টোকিওতে বাংলাদেশের ‘বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবসম্পদ’বিষয়ক সেমিনার
টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস গত শুক্রবার দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ‘বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবসম্পদ’বিষয়ক এক সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জাপানি কোম্পানি ও জনশক্তি নিয়োগকারী সংস্থার প্রায় ৮০ জন উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে জাপানের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত যেমন পোশাকশিল্প, চামড়া, পাট, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, তথ্যপ্রযুক্তির পাশাপাশি অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্ক এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব’-এ উন্নীত হয়েছে এবং এটি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও বাংলাদেশ থেকে মানবসম্পদ নিয়োগসহ অনেক ক্ষেত্রে জাপানের সঙ্গে সহযোগিতার সুযোগ বৃদ্ধি করেছে। রাষ্ট্রদূত জাপানে ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যার প্রেক্ষাপটে জাপানের জনশক্তি নিয়োগকারী সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের আহ্বান জানান।
সেমিনারের সহ-আয়োজক আইএম জাপানের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিইও) হিতোশি কানামোরি তাঁর বক্তৃতায় বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মানবসম্পদ আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। মারুহিসা কোং লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট কিমিনোবু হিরাইশি, বেহ টেক জুন, ক্লিনিক্যাল স্ট্র্যাটেজি ডিরেক্টর, রেমেডি অ্যান্ড কোম্পানি করপোরেশন বাংলাদেশে তাদের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা শেয়ার করে।
জেট্রো ঢাকার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউজি আন্দো বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ ও সম্ভাবনা নিয়ে একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। দূতাবাসের মিনিস্টার (বাণিজ্য) আরিফুল হক বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগের পাশাপাশি জাপানি বিনিয়োগকারীদের দূতাবাসের প্রদত্ত সেবার বিবরণ তুলে ধরেন। দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. জয়নাল আবেদীন ‘বাংলাদেশ: জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদের একটি উচ্চ সম্ভাবনাময় উৎস’ বিষয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
পরে আইএম জাপানের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ শাহ আলম ‘কেস স্টাডিজ: বাংলাদেশ থেকে টেকনিক্যাল ইন্টার্নদের গ্রহণযোগ্যতা’ বিষয়ে বিশ্লেষণধর্মী বক্তব্য দেন। সেমিনারে বিভিন্ন জাপানি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি