সন্ধি

তুষার সরিয়ে আজ অনেক দিন পর
তোমার কাছেই ইশারা পাঠালাম,  
হতে পারে এটাই আমার শেষ ঠিকানা
কিংবা বলতে পারো
কফি শপের ন্যায় এটাই আমার নিত্যকার আড্ডা।
ধরে নিলাম আজ তোমার পরনে থাকবে
কোবাল্ট ব্রাইট ব্লু স্কার্ট ছিল
আর আমি পতঙ্গের চোখের ন্যায়
অপলক উজ্জ্বল তোমার দিকেই চেয়ে থাকলাম
আর মুহূর্তেই তুমি হয়ে উঠলে ইস্কাপনের টেক্কা,  
আমার পোড়া কবিতার ঘ্রাণ
সাথে এসরাজ কিংবা ম্যান্ডোলিনের সুর।
আজকের ভাবনা দেখে নিশ্চয় তুমি ভাবছ
এ কেমন পুরুষ প্রেমিক আমি?
না, ওসব কিছু নয়
গার্হস্থ্য পিঞ্জর বলে কথা
তবুও তোমাকে আজও ঢেউ ভেবে জাপটে ধরি
বিবিধ প্রত্যাশায়
বিছানো বেডরুমে লালগালিচার সংবর্ধনা
যেন রোশনাই আঁধার গিলে খায়,
ইচ্ছা হয় সূচনায় আমি আবার হই আকুল
তবে সময়েরও যে একটা সন্ধি থাকে
বসন্তের থাকে পূর্ণিমা,  
নবীন দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে
রাতজাগা হুইসেলের কথা
নষ্ট ঠোঁটের দূরত্বের কথা
অন্ধকার স্নেহে একে অপরে
কখন যে বিজোড় হয়ে গেলাম
ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি,  
এখন প্রৌঢ়ত্ব যাপন করি বটে
তবে উদ্‌যাপন আর কই?
শরীরের কোন্দলে যেটুকু ঘ্রাণ এখনো আছে
তা–ও মনে হয় ওসব আনাড়ি আলিঙ্গন।
তুমি বাঙালি ভার্জিন
একগুঁয়ে আর বড়ই অসহিষ্ণু জেদ তোমার
তাই বলে তুঘলকি কাণ্ড তো আর করা যাবে না,  
এটা ইন্ডিসেন্ট এবং জেনোসাইডের মতোই ভয়ংকর
যেন কংক্রিটের দেয়ালে চাপা পড়া
তুরস্ক কিংবা সিরিয়ার মতো বিধ্বস্ত নগরী।