চার বছর পর নব-উদ্যমে নববর্ষ উদ্যাপন
দীর্ঘ চার বছর পর (২০১৯ সালের পর) দেশ-বিদেশে পূর্ণ উদ্যমে ও আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালিত হলো ১৪ এপ্রিল। ২০২০ সালে লকডাউনের কারণে হয়নি। এরপর ২০২১, ২০২২, ২০২৩ সালে ১৪ এপ্রিল; অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ পড়েছিল রমজান মাসে। এর মানে এই না যে বাঙালিরা নববর্ষ উদ্যাপন করেনি। করেছে। রোজা শুরুর আগের উইকএন্ডে। অথবা ঈদের পর। চার বছর পর এবার, বিশেষ করে প্রবাসে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের আনন্দ আরও বেশি বেড়ে গেয়েছিল। কারণ, দিনটি ছুটির দিন রোববার পড়েছিল।
শনি ও রোববার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক উৎসব পালিত হয়েছে। বিদেশে নানাভাবে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন করা হয়। বিভিন্ন শহরের বাঙালি অথবা বাংলাদেশিদের কোনো সংগঠনের উদ্যোগে। অথবা বন্ধুমহল মিলে কখনো ব্যক্তিগত উদ্যোগে। এ রকম আয়োজন করেন সাধারণত মেয়েরা মিলে। কোনো পার্কে অথবা অডিটরিয়াম অথবা কারও বাসায়। করা হয় ওয়ান ডিশ পটলাক। ভাত, ডাল, ইলিশ, নানা রকমের ভর্তা। মুড়ি-মুড়কি নানা ধরনের পিঠা।
সাজানো হয় নকশিকাঁথা, আলপনা, মাটির বাসনকোসন দিয়ে। অনেকেই সারা বছর ধরে পয়লা বৈশাখের সাজপোশাক সংগ্রহ করেন। অনলাইন ফ্যাশন হাউসগুলো এ সময় চরম ব্যস্ত থাকে। প্রতিদিন লাইভ, মেইলিং, শিপিং। সবার ইচ্ছা আর চেষ্টায় বিদেশে একটুকরা দেশ ফুটিয়ে তোলা হয়।
গত সপ্তাহ থেকে চলছে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন। চলবে মে মাসজুড়ে। সারা দিন বা সারা বছর যতই ইংরেজি বা অন্য ভাষায় কথা বলেন আর ইংরেজি বছরের হিসাবে চলেন না কেন, বাঙালিরা এপ্রিল মাস এলেই লাল-সাদায় সজ্জিত হয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করার জন্য উল্লসিত হয়ে ওঠেন। গেয়ে উঠবেন ‘এসো হে বৈশাখ...’।