আমি কে
শৈশবে কন্যা ছিলাম,
যৌবনে হয়ে উঠলাম স্ত্রী,
তারপর মা—
ধাপে ধাপে তিনটা পরিচয়,
তিনটা নতুন পরিবর্তন।
কিন্তু আমার নিজের পরিচয় কোথায়?
জিজ্ঞেস করে কেউ—
‘কাজ কি করেন?’
উত্তর: ‘কিছু না!’
আসলে কি তাই?
চব্বিশ ঘণ্টার সাত ঘণ্টা বাদ দিলে…
তা-ও বা বাদই বা কেন?
বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো,
স্বামীর মন রাখা—
এই হিসেবটা কোথায়?
সকালের নাশতা, টিফিন,
স্কুলে পৌঁছে দেওয়া,
ঘর গোছানো, বাচ্চা সামলানো,
দুপুরের রান্না, বাজার করা,
বিকেলের নাশতা,
বাচ্চাদের ঘুরতে নেওয়া,
পড়তে বসানো,
রাতের খাবার প্রস্তুত,
কাপড় ধুয়ে শুকিয়ে
সবার রুমে দিয়ে আসা,
পাঁচ বেলা প্রার্থনা,
তারপর স্বামীর অপেক্ষায় নীরব রাত।
এর মাঝে চোখ রাঙানি—
লবণ কম-বেশি কেন?
বাচ্চাদের শত আবদার, শত ফরমায়েশ,
দিন শেষে আমার জন্য কিছু নেই।
বিনা বেতনের ভলান্টারি কাজ—
ভলান্টারিও কি বলা যায়?
নিজের ইচ্ছেতে তো নয় সব সময়।
অসুস্থতায়ও ছুটি নেই।
তবে বলো—
আমার কাজের নাম কী?
আমার পদবি কোথায়?