প্রকৃতির দয়া
অবিরাম তুষারপাত, হ্রদের জল উত্তাল বেগবান,
উড়ছিল জাহাজ সঙ্গে নিয়ে আশিটি প্রাণ।
অম্বরে তখন উঠেছিল গরজি বজ্রনিনাদ,
ক্ষণপ্রভা এনেছিল বয়ে দুর্যোগের সংবাদ।
প্রচণ্ড বেগে বইছিল বায়ু অসীম শক্তি লয়ে,
শঙ্কা ছিল ধ্বংসযজ্ঞ তবে রুধিবে তারে কী দিয়ে?
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ল জাহাজ ধড়াস করে,
বিকট শব্দে ঝাঁকুনি দিয়ে উল্টে গেল ভীষণ জোরে।
লোহিত অনলের গ্রাসে উত্তপ্ত বিমান,
কিংকর্তব্যবিমূঢ় যাত্রীগণ সংকটে ধাবমান।
ঝুলন্ত হয়ে বন্দী ছিল সিট বেল্টের সাথে,
ভীতসন্ত্রস্ত সবাই প্রাণটি লয়ে হাতে।
মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সেই ক্ষণে,
ডেকেছিল বিধাতাকে আকুল প্রাণে।
ঘনিয়ে এসেছিল যখন শেষনিশ্বাস,
সাহায্যের রূপ নিয়ে ফিরে এল আশ্বাস।
রচনা হলো ইতিহাস টরন্টো বিমানবন্দরে,
এমন ঘটনা ঘটেনি কখনো যুগ–যুগান্তরে।
নাবিকদের সুনিপুণ দক্ষতায় বেঁচে গেল প্রাণ,
শুধু একুশজন পেল চিকিৎসার ত্রাণ।
ছিল কি সেথায় কোন অলৌকিক শক্তি বিরাজমান?
নইলে কি করে রক্ষা পেল আশিটি অমূল্য প্রাণ।
এ জীবনে পারেনি কেউ প্রকৃতিকে হার মানাতে,
জীবকুলের অস্তিত্ব আজও তাই প্রকৃতির দয়াতে।