টরন্টোয় শিল্পী শিরীন চৌধুরীর ‘পরান যাহা চায়’ সংগীত–সন্ধ্যা

শিল্পী শিরীন চৌধুরী ও সুস্ময় চৌধুরী, মা ছেলের পরিবেশনাছবি: সংগৃহীত

লালনের গানে গানে ভিন্ন রকম এক সন্ধ্যা কাটিয়েছেন কানাডার টরন্টোর সংগীতপিপাসু দর্শকশ্রোতা। গত রোববার সন্ধ্যায় শহরের ডন অন দ্য ডেনফোর্থ মিলনায়তনে লালনের গানের আসর বসিয়েছিলেন শিল্পী শিরীন চৌধুরী। প্রায় এক ঘণ্টার মতো সময় নানা ধরনের লালনসংগীত গেয়ে তিনি দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন।

শিরীন চৌধুরী লোকজ গানের শিল্পী হিসেবে সমধিক পরিচিত। এবার তিনি মঞ্চে আসর সাজিয়েছেন লালনের গান দিয়ে, পরের পর্বে অবশ্য রংবেরঙের গানের সমাহার রেখেছিলেন। ছেলে সুস্ময় চৌধুরীকে নিয়ে মা–ছেলের ডুয়েট ছিল ব্যতিক্রমী আকর্ষণ।

অনুষ্ঠান শুরু হয় কানাডায় প্রথম এবং একমাত্র নির্বাচিত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জনপ্রতিনিধি ডলি বেগম এমপিপির শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়ে। তার আগে অবশ্য মঞ্চে আসেন শিল্পী শিরীন চৌধুরীর কন্যা সুজান তাসনীম চৌধুরী। তিনি অতিথিকে মঞ্চে আহ্বান জানান এবং শিল্পী মায়ের পরিচিতি তুলে ধরেন। সুজান তাসনীম চৌধুরী দর্শকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন।

অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল সংসদের সংসদ সদস্য ডলি বেগম টরন্টোয় বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতির সমৃদ্ধ অবস্থানে নিজের আনন্দ প্রকাশ করেন। কানাডায় বাংলা সংস্কৃতির বিকাশে নিজের ভূমিকার কথা তুলে ধরে আরও বৃহত্তর পরিসরে ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি শিল্পী শিরীন চৌধুরী ও সুস্ময় চৌধুরীর হাতে তাঁর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

দূর পরবাস-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]

এরপর শুরু হয় শিরীন চৌধুরীর লালনসংগীতের পরিবেশনা। শিরীন চৌধুরী একের পর এক জনপ্রিয়, পরিচিত, অপরিচিত লালনসংগীত পরিবেশন করতে থাকেন। গানের ফাঁকে ফাঁকে খ্যাতিমান আবৃত্তিশিল্পী আহমেদ হোসেনের কাব্যকথা পরিবেশনাকে ভিন্নমাত্রা দেয়। টানা ২৩টির মতো গান গেয়ে দর্শকশ্রোতাদের মুগ্ধ করেন শিরীন চৌধুরী।

বক্তব্য দিচ্ছেন এমপিপি ডলি বেগম
ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় পর্বে শিরিন চৌধুরীর সঙ্গে মঞ্চে কণ্ঠ মেলান ছেলে শিল্পী সুস্ময় চৌধুরী। ওস্তাদ প্রসেনজিৎ দেওঘরিয়ার ছাত্র নতুন প্রজন্মের সুস্ময় শুদ্ধ উচ্চারণ এবং অসাধারণ গায়কিতে মায়ের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলা গান গেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। শেষ পর্বে বন্ধুদের নিয়ে কয়েকটি গান পরিবেশন করেন শিল্পী শিরীন চৌধুরী।

পুরো অনুষ্ঠানে যন্ত্রাংশে শিল্পীদের সহযোগিতা করেন যথাক্রমে কি–বোর্ডে রূপতনু শর্মা, তবলায় তানজির আলম রাজীব, বাঁশিতে ভাসু ভিষ্ট এবং গিটারে আবীর দাস। গান বাছাই, পরিবেশনা, গায়কি, যান্ত্রিকদের ঐকতান—সব মিলিয়ে পুরো অনুষ্ঠানটি দর্শকশ্রোতাদের ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়।