নিউজিল্যান্ডের বিএসএইউসির আয়োজনে ঈদুল ফিতর এবং পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন
বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ইউনিভার্সিটি অব ক্যান্টারবারি (BSAUC), নিউজিল্যান্ডের আয়োজনে ঈদুল ফিতর এবং পয়লা বৈশাখ ১৪৩১ উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গত রোববার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাতটায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা এবং সান্ধ্যভোজের আয়োজন করা হয়। বিএসএইউসির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো. মেহেদী হাসান অনুষ্ঠানটি সমন্বয় এবং সঞ্চালনা করেন। সম্মানিত অতিথি, বর্তমান ছাত্র, অ্যালামনাইদের সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত করার জন্য দুই ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম পর্বে ঈদের এবং পরের পর্বে বৈশাখী অনুষ্ঠানমালা পরিবেশিত হয়। এ পর্যায়ে শুরুতে দলীয় সংগীত হিসেবে সবার প্রিয় নজরুলসংগীত ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ’ পরিবেশন করা হয়। এরপর ছোটবেলার ঈদের স্মৃতিচারণা করে অনুষ্ঠানটি আনন্দময় করে তোলেন হাসান, আরাফাত হাসান, সাঈদ আহমেদ, বিএসএইউসির কোষাধ্যক্ষ রোজিনা আক্তার এবং শফিউল আলম সজীব।
‘এসো হে বৈশাখ’ দলীয়ভাবে পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে দ্বৈত এবং একক আধুনিক এবং লোকসংগীত পরিবেশন করা হয়। মো. আওরঙ্গজেব এবং মোনালী আলম ‘ছাইড়া দে কলসি আমার,’ মোনালী আলম এবং শম্পা পালমার ‘ময়ূরকণ্ঠী রাতের নীলে’, মো. আওরঙ্গজেব ‘আমি রব না রব না ঘরে,’ মোনালী আলম ‘বাবুই চেংড়া রে’ গেয়ে শোনান। আরাফাত হাসান সোলসের ‘কেন এই নিঃসঙ্গতা’ এবং ফিডব্যাকের জনপ্রিয় গায়ক মাকসুদের ‘মেলায় যাই রে’ গানে ঝংকার তোলেন। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘লিচু চোর’ কবিতাটি আবৃত্তি করে শোনান তানভীর। এ পর্বের সর্বশেষ পরিবেশনা ছিল জনপ্রিয় লোকসংগীত ‘সাধের লাউ’, যা দলীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়। গান পরিবেশনায় গানের বিভিন্ন যন্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেন মো. আওরঙ্গজেব (হারমোনিয়াম), রিচারড পালমার (তবলা), রতন (ঝুনঝুনি) এবং ফাহিম (ড্রাম)।
শেষে মো. মেহেদী হাসান সবার আন্তরিক সহযোগিতা এবং স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত এবং আনন্দময় করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানের দুই পর্বের মাঝে মজাদার খাবার পরিবেশন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি
*দূর পরবাসে ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল অ্যাড্রেস [email protected]