রিয়েলিটি চেক
গণিতের প্রোবাবিলিটি থিওরি ব্যবহার করে চলা ব্যক্তি আমি নই। ক্লোজ টু ইনফিনিটির একটুখানি আভাস পেলেও আমি সেখান থেকে স্বেচ্ছায় সরে আসি। আবেগের ঘন ছায়া তখন আমার মধ্যে খুব একটা বেশি কাজ করে না। কেমিস্ট্রি আমি না বুঝলেও কেমিক্যাল রিঅ্যাকশন আমি ঠিকই বুঝি। আমি যথেষ্ট প্রাণচঞ্চল একজন মানুষ, ফলে একটি ঘটনাকে আমি নানা আঙ্গিকে বিচার করতে পারি। ফলে সাময়িকভাবে ঘটা কোনো ঘটনা আমার ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারে না। তবে আমার বিবেকের সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটানোর চেষ্টা করি; কিন্তু তাই বলে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের হাতে তো আর আমি নিজেকে সঁপে দিতে পারি না।
আমার নিজের ব্যাপারে হিসাবি হলেও আমি কিন্তু গাণিতিক নই, তবে দার্শনিক চিন্তাভাবনা আমার মধ্যে খুব বেশি। ফলে আমার সঙ্গে যারাই মিশেছে, হরলিক্সের পুষ্টিগুণ তারা আমার কাছ থেকে ঠিকই পাবে। আমি স্বপ্নে উৎসবের আমেজ, পাহাড়ে চড়া, সকালের রৌদ্র, সতেজ বাতাস, ঝরনা—এসব পেতে চাই না। আমি চাই, এক আকাশ ভরা ভালোবাসা।
কী করে একা থাকতে হয়, আবার কী করে সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে হয়, তা আমি বেশ ভালো করেই জানি। অতীত, বর্তমান, ভবিষৎ আমার কাছে জীবনের আবশ্যক অংশবিশেষ। আনন্দ, কষ্ট—এসব জীবনেরই অংশ, সুতরাং কিছু কষ্টের জন্য আমি আনন্দকে তো আর প্রত্যাখ্যান করতে পারিনি।
সাহিত্য জ্ঞানের এক মহাসমুদ্র। একজন পদার্থবিদ ভালো গণিতবিদ হতেও পারেন; কিন্তু একজন পদার্থবিদ কিংবা একজন গণিতবিদ ভালো সাহিত্যবিদ না–ও হতে পারেন। আমি কে, আমার ক্ষমতা কতটুকু এ বিষয়ে প্রত্যেকেরই একটি নিজস্ব ধারণা আছে। সুতরাং সবাইকে অনুরোধ করব, প্লিজ, সবাই নিজস্ব রিয়েলিটি চেক দিন। শুধু বর্তমানকে নিয়ে আত্মতৃপ্ত থাকলে স্বপ্নকে সত্য করা যায় না।