টেক্সাসে গ্লোবাল সেলিব্রেশনে বাংলাদেশি শিশুরা
২০১৮ সালে আমেরিকান অভিবাসন কাউন্সিলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় অঙ্গরাজ্য টেক্সাসের মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ অভিবাসী। সংখ্যায় এটি প্রায় ৫০ লাখ। টেক্সাসের সুন্দর একটি শহর সান এন্টোনিও। জনশুমারির তথ্য অনুযায়ী, এ শহরে আছেন ২ লাখেরও বেশি অভিবাসী। সংখ্যায় এই শহরের মোট জনসংখ্যার ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
মেক্সিকো, স্পেন, ভারত, পাকিস্তান, ইউক্রেন, তুরস্ক, বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, চীন, জাপান, ফ্রান্স, জাপান, কোরিয়া, লেবানিজ, ফিলিস্তিনসহ আরও অনেক দেশের সঙ্গে এখানে আছে হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি। এক পরিসংখ্যানে ধারণা দেওয়া হয়েছে, প্রতিবছর ১০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে আসেন অভিবাসী হয়ে। এই বিপুলসংখ্যক অভিবাসী যেমন প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় মিশে যান মূল স্রোতের সঙ্গে, তেমনি ব্যক্তিজীবনে তাঁরা নিজের মূল সত্তা ও সক্রিয়তা নিয়ে আলাদা ও অনন্য থাকেন অথবা থাকার চেষ্টা করেন। আর এই ভিন্ন ভিন্ন সত্তা ও ভাষার মানুষেরা যাতে একে অপরের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে, সে উদ্দেশ্যে গত তিন বছর হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল অব সান এন্টোনিও একটি মিলনমেলার আয়োজন করে আসছে।
১০ ডিসেম্বর দুই দিনব্যাপী এই মেলা বসল এখানকার শপিং মলে। ক্রিসমাস ট্রি, ট্রয় ড্রাইভ, ফটো বুথ, খাবার ও হ্যান্ডি ক্র্যাফটের জমজমাট আয়োজনের সঙ্গে দুটি স্টেজ বসানো হয়। যেখানে ১২ থেকে ১৩টি দেশ তাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। এবারই প্রথম বাংলাদেশের শিশুরা অংশ নেয় বাংলাদেশি কিডস অব সান এন্টোনিও ব্যানারে। মহান বিজয় দিবস সামনে রেখে শিশুরা এবং তাদের পরিবার সেজেছিল লাল-সবুজ রঙে। পরিবেশন করেছে দেশপ্রেম ও আধুনিক বাংলার গান ও নাচ। এসব শিশুর জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই দেশে। কিন্তু দেশীয় পোশাক ও পতাকা হাতে তারাই হয়ে উঠেছিল লাল-সবুজের এক টুকরা বাংলাদেশ।
ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রেও উৎসবের মাস। ক্রিসমাসের আমেজের সঙ্গে সবকিছু ছিল উৎসবমুখর।