মিলনমেলা, অন্যেরা পারে, আমরা কেন নয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের প্ল্যাটফর্ম তৈরির উদ্দেশ্যে সবাই একসঙ্গে
ছবি: সংগৃহীত

মানবজীবন কতই–না বৈচিত্র্যময়! অক্ষরজ্ঞান পাওয়ার পর ছোটবেলা থেকেই ছুটছি সবাই। জ্ঞানের অন্বেষণে যাচ্ছি স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ে। কাজের খোঁজে এক অফিস ছাড়িয়ে অন্য কোথাও, এক কর্মক্ষেত্র থেকে আরেকটায়। জীবন ও জীবিকার তাগিদে উপার্জনের নেশায় অনন্ত এ ছুটে চলা। গ্রাম থেকে শহরে, এক শহর থেকে অন্য শহরে, কিংবা নিজ দেশ ছাড়িয়ে অন্য কোনো দেশে। কিন্তু জীবন তো একটাই! মানুষের দরকার বন্ধুত্ব, সামাজিকতা আর মিলেমিশে থাকা। জীবনকে আনন্দময় করতে সমগোত্রীয় মানুষদের নিজস্ব ইগো থেকে বেরিয়ে একত্র হয়ে ‘মিলনমেলা’র আয়োজন করতে হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন আমাদের জীবনে খুব মূল্যবান এক অধ্যায়ের নাম। রসায়নবিদেরা সমগোত্রীয়। আর এ গোত্রের নাম রসায়ন। শিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ পর্ব শেষে এখানকার শত শত শিক্ষার্থী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েন। একসময় হয়তো কোনো এক দেশে থিতু হন। আমেরিকা ও কানাডায় আছেন অনেক রসায়নবিদ। জীবনকে আরও গতিময় করে আনন্দ দিতে এখানে দরকার সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্ম, ঢাবি রসায়নের প্ল্যাটফর্ম!

দেশের বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পড়ুয়া প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা আমেরিকা-কানাডাতেই নিজেদের জন্য এ রকম সুন্দর প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন। কত সুন্দর আয়োজন করে জীবনকে উপভোগ্য করছেন তাঁরা। তাঁরা পারেন, আমরা কেন নয়? রসায়নবিদেরাও পারবেন, আমরা পারব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রসায়নের একটা সুন্দর প্ল্যাটফর্ম গঠনের উদ্দেশ্যে আগামী ৫ আগস্ট মেরিল্যান্ডের ‘বাল্টিমোরে’ আমরা অনেকে মিলিত হব। উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত ঢাবি রসায়নবিদদের একত্র করতে সারা দিনের পরিকল্পনায় আছে বিভিন্ন আলোচনা, পর্যালোচনা, আড্ডা এবং সুস্বাদু সব খাবার। সবাই সঙ্গে থাকুন—অনসাইটে অথবা অনলাইনে। অনলাইনে যুক্ত করার ব্যবস্থা থাকবে। সিনিয়র, সহপাঠী, জুনিয়র সবার অভিজ্ঞতা আর মতামত অতি গুরুত্বপূর্ণ, তাই অবশ্যই যুক্ত হবেন।
বাল্টিমোরে অনুষ্ঠিত ৫ তারিখের অনুষ্ঠানে প্রধান দিকনির্দেশক ও আলোচক হিসেবে থাকবেন কোপ্পিন স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জামাল উদ্দিন। উল্লেখ্য, তিনি সেখানকার সেন্টার ফর ন্যানোটেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। আর এতে সমন্বয়ক ড. সাদেকুল ইসলাম।

আলোচ্য প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করিয়ে প্রতিবছর একটি বা দুটি বড় অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা আছে। এই অনুষ্ঠান হলো আমেরিকা-কানাডায় বসবাসরত ঢাবি রসায়নবিদদের মিললমেলা। রাজনীতিমুক্ত, ভালোবাসায় যুক্ত রসায়ন পরিবারের মিলনমেলা। সবাই সঙ্গে থাকুন।