কারিগরি শিক্ষায় কাজ করতে চায় বাংলাদেশ ও সৌদি

ভিশন–২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা সৌদি আরবের টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল ট্রেনিং করপোরেশনের (টিভিটিসি) ভাইস গর্ভনর আবদুল্লাহ আল মারযুকের সঙ্গে রিয়াদের টিভিটিসির প্রধান কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়কালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।

মতবিনিময় সভার শুরুতে ভাইস গর্ভনর মিশন উপপ্রধানসহ বাংলাদেশ দূতাবাস, রিয়াদ থেকে আগত প্রতিনিধিদলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের উন্নয়ন ও বিদেশে দক্ষ কর্মী প্রেরণে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। টিভিটিসির ভাইস গর্ভনর বলেন, ভিশন ২০৩০-কে সামনে রেখে সৌদি আরব তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে সরে এসে অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য আনয়নে কারিগরি ক্ষেত্রে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ ক্ষেত্রে ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তির ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে বলে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেন্টারের ওয়ার্কশপ উন্নয়ন, সৌদি আরবে টেকনিক্যাল সেন্টারের মাধ্যমে দেশটিতে কর্মরত জনবলকে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করা, যৌথ গবেষণা, রিসোর্স পারসনদের প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ক্ষেত্রে দুই দেশের যৌথ সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় বাংলাদেশের টেকনিক্যাল সেন্টার ও কলেজগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দিয়ে মিশন উপপ্রধান সৌদি আরবের সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বাংলাদেশে বাংলাদেশ-সৌদি আরব কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদপ্রাপ্তদের স্বীকৃতি, কারিকুলাম উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। মিশন উপপ্রধান জানান  ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং সৌদি সরকার অনুমোদিত Takamol for Bussiness Services Company-এর মধ্যে Skills Verification Programme (SVP) বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত চুক্তির আওতায় ২৯টি পেশায় বাংলাদেশ থেকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সৌদি সরকার প্রদত্ত দক্ষতার সনদ নিয়ে বর্তমানে সৌদি আরবে কাজ করছেন। ভাইস গর্ভনর আলোচনা শেষে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে একটি পৃথক খসড়া প্রস্তাবনা তৈরি করা এবং পরবর্তী সময় এমওইউ-এর মাধ্যমে কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করার জন্য মতামত প্রদান করেন।

মতবিনিময় সভায় দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কাউন্সিলর (শ্রম) মুহাম্মদ রেজায়ে রাব্বী এবং দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) আসাদুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি