মেক্সিকোর বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবের আমেজে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন
মেক্সিকো সিটির বাংলাদেশ দূতাবাস ও ক্লাস্ট্রো দ্য সোর-হুয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় যৌথ উদ্যোগে ৬ মে একটি প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদ্যাপন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রায় ১০০ শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যান্য শিক্ষক ও স্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বৈশাখের আবহ সংগীত ‘এসো হে বৈশাখ’-এর সঙ্গে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে প্রস্তুতকৃত বর্ণিল মুখোশ ও চিত্তাকর্ষক ফেস্টুনে সজ্জিত হয়ে উপস্থিত সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
গত ৩০ এপ্রিল এবং ২ মে দূতাবাস এবং ক্লাস্ট্রো দ্য সোর-হুয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত দুই দিনব্যাপী কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় ২৫ শিক্ষার্থী অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে এসব মুখোশ ও ফেস্টুন প্রস্তুত ও রং করার কাজে অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কারমেন বিয়াত্রিজ লোপেজ পোর্টিয়ো তাঁর বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসকে অভিনন্দন জানান। সেই সঙ্গে তরুণদের সম্পৃক্ত করে পারস্পরিক সাংস্কৃতিক বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচনা করার জন্য দূতাবাসের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার জন্য ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক এসব মুখোশ ও ফেস্টুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মতো রং করার জন্য এবং কর্মশালায় উৎসাহী অংশগ্রহণের জন্য ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি উপস্থিত সবাইকে ঈদ ও বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’য় অংশগ্রহণের জন্য সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পরে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, ডিন কারমেন বিয়াত্রিজ লোপেজ পোর্টিয়ো ও ভাইস ডিন কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে মেক্সিকোর স্থানীয় শিল্পীরা বৈশাখী নৃত্য পরিবেশন করেন, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে। আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত সবার মধ্যে বাংলাদেশের একটি আবহ তৈরি হয়। এ ছাড়া পরিবেশনকৃত ঐতিহ্যবাহী পান্তা, নানা পদের ভর্তা ও সেমাইয়ের স্বাদ এই আয়োজনকে অধিকতর আনন্দবহ করে।