জর্ডানে বকেয়া বেতন-ভাতা পেলেন ৪৫৪ বাংলাদেশি পোশাকশ্রমিক

জর্ডানের সেই কারখানার বাইরে বকেয়া পাওনা নিতে আসা বাংলাদেশি পোশাকশ্রমিকেরাছবি: দূতাবাসের সৌজন্যে

জর্ডানে ৪৫৪ বাংলাদেশি পোশাকশ্রমিক তাঁদের বকেয়া বেতন-ভাতা ও সামাজিক নিরাপত্তার অর্থ বুঝে পেয়েছেন। রাজধানী আম্মানে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে গত মঙ্গলবার তাঁদের হাতে বকেয়া বেতন–ভাতার অর্থ তুলে দেওয়া হয়।

জর্ডানের রাজধানী আম্মানের অদূরে অবস্থিত আল তাজামোয়াত এলাকায় আছিল নামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন এসব বাংলাদেশি। গত ডিসেম্বরে তাঁদের ছাঁটাই করা হয়। ছাঁটাইয়ের কারণ হিসেবে ব্যবসায়ে লোকসানের কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশি শ্রমিকদের একজন মো. মোতাহার জানান, ‘ছয় মাসের বকেয়া বেতন, পাঁচ বছরের অর্জিত ছুটি ও সামাজিক নিরাপত্তার অর্থ পেয়েছি। আমাদের দাবি আদায়ে সাহায্য করায় বাংলাদেশ দূতাবাসকে ধন্যবাদ।’

জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) উম্মে সালমা বলেন, ‘এসব শ্রমিকের বকেয়া আদায়ে দেড় বছর ধরে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়েছে দূতাবাস। জর্ডানের শ্রম মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), ট্রেড ইউনিয়নসহ যেসব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান সমস্যাটি সমাধানে দূতাবাসকে সহযোগিতা করেছে; তাদের আমরা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।’

কারিমা আকতার নামের এক নারী শ্রমিক বলেন, ‘সব দাবি পূরণ হয়েছে। আমাদের অনেকের পাসপোর্টের মেয়াদ ছিল না। কারও কারও পাসপোর্ট হারিয়ে গিয়েছিল। তবে দূতাবাস আমাদের সব সমস্যা সমাধান করেছে।’

দূতাবাস থেকে বলা হচ্ছে, করোনা মহামারির পরে বড় লোকসানের মুখে পড়ে পোশাক কারখানাটি। সেখানে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকেরা ২০২২ সালের শেষ দিক থেকে বকেয়া বেতনসহ নানা অভিযোগ করে দূতাবাসের কাছে। দূতাবাস কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে। দুই বছরের বেশি সময় আলোচনার পর অবশেষে সমস্যার সমাধান হলো।

দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) উম্মে সালমা জানান, বকেয়া বেতন-ভাতা বুঝে পাওয়া এসব বাংলাদেশি পোশাকশ্রমিককে আজ রোববার থেকে দেশে পাঠানো শুরু হবে বলে জানিয়েছে জর্ডানের শ্রম মন্ত্রণালয়।