চীনের ৭৫তম জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন

১ অক্টোবর দিনটি চীনের জনগণের জন্য গর্ব, ঐক্য ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়ছবি: লেখকের পাঠানো

প্রতিবছর ১ অক্টোবর চীন তার জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন করে, যা ১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ স্মরণীয় দিন। দিনটি চীনের জনগণের জন্য গর্ব, ঐক্য ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এই বছর চীন ৭৫তম জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন করতে যাচ্ছে। জাতীয় দিবস উপলক্ষে চীনের বিভিন্ন শহরে বিশাল পরিসরে কুচকাওয়াজ, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও আতশবাজি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে দেশটির সংস্কৃতির ইতিহাস ও উন্নয়নকে তুলে ধরা হয়।

১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর মাও সে-তুং চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের তিয়েন আনমেন স্কয়ারে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। এই দিন চীনের দীর্ঘ সামন্ত যুগের সমাপ্তি ঘটে এবং একটি নতুন সময়ের সূচনা হয়। দিনটি চীনের জনগণের জন্য স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। প্রতিবছর দিনটিকে চীনের জাতীয়তাবাদ ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে উদ্‌যাপন করা হয়।

জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে বিশাল আয়োজন করে জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন করা হয়। সরকারিভাবে তিয়েন আনমেন স্কয়ারে সামরিক বাহিনীর বিশাল কুচকাওয়াজে সেনাবাহিনী তাদের শক্তি ও ঐক্য প্রদর্শন করে। এ ছাড়া শিল্পীরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন, যা চীনের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। সংগীত, নৃত্য ও ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলার মাধ্যমে চীনা সংস্কৃতির বৈচিত্র্য ও গৌরবকে উপস্থাপন করা হয়।

উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে চীনের বিভিন্ন শহরে আতশবাজির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়, যা রাতের আকাশকে রঙিন করে তোলে। যেখানে চীনের জনগণ অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া শহরগুলোতে স্থানীয় প্রশাসন আতশবাজি প্রদর্শন, কনসার্ট, কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই দিনটি উদ্‌যাপন করে।

লেখক
ছবি: লেখকের পাঠানো

চীনের জাতীয় দিবসের সময় পর্যটন ও ব্যবসা-বাণিজ্য বিশেষভাবে বৃদ্ধি পায়। সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সংস্কৃতির প্রচারে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ বছর জাতীয় দিবসের প্রাক্কালে নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্যবিধির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় দিবস উপলক্ষে ছুটিতে জনগণের যোগাযোগব্যবস্থা ও রেলসেবা উন্নত করা হয়েছে।

চীনের জাতীয় দিবস শুধু একটি রাষ্ট্রীয় উদ্‌যাপন নয়, বরং এটি চীনের জনগণের ঐক্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতীক। প্রতিবছর এই দিন চীনের জনগণের জন্য নতুন সম্ভাবনা ও উন্নতির বার্তা নিয়ে আসে।

* লেখক: মনসুর জিসান, শিক্ষার্থী, নানজিং ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি

** দূর পরবাসে ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]