ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন
গতকাল শনিবার ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ মর্যাদা, উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করেছে। এ উপলক্ষে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালায় হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা–কর্মচারী এবং তাঁদের পরিবার অংশ নেয়। হাইকমিশন প্রাঙ্গণ বিজয় দিবসের ব্যানার, পোস্টার ও রঙিন বেলুন দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়।
সকালে হাইকমিশনের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের উপস্থিতিতে হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। ৫৩তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা পর্বে হাইকমিশনের কর্মকর্তারা তাঁদের বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও এর তাৎপর্য তুলে ধরেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষে জয়নুল আবেদীন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের সম্মান বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি গৌরব বোধ করেন।
পাকিস্তানে কর্মরত থাকাকালেও তিনি বাংলাদেশি হিসেবে অনুরূপ সম্মান পাচ্ছেন। সমাপনী বক্তব্যে হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের। বিশেষভাবে স্মরণ করেন দুই লক্ষাধিক মা-বোনকে, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্ভ্রম হারিয়েছিলেন বা নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তিনি গভীর শ্রদ্ধা জানান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি বন্ধু, শহীদ পরিবারের সদস্য ও সব স্তরের জনগণকে, যাঁরা এ বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার বিতরণ এবং অতিথিদের মধ্যে দেশীয় খাবার পরিবেশন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি