নেদারল্যান্ডস নানা কর্মসূচীতে বিজয় দিবস উদ্যাপন
নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা এবং নানাবিধ কর্মসূচীর মাধ্যমে ৫৩তম মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করেছে। ১৬ ডিসেম্বরে সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে নেদারল্যান্ডসে বসবাসরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মু. রিয়াজ হামিদুল্লাহ, দূতাবাস পরিবারের সবাইকে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন। এরপর উপস্থিত ডাচ ও বাংলাদেশি অতিথিদের কাছে এ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
বিজয় দিবস উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশাত্মবোধক গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করে। ‘স্বাধীনতার ইতিহাস’–এর ওপর কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন বিদেশি অতিথিরাও। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী এবং বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত একমাত্র ডাচ নাগরিক উইলিয়াম এ এস ওডারল্যান্ডের ওপর দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়। পাশাপাশি, দূতাবাস প্রাঙ্গণে শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত, ১৯তম এশিয়ান দ্বিবার্ষিক চিত্রকলা প্রদর্শনীতে গ্র্যান্ড প্রাইজ বিজয়ী (ডাচ শিল্পী), হ্যারাল্ড স্কোলকে তাঁর পুরস্কার হস্তান্তর করা হয়।
সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ, সম্ভ্রম হারানো মা-বোন ও ৯ মাসব্যাপী যুদ্ধে অংশ নেওয়া সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে এবং তাঁদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করতে উপস্থিত সবাইকে আহ্বান জানান।
এ আয়োজনে দূতাবাসের বিশেষ উদ্যোগে নেদারল্যান্ডসে বসবাসরত বাংলাদেশি পেশাজীবী, বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশে ইতিপূর্বে কাজ করেছেন এই রূপ ডাচ নাগরিকদের সমন্বয়ে সৃষ্ট Friends of Bangladesh in Netherlands (FOBN)–এর যাত্রা ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যাহ্ন ভোজের আপ্যায়ন করা হয়।
এবারের বিজয় দিবস নেদারল্যান্ডসের সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারে হওয়াতে অনুষ্ঠানে অতিথির সংখ্যাও বেশি ছিলো। অনুকূল আবহাওয়াতে অতিথিদের প্রায় সবাইকে উৎসব আমেজে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আড্ডায় মেতে উঠতে দেখা গেছে। সে দিন দূতাবাসে আসা সব শিশুকে পুরস্কার দেয়া হয়।