় করেছেন।

কনসাল জেনারেল আরও বলেন, ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তাতে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের প্রত্যেকের উচিত ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যথাযথ ভূমিকা রাখা। প্রবাসীদের অবদান এ প্রচেষ্টাকে আরও বেগবান করতে পারে।’ তিনি দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ গভীরভাবে পর্যালোচনা করে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে এবং বিদেশি বন্ধুদের সামনে উপস্থাপন করতে মিলানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নানামুখী উদ্যোগ নেবে।