চাঁদ মামা ও ভারতীয় উপমহাদেশের ভূরাজনীতি

ভারতের নভোযান চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার 'বিক্রম'
ছবি: সংগৃহীত

কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতীয় এবং প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দের। শুধু ভারতীয় কেন উপমহাদেশের সবাই এই সফলতার জন্য খুশি ছিলেন। চাঁদের মাটিতে প্রজ্ঞান গড়াতে গড়াতে যখন একদিকে ইসরোর (ISRO) প্রতীক চিহ্নটি আর অন্যদিকে অশোকস্তম্ভটি মুদ্রণ করতে করতে এগোতে থাকে তখন অন্তরের অন্তস্তলে কী রকম একটা আনন্দক্ষরণ ঘটতে থাকে। প্রতিটি ভারতবাসীর ভালো লেগেছিল, প্রতিটি প্রবাসী ভারতীয়র ভালো লেগেছিল, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর অনেক নাগরিক ও প্রবাসীর কাছেও তা ছিল আনন্দের। এ সফলতা, এ উদ্দীপনা নিশ্চয় এ উপমহাদেশের পরবর্তী প্রজন্মকে উজ্জীবিত করবে বিজ্ঞানশিক্ষায়, জ্ঞানে নিজেকে ধৌত করে তুলতে, একজন নাগরিক হিসেবে, একজন রাষ্ট্রের মৌলিক কণা হিসেবে।

ভারত প্রথম একটি দেশ, যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর খুব কাছাকাছি তাদের চন্দ্রযান সাফল্যের সঙ্গে নামাতে পেরেছে। আর চাঁদের মাটিতে অবতরণে সক্ষম এমন দেশগুলোর অভিজাত ক্লাবে চতুর্থ দেশ হিসেবে নাম লিখিয়েছে। ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ আমেরিকার বিভিন্ন গণমাধ্যমে এবং প্রচারমাধ্যমে এটি বেশ ভালোভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য প্রতিবেশী দেশেও এ খবর যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে। প্রথম আলোর বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন দুটোতেই আমি তার বিচার–বিশ্লেষণ দেখেছি। এখানে আমার বেশ কিছু বাংলাদেশি বাঙালি বন্ধু আছেন, তাঁদের কাছে সন্দেশ পেয়েছি।
বিবিসির খবরেও এ খবরটি বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু একটি বিশেষ খবর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল ঝড় শুরু হয়েছিল। সেখানে সঞ্চালক বলছেন, ভারতের যদি চাঁদের অন্ধকার দিকে চন্দ্রযান পাঠানোর টাকা থাকে তাহলে জাতিসংঘ স্বীকৃত দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা ২২৯ মিলিয়ন (১০ লাখ=১ মিলিয়ন) ভারতীয়দের জন্য ব্রিটেন কেন অর্থসাহায্য পাঠাবে? তিনি আরও বলেছেন, দেশের মহাকাশে রকেট পাঠানোর সক্ষমতা থাকবে সেই দেশগুলোকে অর্থ সাহায্য করা যাবে না, এ রকম একটি আন্তর্জাতিক নিয়ম করা উচিত। ভারতের এ অভাবনীয় সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গেই বিবিসিতে এ ধরনের বিরূপ সমালোচনা ভারতীয় ও প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে যথার্থই যথেষ্ট ক্ষোভের উদ্রেক করেছিল। কারণ, তথ্য সঠিক ছিল না।

বিবিসির এ খবরে ভারতের এ সাফল্যের পরে বিবিসির এ বিরূপ সমালোচনার প্রধানত দুটি কারণ থাকতে পারে। এক. এই উপমহাদেশে উপনিবেশবাদের অতীত গৌরবের ভগ্নাংশের যে ছিটেফোঁটা ঈর্ষা আকারে সে দেশে এদিক-ওদিক পড়ে আছে, এ সাফল্যর পর সেই আঁতে ঘা লেগেছে, তাদের আত্মম্ভরিতার পশ্চাদ্দেশে খোঁচা দিয়েছে। সরাসরি এ ঘটনার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক না হলেও মনে পড়ে যাচ্ছে উইনস্টন চার্চিলের কথায় হাঁটু অবধি ধুতি পরিধান করা সেই উলঙ্গ ফকিরের কথা। মনে পড়ে যাচ্ছে নীল পাড় সাদা শাড়ি এবং নীল সাদা হাওয়াই চটি পরা আলবেনীয় বংশোদ্ভূত এক ভারতীয় নারী নোবেল শান্তি পুরস্কার নিচ্ছেন। মনে পড়ে সেই বীর সেনানীর কথা, যিনি ব্রিটিশদের সঙ্গে সম্মুখ সমরে প্রবল বিক্রমে জিতে ব্রিটিশ ভারতের মণিপুরে প্রথম স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকা তুলেছিলেন। এঁরা সবাই এটা প্রমাণ করে এসেছেন ব্যক্তিত্বের রোশনাই বাহ্যিক পরিধানের জাঁকজমকে আসে না, আসে জ্ঞানে। এঁরা হয়তো ভাবতেই পারেন না, ভারতীয়রা আপাতগরিব হলেও বিজ্ঞান ও মননে, গরিব নয়, দুর্বল তো নয়ই। আর দ্বিতীয় কারণ হয়তো এই। পশ্চিমা পর্যটকেরা উড়োজাহাজ থেকে নেমে ভারত ভ্রমণে এসে, বিমানবন্দরের বাইরে পা রাখলেই, ঝাঁ–চকচকে সভ্যতার নিচে এখনো তীব্র দারিদ্র্যের বাস্তবিক চিত্র দেখতে পান। অর্থবান আর অর্থহীন মানুষদের মধ্যের বিশাল ব্যবধান লক্ষ করেন, তখন তাঁদের মনে হয়তো এ প্রশ্ন জাগে। এর মধ্যে কোনো অতিরঞ্জন নেই, যে জনসংখ্যার ১৬.৪ শতাংশ এখনো তো দারিদ্র্যসীমার নিচে। সত্যি তো এই যে এত বৈষম্য, দারিদ্র্য, তা কি শুধুই জনসংখ্যার জন্য, নাকি গগনচুম্বী দুর্নীতি, জনকল্যাণকর সব সরকারি প্রকল্পের বারিধারা সুপ্রশাসনের মরুভূমিতে পড়তে দেয় না। ভাবতে হবে। তাই বিজ্ঞানের পেছনে টাকা খরচ নিয়ে সমালোচনা না করে, জনগণের ন্যূনতম সাংবিধানিক অধিকার একজন নাগরিকের কাছে না পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সর্বগ্রাসী দুর্নীতিকে কীভাবে ঠেকানো যায়, সেটা ভাবা বেশি জরুরি—সরকারের একক প্রচেষ্টায় যা নির্মূল করা কখনোই সম্ভব নয়। গত ৭৫ বছরে ভারতের উন্নতি তার কাছ মেনে নেওয়া কষ্টকর ছিল। এসব ব্যাপারে আলোচনা করাটা হয়তো কোনো দোষের ছিল না, কিন্তু অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক সময়টা বেছে নিতে ভুল করেছেন বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ সময়টিকে বেছে নিয়েছেন। একজন গর্বিত ভারতবাসীর কাছে তাঁর কথাবার্তার ধরনধারণ, ভাবভঙ্গি ছিল অতি তির্যক, অত্যন্ত অপেশাদারসুলভ, কুরুচিকর ও অপমানকর।  

ভারতের এ চন্দ্রাভিযানের সাফল্যের সঙ্গে এ উপমহাদেশের ভূরাজনৈতিক সমীকরণের ব্যাপক পরিবর্তনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ–পরবর্তী দুই পরাশক্তির সময় অনেক দিন শেষ হয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান–এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, দ্য ল্যানসেট গবেষণাগ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে, ২১০০ সালের মধ্যে বহুপরাশক্তিবিশিষ্ট পৃথিবী তৈরি হবে। কোনো একটি দেশের একচ্ছত্র আধিপত্য আর থাকবে না। এখনই যার লক্ষণ স্পষ্ট হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, ভারত, নাইজেরিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র—চারটি দেশ প্রথম চারটি পরাশক্তিধর দেশে পরিণত হবে। কাজেই এ অঞ্চলে ও বৈশ্বিক ক্ষেত্রে ভারতের রাজনৈতিক প্রভাব বাড়বে বলেই মনে করা হয়।

ভবিষ্যতে ভারত ও চীনের মধ্যে রেষারেষি বাড়বে বই কমবে না। চীন নিয়ে ভারতের এই রেষারেষি যত বাড়বে, তার ওপর চীনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যত বেশি উদ্বিগ্ন হবে, আমেরিকা ও ভারত তত কাছাকাছি আসবে। তদুপরি ভারত ও চীনের এই রেষারেষির জন্য অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে ভারত, আমেরিকা, জাপানসহ চীনবিরোধী অন্য দেশগুলোও অনেক কাছাকাছি আসবে। একধরনের Geopolitical convergence হবে। এখনই এ ধারা যে শুরু হয়েছে, তার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আর এর ফলে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো, চীন না ভারত, কার দিকে ঝুঁকে থাকা আন্তর্জাতিক কূটনীতির সফলতা বয়ে আনবে, তা নিয়ে সব সময় দ্বন্দ্ব ও ধন্দে ভুগবে। আন্তর্জাতিক বীজগণিতের সমীকরণ অনেক জটিল, যা এই উপমহাদেশের নিজ নিজ অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বীজগণিতের সমীকরণ সমাধান করার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে।

ভারতীয় উপমহাদেশ ঘিরে যে বিপুল জলরাশি, সেই বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরের ছোট–বড় নানা দ্বীপের ওপর পরাশক্তিগুলোর নজর পড়বে, সেগুলোর ওপর সামরিক ঘাঁটি তৈরি করার জন্য চাপ আসবে। ছোট ছোট দেশের সার্বভৌমত্ব নানা অছিলায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। ভারত এ ক্ষেত্রে, প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিয়ে বড় এবং সদর্থক ভূমিকা নেবে বলে আশা করা যেতে পারে। চন্দ্রযানের এ সাফল্যের ফলে অন্য পরাশক্তিগুলো ভারতকে সমীহ করে চলতে শিখবে। এটি প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও বিশেষভাবে সত্য হয়ে উঠবে বলে মনে হয়। অধুনা মহাকাশ গবেষণায় ভারতের অগ্রগতি তা সুচারু করবে।

ভবিষ্যতে ভারত মহাকাশ ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রসহ সাধারণ আর্থসামাজিক ক্ষেত্রেও দ্রুত উন্নয়ন ঘটাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোয় উন্নয়নের হার একইভাবে না বাড়লে পাশের দেশগুলো থেকে আইনসম্মত ও বেআইনি অভিবাসন যথেষ্ট পরিমাণে বাড়বে। এ নিরবচ্ছিন্ন অভিবাসনের ফলে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর ভারতীয় রাজ্যগুলোয় ধর্মীয় জনবিন্যাসের পরিবর্তন এক অভিবাসন–সংক্রান্ত রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। অর্থনৈতিক বৈষম্য তখন ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতিতে পর্যবসিত হয়ে সাম্প্রদায়িক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আর ভারতের অভ্যন্তরে যদি জাতপাতের মতো ঘৃণ্য রাজনীতিকে অবদমন করা না যায়, তাহলে ধর্মীয় অরাজকতার জন্ম হতে পারে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চাবিকাঠি সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করা। এ উপমহাদেশে অবাধ গণতান্ত্রিক ও সংসদীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত পড়তে পারে এবং গণতান্ত্রিক ঘোমটার আড়ালে রাজনৈতিক দলীয় একনায়কতন্ত্রের অবস্থান শক্তিশালী হতে পারে। গত ৩ মার্চ ২০২৩ তারিখে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটা বড় হেডিং ছিল, “Poised to become the world’s most populous nation, India struggles to deliver to its citizens both a healthy economy and a flourishing democracy।” এ মন্তব্যের পক্ষে–বিপক্ষে তর্কবিতর্ক চলতেই পারে, কিন্তু এটা অস্বীকার করে লাভ নেই, ভারতের শক্তি ভারতের তার গণতান্ত্রিক কাঠামোয়, গত ৭৫ বছরের ওপর যা একটিও সামরিক অভ্যুত্থান ছাড়াই সযত্নে লালন করেছে, এর অবক্ষয় রুখতেই হবে। আর তা না করতে পারলে ভারতের মহাকাশসহ বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণাক্ষেত্রে প্রভূত ক্ষতি হবে, আন্তর্জাতিক ময়দানে নিজের গরিমা হারাবে।

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা নামে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি ভারত সরকারের মহাকাশ বিভাগের (DoS) প্রাথমিক গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা হিসেবে কাজ করে থাকে। এ সংস্থাটি সরাসরি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে থাকে এবং ISRO-এর চেয়ারম্যানও ভারত সরকারের মহাকাশ বিভাগের (DoS) নির্বাহী হিসেবে কাজ করে থাকেন। সরকার আসে সরকার যায়, পড়ে থাকে এক বহমানতা। ভারতের বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন সময়ে মোটামুটি সঠিক দিশা দেখিয়েছে, বিজ্ঞানীরা বহমানতাকে অবলম্বন করে তা সফলভাবে রূপায়ণ করেছেন। এবং এ ক্ষেত্রে একই ধরনের অন্যান্য মহাকাশ গবেষণার তুলনায় অনেক কম খরচে করেছেন। নানা প্রতিবন্ধকতা, ব্যর্থতা, হতাশার বেনোজল পেরিয়ে ধৈর্যের সঙ্গে সেই পরীক্ষায় সফল থেকে সফলতার হতে চলেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর বিজ্ঞানবিষয়ক পরামর্শদাতারা, প্রতিরক্ষা বিষয়ে পরামর্শদাতারা এবং আরও নানা বিভাগের পরামর্শদাতারা প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে তাদের অভিজ্ঞ মতামত দিয়ে থাকেন। যেকোনো সরকারের সফলতা নির্ভর করে তার পারিষদবর্গ কীভাবে চয়ন করা হচ্ছে, রাজনৈতিক মানদণ্ডে, না প্রকৃত শিক্ষা জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মানদণ্ডে। আর তা না হলে প্রশাসক নিজেকে একটি হাস্যকর ব্যক্তিত্বে পরিণত করতে পারেন। অবশ্যই ভারত সরকারের পরিচালনায় যে দলই থাকুন না কেন, তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, সদিচ্ছা এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির এ দিশা নিয়ন্ত্রণে কিছুটা প্রভাব ফেলে বইকি। কিন্তু সেই দলই একটি রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি দেখাতে পারে, যে দল মনে করে যে দলীয় নেতা হলেও একবার প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি আপামর নাগরিকের প্রধানমন্ত্রী, সারা দেশের প্রতিনিধিত্বকারী। সেটা করতে পারলে যেকোনো দেশের যেকোনো জাতীয় সংস্থা রাজনৈতিক দোদুল্যমানতায় পদস্খলিত হয় না। ভারতের ক্ষেত্রেও তা–ই।

বিক্রম অবতরণের পর প্রজ্ঞান সঙ্গে সঙ্গে চাঁদের মাটিতে নামেনি, তার কারণ অবতরণের সময় যে বিপুল ধুলো উড়েছিল, তা থিতিয়ে না পড়লে সেই ধূলিকণা আদতে প্রজ্ঞানের যন্ত্রে ঢুকে এটিকে অচল করে দিত। বিক্রমের চাঁদের মাটিতে অবতরণের সময় আমাদের আবেগের ধূলিও আকাশচুম্বী হয়েছিল, তা স্তিমিত হলে আমরাও যেন বাস্তবের মাটিতে নেমে ভাবি, ভারত কীভাবে এ উপমহাদেশের ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সদর্থক ভূমিকা রাখবে।
   
* লেখক: অতীশ চক্রবর্তী, ফিলাডেলফিয়া, আমেরিকা